স্কুল শিক্ষার্থীদের কি গোয়েন্দা বানানো হচ্ছে?
৪ ডিসেম্বর ২০১৮তবে ডানপন্থি গণমাধ্যম বিষয়টির সমালোচনায় মুখর হয়েছে৷ জার্মানির সবচেয়ে বড় পত্রিকা বিল্ড-এর বিরুদ্ধে উগ্র ডানপন্থিদের উস্কানি দেয়ার অভিযোগ উঠেছে৷ বর্ণবাদবিরোধী বেসরকারি সংগঠন ‘আমাদিও এন্টনিও ফাউন্ডেশন' (এএএস) কতৃক প্রকাশিত এক ক্ষুদ্র পুস্তিকাকে পত্রিকাটি ভুলভাবে উপস্থাপন করেছে বলে দাবি উঠেছে৷
পত্রিকাটি ক্ষুদ্র পুস্তিকা সম্পর্কে লিখেছে যে, এটির মাধ্যমে শিশুদেরকে তাদের বাবা-মায়ের প্রতি গোয়েন্দাগিরিতে উৎসাহিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে৷ তবে এএএস দাবি করেছে, শুধুমাত্র উগ্রডানপন্থি এক ব্লগে লেখালেখির পর বিল্ড এই বিষয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে, যেখানে মূলত ডানপন্থিদের বক্তব্য তুলে ধরা হয়েছে৷ আর সেসব বক্তব্য খন্ডনের কোনো চেষ্টা করা হয়নি৷
পুস্তিকাটি তৈরিতে অর্ধেক অর্থায়ন করেছে জার্মানির পরিবার মন্ত্রণালয়৷ এতে একজন কিন্ডারগার্টেন শিক্ষক যদি উগ্র ডানপন্থি কর্মকাণ্ডের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়ে পড়েন, কিংবা কোনো শিক্ষার্থী যদি কিন্ডারগার্টেনে স্বস্তিকা আঁকে এবং পরিবারে এটাকে ইতিবাচকভাবে দেখা হয়, তাহলে করণীয় কী তার পরামর্শ দেয়া হয়েছে৷ পুস্তিকাটিতে কয়েকটি উদাহরণও দেয়া হয়েছে৷
উগ্র ডানপন্থি ব্লগে এবং বিল্ড পত্রিকায় লেখালেখির পর এএএস নানা মহল থেকে হুমকি পেয়েছে বলে জানিয়েছে৷ প্রতিষ্ঠানটির মুখপাত্র সিমোনে রাফায়েল এই বিষয়ে বলেন, ‘‘আমরা সেই প্রতিবেদন প্রকাশের প্রথম ৪৮ ঘণ্টায় ৪৫০টি ফোনকল পেয়েছি, যেগুলোতে আমাদের উপর এমনকি সন্ত্রাসী হামলা চালানোর মতোও হুমকি দেয়া হয়েছে৷''
তবে বিতর্ক হলেও শিক্ষকরা পুস্তিকাটিকে ইতিবাচকভাবে নিয়েছেন বলে জানিয়েছে এএএস৷ শিশুদের শিক্ষা প্রদানে এটি সহায়ক হবে বলেও মন্তব্য করেছেন শিক্ষকরা৷
ডয়চে ভেলের পক্ষ থেকে এই বিষয়ে বিল্ড পত্রিকার সঙ্গে যোগাযোগ করে কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি৷
বেন নাইট/এআই