1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সিরিয়া প্রসঙ্গে ট্রাম্প

৩০ মার্চ ২০১৮

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, সিরিয়া থেকে ‘খুব শিগগিরই’ সেনা প্রত্যাহার করা হবে৷ মধ্যপ্রাচ্যের যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের সাত ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার অপচয় হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি৷

https://p.dw.com/p/2vERh
ছবি: Getty Images/AFP/S. Loeb

যুক্তরাষ্ট্রের ওহাইয়ো রাজ্যে শিল্প শ্রমিকদের উদ্দেশে দেয়া ভাষণে বৃহস্পতিবার ট্রাম্প বলেন যে, তথাকথিত জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের কাছ থেকে সিরিয়াকে মুক্ত করার কাজ প্রায় শেষ৷ তাই শিগগিরই ঘরে ফিরতে পারবেন সেনাসদস্যরা৷

‘‘আমরা শিগগিরই ফিরে আসবো৷ এবার অন্যরা সেখানে দায়িত্ব পালন করুক’’, বলেন তিনি৷ 

‘‘(আইএস) খেলাফতের শতভাগই আমরা মুক্ত করতে সক্ষম হতে যাচ্ছি৷ খুব তাড়াতাড়িই তা সম্ভব হতে যাচ্ছে’’, যোগ করেন ট্রাম্প৷ সেনারা খুব দ্রুতই ঘরে পরিবারের কাছে ফিরতে পারবে বলে জানিয়ে ট্রাম্প বলেন, ‘‘আমরা ঘরে ফিরে আসবো, যেটি আমাদের আসল জায়গা এবং যেখানে আমরা থাকতে চাই৷’’

পূর্ব সিরিয়ায় দুই হাজারেরও বেশি মার্কিন সেনা স্থানীয় মিলিশিয়াদের সঙ্গে মিলে আইএসকে হটানোর চেষ্টা করছে৷

এদিকে, এ বিষয়ে স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র হেদার নাওয়ার্টকে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি জানান যে, প্রেসিডেন্টের এই ঘোষণার বিষয়ে কিছু জানেন না তিনি৷

গেল জানুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক সেক্রেটারি অফ স্টেট রেক্স টিলারসন বলেছিলেন যে, সিরিয়া থেকে পুরোপুরি সেনা প্রত্যাহার করা ঠিক হবে না৷ কারণ, এতে দেশটিতে আইএস ও আল কায়েদার প্রত্যাবর্তন ঘটতে পারে এবং সেখানে ইরানের প্রভাবও বেড়ে যাবে৷

টিলারসনের এই বক্তব্যে সিরিয়া নিয়ে মার্কিন কৌশল কী হতে পরে তা আন্দাজ করা যাচ্ছিলো৷ ঠিক এমন সময়ে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের এই উল্টো পথে হাঁটার বিষয়টি চমক হয়েই এল৷

টিলারসনকে চাকরিচ্যুত করার সিদ্ধান্ত এক টুইট বার্তায় জানিয়েছিলেন ট্রাম্প৷ প্রায়ই তিনি রাষ্ট্রের খুব গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তগুলো মার্কিন জেনারেল বা কূটনীতিকদের কারো সাথে আলাপ না করেই ঘোষণা দিয়ে দেন৷

‘‘আমরা মধ্যপ্রাচ্যে সাত ট্রিলিয়ন ডলার খরচ করেছি৷ এর বদলে কী পেয়েছি জানেন? কিছুই না৷’’ ভাষণে বলছিলেন ট্রাম্প৷ তিনি মনে করেন, এই অর্থ নতুন চাকরির সুযোগ ও  অবকাঠামো নির্মাণে ব্যয় করা উচিত৷

জেডএ/এসিবি (এএফপি)