সৌরমণ্ডলের বাইরে আরো পাঁচটি গ্রহ আবিষ্কার
৫ জানুয়ারি ২০১০'উত্তপ্ত বৃহস্পতি বলে ডাকা হচ্ছে
কেপলার অভিযানের প্রধান বৈজ্ঞানিক গবেষক উইলিয়াম বোরাকি এক বিবৃতিতে বলেন, ''গ্যাস এবং ধূলিকণা থেকে কিভাবে নক্ষত্র এবং তাদের গ্রহমণ্ডল তৈরি হয় এবং পরিভ্রমণ করতে থাকে সে সম্পর্কে আমাদের পর্যবেক্ষণকে আরো সমৃদ্ধ করল এই পাঁচটি গ্রহের আবিষ্কার৷'' তবে নাসা বলছে, আমাদের জানা মতে, এই পাঁচটি গ্রহ এতোটা উত্তপ্ত যে, সেখানে জীবন ধারণ সম্ভব নয়৷ বিশাল আকৃতি এবং প্রচণ্ড উত্তাপের কারণে নব আবিষ্কৃত এই গ্রহগুলোকে 'উত্তপ্ত বৃহস্পতি বলে ডাকা হচ্ছে৷
গলিত লাভার চেয়েও গরম
এই গ্রহগুলোতে উত্তাপ দুই হাজার দুই শ' থেকে তিন হাজার ডিগ্রি ফারেনহাইট, যা গলিত লাভার চেয়েও গরম বলে জানিয়েছে নাসা৷ তাদের কক্ষপথ তিন থেকে পাঁচ দিনের সমান৷ এর অর্থ হচ্ছে এগুলো পৃথিবীর সূর্যের চেয়ে গরম এবং বৃহত্তর নক্ষত্রগুলোর কাছাকাছি পথ অনুসরণ করে চলে৷ নব আবিষ্কৃত গ্রহগুলোর মধ্যে সবচেয়ে ছোট গ্রহটি পৃথিবীর সৌরমণ্ডলের চতুর্থ বৃহত্তম গ্রহ নেপচুনের আকারের সমান৷ আর সবচেয়ে বড় গ্রহটি সৌরমণ্ডলের বৃহত্তম গ্রহ বৃহস্পতির সমান৷
এদের একটি সবচেয়ে কম ঘনত্ব বিশিষ্ট গ্রহ
এছাড়া, এগুলোর মধ্যে অপর একটি গ্রহ এ পর্যন্ত আবিষ্কৃত গ্রহসমূহের মধ্যে সবচেয়ে কম ঘনত্ব বিশিষ্ট৷ ২০০৯ সালের মে মাসে কেপলার অভিযান শুরুর পর প্রথম ছয় মাসেই এসব তথ্য আবিষ্কার সম্ভব হয়েছে বলে ওয়াশিংটনে অবস্থিত আমেরিকান অ্যাস্ট্রোনোমিক্যাল সোসাইটির বৈঠকে সোমবার জানান বোরাকি৷ উল্লেখ্য, আমাদের সৌরমণ্ডলে ঘূর্ণায়মান পৃথিবীর সমান আকারের গ্রহসমূহের অনুসন্ধানে নাসার প্রথম অভিযান এই কেপলার৷
কেপলারে ৯৫ মেগাপিক্সেল বিশিষ্ট ক্যামেরা
এটাতে সংযুক্ত রয়েছে এ পর্যন্ত মহাশূন্যে পাঠানো সবচেয়ে বড় ক্যামেরা, যার রেজোলুশ্যান ৯৫ মেগাপিক্সেল৷ এটি ২০১২ সালের নভেম্বর পর্যন্ত পৃথিবীতে তথ্য সংগ্রহ করে পাঠাতে পারবে বলে আশা করা হচ্ছে৷ মূলত পৃথিবীর আকারের সমান ছোট আকারের গ্রহের অনুসন্ধানেই কেপলার অভিযান৷ যাতে করে কিছুটা উষ্ণ এবং জীবন ধারণ উপযোগী গ্রহ খুঁজে পাওয়া যায়, যেখানে তরল পানি থাকা সম্ভব৷
প্রতিবেদন: হোসাইন আব্দুল হাই, সম্পাদনা: সাগর সরওয়ার