সেন্ট মার্টিন পরিচ্ছন্ন অভিযানে ১১৭০ কেজি প্লাস্টিক বর্জ্য
স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন কেওক্রাডং বাংলাদেশের উদ্যোগে সেন্ট মার্টিন সমুদ্র সৈকত পরিচ্ছন্নতা অভিযান কর্মসূচির ১০ বছর পূর্ণ হলো৷
পরিচ্ছন্নতা কর্মসূচির ১০ বছর
৩৫তম ইন্টারন্যাশনাল কোস্টাল ক্লিনআপ উপলক্ষে বাংলাদেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্ট মার্টিন সমুদ্র সৈকতে পরিচ্ছন্নতা অভিযান চালায় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন কেওক্রাডং বাংলাদেশ৷ কোকা-কোলা বাংলাদেশের সহযোগিতায় এ বছর সেন্ট মার্টিনে এ পরিচ্ছন্নতা কর্মসূচির ১০ বছর পূর্তি হলো৷
পাঁচশ স্বেচ্ছাসেবীর অংশগ্রহণ
১৮ ডিসেম্বর সেন্ট মার্টিনের সমুদ্র সৈকতে পাঁচ শতাধিক স্বেচ্ছাসেবী পরিচ্ছন্নতা কর্মসূচিতে অংশ নেন৷
ঢাকা থেকে অংশগ্রহণ
ঢাকা থেকে আগত স্বেচ্ছাসেবীদের সঙ্গে পরিচ্ছন্নতা অভিযানে অংশ নেয় সেন্ট মার্টিন দ্বীপের বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষার্থীরা৷ ঢাকা থেকে যাওয়া বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার প্রায় ৫০ জন স্বেচ্ছাসেবী ছিলেন৷ এছাড়া কক্সবাজারের প্রায় ২০ জন সার্ফার এতে অংশ নেন৷
কোস্ট গার্ডদের অংশগ্রহণ
সেচ্ছাসেবীদের পাশাপাশি এবারের কর্মসূচিতে অংশ নেন কোস্ট গার্ডের সদস্যরা৷ স্থানীয়দের বড় সংখ্যাটি আসে সেন্ট মার্টিন বিএন ইসলামিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থীদের তরফ থেকে৷ অংশ নেয় এখানকার চার শতাধিক শিক্ষার্থী৷
এবারের স্লোগান
কোস্টাল ক্লিনআপের স্লোগান ছিল ‘পিক ইট আপ, ক্লিন ইট আপ, সি চেঞ্জ’৷
১১৭০ কেজি বর্জ্য
এ বছর পরিচ্ছন্নতা অভিযানে স্বেচ্ছাসেবকরা ১১৭০ কেজি প্লাস্টিক বর্জ্য সৈকত থেকে অপসারণ করেন৷ এবারের সংগ্রহ করা প্লাস্টিক বর্জ্যের মধ্যে বেশিরভাগই ছিল কোমল পানীয় ও খাবার পানির বোতল৷
সামাজিক দূরত্ব
করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে অনুষ্ঠিত এবারের পরিচ্ছন্নতা কর্মসূচি পালিত হয় সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ও মাস্ক পরে৷
শিক্ষার্থীদের মাঝে খাবার বিতরণ
পরিচ্ছন্নতা কর্মসূচি শেষে সেন্ট মার্টিনের স্কুল শিক্ষার্থীদের মাঝে খাবার বিতরণ করা হয়৷
সংগঠকদের আহ্বান
সেন্ট মার্টিনে পর্যটকদের নিজেদের তৈরি প্লাস্টিক আবর্জনা মূল ভূখণ্ডে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন সৈকত পরিচ্ছনতা আন্দোলনের একজন সংগঠক৷ সেন্ট মার্টিনের চেয়ারম্যান নূর আহমদ বলেন, ‘‘প্রতিদিন পাঁচ থেকে ছয় হাজার মানুষ এখানে আসেন৷ তাদের ৮০ ভাগই অসচেতন৷ তাদের কীভাবে সচেতন করা যায়-সেটা আমাদের ভাবতে হবে৷’’