1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

স্কুল শিক্ষার্থীদের কোভিড টিকাদান শুরু হলো

১ নভেম্বর ২০২১

রাজধানীর মতিঝিল আইডিয়াল স্কুলের নবম শ্রেণির দুই শিক্ষার্থীকে টিকা দেওয়ার মধ্য দিয়ে করোনাভাইরাসের টিকাদান কর্মসূচির এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা হলো বাংলাদেশে৷ 

https://p.dw.com/p/42QB0
ছবি: Mortuza Rashed

সোমবার সকালে ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সি শিক্ষার্থীদের এই টিকাদান কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক৷

ফাইজারের টিকার প্রথম ডোজ পায় আইডিয়াল স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্রী মাহজাবিন তমা এবং একই ক্লাসের তাহসান হোসেন৷ আপাতত কিশোর শিক্ষার্থীদের ফাইজারের টিকাই দেওয়া হবে৷ গত ১৪ অক্টোবর মানিকগঞ্জের কয়েকটি স্কুলের ১২০ জন শিক্ষার্থীকে পরীক্ষামূলকভাবে এই টিকার প্রথম ডোজ দেওয়া হয়৷ এবং তাদের কারও কোনো সমস্যা না হওয়ায় এখন সারা দেশে স্কুল শিক্ষার্থীদের টিকার আওতায় আনার কাজ শুরু হল৷  

মঙ্গলবার থেকে ঢাকার আটটি কেন্দ্রে কিশোরদের টিকাদান চলবে বলে জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক৷  প্রতিটি কেন্দ্রে ৫ হাজার করে দৈনিক ৪০ হাজার শিক্ষার্থীকে করোনাভাইরাসের টিকা দেওয়া হবে৷ তিনি বলেন, ‘‘এরপর আমরা ঢাকার বাইরে ২১টি জেলায় টিকাদান শুরু করব৷ পর্যায়ক্রমে উপজেলাতেও শিশুদের টিকা দেওয়ার চিন্তা আছে৷ বাংলাদেশের একটি শিশুও টিকার বাইরে থাকবে না৷’’

দেশের ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সি শিক্ষার্থীদের টিকা দিতে প্রায় ৩ কোটি ডোজ টিকা লাগবে এবং ফাইজারের ৮০ লাখ ডোজের বেশি টিকা রয়েছে দেশে৷ আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্ম কোভ্যাক্স বাংলাদেশকে আরও টিকা দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে বলে জানান স্বাস্থ্য মন্ত্রী৷

স্বাস্থ্যমন্ত্রী শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, ‘‘তোমরা সবাই টিকা পাবে,  টিকা নেওয়ার পর স্কুলে আস৷ কিন্তু স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে নইলে করেনাভাইরাস সংক্রমণ আবার আসবে৷’’

দীপু মনি বলেন, ‘‘আমরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলেছি, কিন্তু সীমিত আকারে৷ কিন্তু টিকাদান কার্যক্রম যত সফল হবে তত দ্রুত স্কুলে পাঠদান কার্যক্রম চালু করতে পারব৷ আমরা আশা করছি, নতুন বছরের শুরু পর্যন্ত আমরা টিকাদান কার্যক্রমে অনেক দূর এগিয়ে যেতে পারব৷ শিক্ষা কার্যক্রম চালু করতে পারব৷’’ 

টিকা পেতে স্কুল শিক্ষার্থীদের সুরক্ষা অ্যাপে নিবন্ধন করে মোবাইল এসএমএসের মাধ্যমে টিকা নেওয়ার তারিখ ও কেন্দ্রের নাম জানানো হবে৷এবং  টিকা নেওয়ার সময় টিকা কার্ড প্রিন্ট করে সাথে নিয়ে যেতে হবে৷ 

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের সহায়তায় ঢাকায় আটটি কেন্দ্র নির্ধারণ করা হয়েছে ৷ সেখান থেকে সংশ্লিষ্ট এলাকার অন্য সব স্কুলের শিক্ষার্থীদেরও টিকা দেওয়া হবে ৷   সেগুলো বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার হার্ডকো স্কুল, মালিবাগের সাউথ পয়েন্ট স্কুল, গুলশানের চিটাগাং গ্রামার স্কুল, মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল ও কলেজ, মিরপুরের ঢাকা কমার্স কলেজ, ধানমণ্ডির কাকলী স্কুল, উত্তরার সাউথ ব্রিজ স্কুল এবং মিরপুরের স্কলাস্টিকা স্কুল৷

টিকা নেওয়ার পর কোনো শিশু অসুস্থ হয়ে পড়লে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল, কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতাল, ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতাল, সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল, কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে চিকিৎসার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে৷

এনএস/কেএম (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)    

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য