সুচির মুক্তির আবেদন খারিজ, তবুও আশা মুক্তি পাবেন সুচি
১১ নভেম্বর ২০১০জানা গেছে, তাঁর আবেদনটি প্রত্যাখাত হলেও আশা করা হচ্ছে অচিরাতই তাঁর মুক্তি ঘটবে৷
নোবেল শান্তি জয়ী সুচি'র আইনজীবী অবশ্য বিশ্বাস করেন যে, আদালতের সিদ্ধান্ত যাই হোক না কেন মিয়ানমারের এই আপোশহীন নেত্রী আগামী শনিবার নাগাদ মুক্তি পেতে যাচ্ছেন৷ কিন্তু তারা আশা করেছিলেন, আদালত সুচিকে নির্দোষ হিসেবে ঘোষণা করে রায় দেবে৷
জানা গেছে, যদি সুচি'র মুক্তি ঘটে সেক্ষেত্রে ৬৫ বছরের এই আপোশহীন রাজনীতিবিদ যার জীবনের দুই যুগেরও বেশি সময় কারা-অন্তরীণে বন্দী অবস্থায় কেটেছে৷ মুক্ত হয়েই মিয়ানমারের রাজনীতিতে সক্রিয় হবেন তিনি৷
তাঁর আবেদনটি যে আদালত প্রত্যাখ্যান করেছে সে বিষয়টি নিশ্চিৎ করে সুচির আইনজীবী কাই উইন বলেছেন, বিষয়টি আরো অনেকদূর গড়াবে৷ তিনি বলেন, ‘‘আমরা এখনো পর্যন্ত জানি না আবেদনটি কেন প্রত্যাখাত হয়েছে, কেবল এটুকুই জানতে পেরেছি যে, এটি আদালতে প্রত্যাখাত হয়েছে৷''
উল্লেখ্য, গত বছরের আগস্ট মাসে অং সান সুচির গৃহবন্দীত্বের মেয়াদ আঠারো মাস বাড়ানো হয়েছিল৷ এই মেয়াদ বাড়ার পেছনের যুক্তিটি ছিল বড় আজব ধরণের৷ তাঁর গৃহবন্দীত্বের সময়টিতে সুচি যে লেকঘেরা বাড়িতে অন্তরীণ ছিলেন, এক মার্কিনি নাকি সেই লেক সাঁতরে তাঁর বাড়িতে পৌঁছানোর চেষ্টা করেছিল৷
যদিও আজ বৃহস্পতিবার মিয়ানমারের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, সুচির মুক্তি সংক্রান্ত দাপ্তরিক কাজকর্ম এগিয়ে চলছে৷ তবুও অনেকেই ধারণা করছেন, মিয়ানমারের ক্ষমতাসীন সামরিক শক্তি এখনো হয়তো সুচির মুক্তির বিষয়টিকে প্রলম্বিত করতে পারে৷ ২০০৯ এ যেভাবে সুচির গৃহবন্দীত্বের মেয়াদটি ছলছুতোয় সামরিক সরকার বাড়িয়ে নিয়েছিল৷ এবারেও অন্তত এই প্রহসনের নির্বাচনে কায়ক্লেশে গদি সামলে হয়তো তারা চাইবেন সুচি আরো কিছুদিন না হয় কারা অন্তরালেই থাকুন না৷ অন্তত সে আশংকাটিকে একেবারে উড়িয়েও দেওয়া যাচ্ছে না৷
প্রতিবেদন: হুমায়ূন রেজা
সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন