1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সৌদি আরবে কিশোর অপরাধীদের মৃত্যুদণ্ড নিষিদ্ধ

২৭ এপ্রিল ২০২০

দোররা মারা নিষিদ্ধ করার একদিন পর কিশোর অপরাধীদের মৃত্যুদণ্ডের বিধানও বাতিল করলো সৌদি আরব৷ বাদশাহ সালমানের জারি করা ডিক্রিতে এই ঘোষণা এলো৷

https://p.dw.com/p/3bStz
ছবি: picture-alliance/dpa/V. Jones

সৌদি আরবের রাষ্ট্র পরিচালিত মানবাধিকার সংস্থা রবিবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, অপ্রাপ্তবয়স্কদের মৃত্যুদণ্ড নিষিদ্ধ করেছে দেশটি৷  কমিশন জানায়, নতুন এই আইন সংস্কারের ফলে অপ্রাপ্তবয়স্ক কোনো অপরাধীকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হবে না৷ এমনকি ১০ বছরের বেশি কারাভোগ করতে হবে না কিশোর অপরাধীদের- এমনটাই জানালেন কমিশনের চেয়ারম্যান আওয়াদ আল আওয়াদ৷  সৌদি রাজ পরিবারের এই পদক্ষেপ দেশটির আইন সংস্কারের পথকে আরো এগিয়ে নেবে বলে ধারণা করছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলো৷ 

সৌদি আরবের মানবাধিকারের রেকর্ড বেশ খারাপ৷ মানবাধিকার সংস্থা অ্যামেনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের প্রকাশ করা তালিকা অনুযায়ী, বিশ্বে সবচেয়ে বেশি মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা দেশগুলোর একটি সৌদি আরব৷ ইরান ও চীনের পরেই তাদের অবস্থান৷ ২০১৯ সালে দেশটিতে ১৮৪ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়েছে৷ তাদের মধ্যে একজন ছিল অপ্রাপ্তবয়স্ক৷ ১৮ বছরের কম বয়সিদের মৃত্যুদণ্ড দিলে তা জাতিসংঘের শিশু অধিকার কনভেশনের লঙ্ঘন, যা এতদিন করে এসেছে সৌদিআরব৷

আওয়াদ আল আওয়াদ মনে করেন, দেশটিতে অপরাধ আইনকে উন্নত করতে সাহায্য করবে এই ডিক্রি৷ দেশের সব ক্ষেত্রে সংস্কারের জন্য সৌদি রাজ পরিবারের যে অঙ্গীকার, এটি তার প্রতিফলন বলেও জানান তিনি৷ নতুন এই আইনের ফলে জেলে থাকা ছয়জন শিয়া ধর্মাবলম্বী কিশোর মুক্তি পেতে যাচ্ছে৷

দেশকে আধুনিকায়ন করতে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান বেশ কয়েকটি সামাজিক ও অর্থনৈতিক সংস্কার করেছেন৷ শনিবার দেশটির মানবাধিকার কমিশন দোররা মারা নিষিদ্ধ করার কথা জানায়৷ এর পরিবর্তে জেল-জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে৷ এইসব সংস্কার সত্ত্বেও এখনো সৌদি আরবে প্রকাশ্যে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়, চুরি করলে হাত কেটে ফেলার মতো শাস্তি এখনো দেয়া হয়৷

এছাড়া দেশটিতে মত প্রকাশের স্বাধীনতা নেই বলে বরাবরই অভিযোগ মানবাধিকার সংস্থাগুলোর৷ বিরোধী ও সমাজকর্মীদের কঠোর চাপের মুখে থাকতে হয় দেশটিতে৷

এপিবি/এসিবি (এপি, এএফপি, রয়টার্স)