1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
রাজনীতিসিরিয়া

সিরিয়ায় ইসরায়েলের বিমানহানায় নিহত এক

২৬ ডিসেম্বর ২০২৩

ইরান জানিয়েছে, ওই বিমানহানায় রেভেলিউশনারি গার্ডের এক গুরুত্বপূর্ণ উপদেষ্টার মৃত্যু হয়েছে।

https://p.dw.com/p/4aZlk
গাজার পরিস্থিতি
গাজায় ইসরায়েলের অভিযানছবি: Menahem Kahana/AFP

সোমবার সিরিয়ায় বিমানহানা চালিয়েছে ইসরায়েলের সেনা। ইরানের এক টেলিভিশন চ্যানেল দাবি করেছে, সিরিয়ার ওই বিমানহানায় ইরানের এক উচ্চপদস্থ রেভেলিউশনারি গার্ডের উপদেষ্টার মৃত্যু হয়েছে। বস্তুত, অন্য সম্প্রচার বন্ধ করে ইরানের জাতীয় টেলিভিশন চ্যানেল এই খবর প্রচার করেছে।

নিহত ব্যক্তির নাম সৈয়দ রাজি মউসাভি। কাসেম সোলেইমানির অন্যতম কাছের লোক ছিলেন এই মউসাভি। ২০২০ সালে ইরাকে অ্যামেরিকার বিমান হামলায় সোলেইমানির মৃত্যু হয়েছিল।

গাজায় ইসরায়েলের হামলা অব্যাহত

সংবাদসংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, মউসাভি সিরিয়া এবং ইরানের মধ্যে মধ্যস্থতার কাজ করতেন। ইরানের জাতীয় সংবাদসংস্থার তথ্য অনুযায়ী, দেশের প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন, ইসরায়েলকে এই কাজের জন্য দাম দিতে হবে।

নেতানিয়াহুর কাছে পণবন্দিদের আত্মীয়দের আবেদন

সোমবার পার্লামেন্টে বক্তৃতা করেছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু। সেখানে তিনি বলেছেন, সমস্ত পণবন্দিকে ফিরিয়ে আনা হবে। কিন্তু তার জন্য আরেকটু সময় প্রয়োজন। এদিনের আয়োজনে পণবন্দিদের পরিবারের সদস্যদের পার্লামেন্টে আহ্বান জানানো হয়েছিল। গ্যালারিতে বসে তারা প্রধানমন্ত্রীর বক্তৃতা শুনেছেন। সঙ্গে করে তারা পণবন্দিদের ছবি দেওয়া প্ল্যাকার্ড, পোস্টার নিয়ে এসেছিলেন। নেতানিয়াহু সময় চাইতেই গ্যালারি থেকে এক ব্যক্তি চেঁচিয়ে বলেন, ''আর সময় নয়, এখনই ফেরাতে হবে।'' এরপর সমস্বরে সকলে চিৎকার করে বলতে থাকেন, ''এখনই, এখনই''।

নেতানিয়াহু অবশ্য জানেন, সেনা অভিযান না চালালে এখনো পর্যন্ত ১০০ জন পণবন্দিকে মুক্ত করা সম্ভব হতো না। বাকি সকলকেও এভাবে ছাড়িয়ে আনতে হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তার বক্তব্য, গাজায় ইসরায়েলের ফিল্ড কম্যান্ডার তাকে জানিয়েছেন, সকলকে মুক্ত করতে আরো বেশ কিছুদিন সময় লাগবে। ফলে সকলকে ধৈর্য ধরে থাকতে হবে।

নেতানিয়াহুর দলের নেতারা জানিয়েছেন, পার্টির কাছে প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, লড়াই জারি থাকবে। আপাতত এই লড়াই বন্ধ হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। বরং আগামী দিনে লড়াইয়ের তীব্রতা আরো বাড়বে।

শিফা হাসপাতালের অবস্থা ভয়াবহ

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডাব্লিউএইচও) জানিয়েছে, শিফা হাসপাতালের পরিস্থিতি ভয়াবহ। ডাব্লিউএইচও-র আপৎকালীন বিভাগের টিম কোঅর্ডিনেটর গাজা থেকে ফিরে ডিডাব্লিউয়ের সঙ্গে কথা বলেছেন। তিনি জানিয়েছেন, মেঝেতে পড়ে রয়েছে শত শত রোগী। কোনো কোনো রোগীকে স্ট্রেচারে করে, ট্রলিতে করে নিয়ে যাচ্ছেন আত্মীয়রা। গোটা হাসপাতালে চার-পাঁচজন চিকিৎসক কাজ করছেন। নার্সের সংখ্যাও তেমনই। কিছু স্বেচ্ছাসেবক, কিছু আত্মীয় সাহায্য করার চেষ্টা করছেন। সব মিলিয়ে এক ভয়াবহ পরিস্থিতি হাসপাতালের ভিতর।

ডিডাব্লিউ-কে তিনি জানিয়েছেন, হাসপাতাল চত্বরে হাজার পঞ্চাশেক মানুষ আশ্রয় নেওয়ার চেষ্টা করছেন। কারণ তাদের ধারণা, হাসপাতল চত্বরে আক্রমণের মুখে পড়তে হবে না তাদের।

এসজি/জিএইচ (রয়টার্স, এপি, এএফপি)