1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সিরিয়ায় হামলা

২৬ মে ২০১২

সিরিয়ার মধ্যাঞ্চলের শহর হাওলায় সরকারি বাহিনীর হামলায় অন্তত ৯০ জন নিহত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে৷ নিহতদের মধ্যে কমপক্ষে ২৫ টি শিশুও রয়েছে৷ এমন নির্মম হত্যাকাণ্ডের নিন্দা জানিয়েছে ফ্রান্স ও সিরীয় জাতীয় পরিষদ এসএনসি৷

https://p.dw.com/p/152yJ
Demonstrators take part in a protest against Syria's President Bashar Al-Assad at Talbiseh, near Homs, May 25, 2012. REUTERS/Shaam News Network/Handout (SYRIA - Tags: CIVIL UNREST) FOR EDITORIAL USE ONLY. NOT FOR SALE FOR MARKETING OR ADVERTISING CAMPAIGNS. THIS IMAGE HAS BEEN SUPPLIED BY A THIRD PARTY. IT IS DISTRIBUTED, EXACTLY AS RECEIVED BY REUTERS, AS A SERVICE TO CLIENTS
ছবি: REUTERS

প্রায় ছয় সপ্তাহ আগে সিরিয়ায় সহিংসতা বন্ধে জাতিসংঘের প্রতিনিধি দল সেখানে পর্যবেক্ষণ শুরু করার পর থেকে শনিবারই সবচেয়ে নির্মম হত্যাযজ্ঞ ঘটল৷ স্থানীয় বাসিন্দা ও মানবাধিকার সংস্থাগুলোর বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থাগুলো জানিয়েছে, শনিবার ভোরে হাওলা শহরে প্রথমে গোলা হামলা চালানো হয়৷ এতে ১২ জন নিহত হয়৷ এরপরই ‘শাবিহা' নামে পরিচিত সরকারের বিশেষ বাহিনী স্থানীয় বাসিন্দাদের বাড়ি-ঘরে হামলা চালায়৷ তারা নির্বিচারে নারী-পুরুষ ও শিশুদের গুলি করতে থাকে৷ ইউটিউবে প্রকাশিত কিছু ভিডিও চিত্রে দেখা গেছে, বেশ কিছু শিশুর ক্ষত-বিক্ষত দেহ এবং সারিবদ্ধভাবে শুইয়ে রাখা নিহত শিশুদের লাশ৷

হাওলা শহরের সাধারণ মানুষের উপর এমন নৃশংস হত্যাযজ্ঞের ঘটনায় বিক্ষোভে ফেটে পড়েছে দেশটির বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষ৷ ইদলিব প্রদেশের কফার্নাবেল শহরের নারী-পুরুষ নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে পথে নেমে আসে৷ তারা বিক্ষোভ প্রদর্শন করে এবং হত্যাযজ্ঞ বন্ধে আন্তর্জাতিক গোষ্ঠীর হস্তক্ষেপের দাবি জানান৷ এছাড়া সম্প্রতি সিরিয়ায় আন্তর্জাতিক দূত কোফি আনানের প্রস্তাবিত অস্ত্র বিরতি পরিকল্পনা সত্ত্বেও এমন হত্যাযজ্ঞ ঘটায় জাতিসংঘ ও কোফি আনানকে এজন্য দায়ী করেন বিক্ষোভকারী সাধারণ জনতা৷

হাওলা শহরে এমন গণহত্যার প্রেক্ষিতে আবারও সিরিয়ার মিত্র দেশগুলোর জরুরি বৈঠক আয়োজনের আহ্বান জানিয়েছে ফ্রি সিরিয়া আর্মি - এফএসএ৷ এছাড়া বিরোধী গোষ্ঠীগুলোর সর্বোচ্চ সংঘ সিরীয় জাতীয় পরিষদ এসএনসি এই গণহত্যার ঘটনা খতিয়ে দেখতে এবং এ প্রেক্ষিতে করণীয় ঠিক করতে দ্রুত জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠক ডাকার আহ্বান জানিয়েছে৷ আর সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস এমন নৃশংস গণহত্যার জন্য আন্তর্জাতিক গোষ্ঠীর নিশ্চুপ থাকাকে দায়ী করেছে৷

এফএসএ'র দাবির সাথে একমত পোষণ করে বিবৃতি এসেছে ফ্রান্স থেকে৷ ফরাসি পররাষ্ট্র মন্ত্রী লরঁ ফাবিউ হাওলা শহরের গণহত্যার নিন্দা জানিয়ে বলেছেন, তিনি দ্রুত প্যারিসে সিরিয়ার মিত্র দেশগুলোর জরুরি বৈঠক ডাকার ব্যবস্থা করছেন৷ এছাড়া শনিবারের হত্যাযজ্ঞ খতিয়ে দেখতে ইতিমধ্যে হাওলার পার্শ্ববর্তী তালদাও গ্রামে গেছেন জাতিসংঘের পর্যবেক্ষক দল৷ তবে হাওলায় গণহত্যার জন্য বরাবরের মতোই সংঘবদ্ধ সন্ত্রাসীদের দায়ী করেছে দেশটির সরকার৷

প্রতিবেদন: হোসাইন আব্দুল হাই (রয়টার্স, এএফপি, এপি)
সম্পাদনা: সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য