সেভেন আপ, ওয়ান ডাউন
ব্রাজিল বিশ্বকাপের প্রথম সেমিফাইনালে বিশ্ব দেখল এক নির্মম পরাজয়৷ স্বাগতিক ব্রাজিলকে জার্মানি হারালো ৭-১ গোলে৷ ছবিঘরে থাকছে এই ম্যাচের দুর্দান্ত কিছু ছবি৷
ছয় মিনিটে চার গোল
২৩ থেকে ২৯ – এই ছয় মিনিটে হওয়া চার গোলে স্বপ্ন ভেঙে যায় ‘সেলেসাও’দের৷ কোনোরকম প্রতিরোধ গড়তে পারেনি পাঁচবারের চ্যাম্পিয়নরা৷ অধিনায়ক থিয়াগো সিলভার অনুপস্থিতিতে ব্রাজিলের রক্ষণভাগ নিয়ে রীতিমত ছেলেখেলায় মেতে উঠে তিনবারের চ্যাম্পিয়ন জার্মানি৷
প্রথম গোল
ব্রাজিলের জালে প্রথম গোলটি ম্যুলারের৷ জার্মানির প্রথম কর্নারকেই গোলে পরিণত করেন তিনি৷ ১১ মিনিটে ডানদিক থেকে ক্রোসের কর্নার সোজা ম্যুলারের পায়ে এসে পড়ে৷ এক মুহূর্ত দেরি না করে এই ফরোয়ার্ড বল জালে জড়ান৷ এই বিশ্বকাপে ম্যুলারের এটি পঞ্চম গোল৷ গত বিশ্বকাপেও পাঁচটি গোল করেছিলেন তিনি৷
দ্বিতীয় গোল
২৩ মিনিটে ক্লোজের রেকর্ড গড়া গোলে ব্যবধান দ্বিগুণ করে জার্মানি৷ ডি বক্সের ভেতর থেকে ক্লোজের প্রথম চেষ্টাটি ফিরিয়ে দিয়েছিলেন ব্রাজিলের গোলরক্ষক৷ কিন্তু ফিরতি শট আর ফেরাতে পারেননি তিনি৷
তৃতীয় গোল
পরের মিনিটে মেসুত ও্যজিল বল দেন ফিলিপ লামকে৷ তিনি বল বাড়ান ম্যুলারের দিকে৷ কিন্তু বল পেয়ে যান ক্রোস৷ তার বাঁ পায়ের শট জালে জড়ালে ব্যবধান দাঁড়ায় ৩-০ তে৷ স্টেডিয়ামে নেমে আসে নীরবতা৷
চতুর্থ গোল
২৬ মিনিটে দ্বিতীয় গোলটি পেয়ে যান ক্রোস৷ ফার্নান্দিনিয়োর মারাত্মক ভুলে বল পেয়ে তিনি পাস দেন সামি খেদিরাকে৷ রিয়াল মাদ্রিদের এই মিডফিল্ডার বল ফিরিয়ে দেন ক্রোসকে৷ ক্রোসের মধ্যে কোন দ্বিধা ছিল না৷ তার কারণে চতুর্থ গোল পায় জার্মানি৷ দর্শকদের অবশ্য মনে হয়েছিল প্রথম গোলের রিপ্লে দেখছেন৷ এরপর স্টেডিয়ামে উপস্থিত ব্রাজিল সমর্থকরা আর নিজেদের ধরে রাখতে পারেননি৷
পঞ্চম গোল
২৯ মিনিটে আবার গোল৷ ও্যজিলের সঙ্গে ওয়ান-টু-ওয়ান খেলে ডি বক্সে ঢুকে ব্যবধান ৫-০ করে ফেলেন সামি খেদিরা৷ ছয় মিনিটেই চার গোল!
গোলরক্ষক মানুয়েল নয়ার
দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকে বেশ কয়েকটি আক্রমণ করে ব্রাজিল৷ কিন্তু বাধা হয়ে দাঁড়ান জার্মান গোলরক্ষক মানুয়েল নয়ার৷
৬ষ্ঠ গোল
৬৯ মিনিটে ব্রাজিলের নড়বড়ে রক্ষণের সুযোগে গোলদাতাদের তালিকায় নাম তুলে ফেলেন বদলি হিসেবে নামা আন্দ্রে শ্যুর্লে৷ ষষ্ঠবারের মতো ব্রাজিলের জালে বল জড়ায় জার্মানি৷
৭ম গোল
৭৯ মিনিটে ব্রাজিলকে আরো বড় লজ্জায় ডুবান শ্যুর্লে৷ বাঁ দিক থেকে ব্রাজিলের ডি বক্সে ঢুকে চেলসির এই ফরোয়ার্ডের নেয়া শট ক্রসবারে লেগে জালে জড়ায়৷ স্কোরলাইন তখন ৭-০৷
ব্রাজিলের একমাত্র গোল
অবশেষে নির্ধারিত সময়ের শেষ মিনিটে নয়ারকে পরাস্ত করেন অস্কার৷ মাঝমাঠ থেকে দৌড়ে এসে করা সান্ত্বনার এই গোলটি করেন তিনি৷