সিরিয়ার উপর অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা আরোপ করল ইইউ
১০ মে ২০১১ইইউ'র নিষেধাজ্ঞা
মূলত অস্ত্র নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি নিয়ে আলোচনায় হচ্ছে বেশি৷ এক বিবৃতিতে ইইউ জানিয়েছে, সিরিয়ায় অস্ত্র রপ্তানির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে৷ বিশেষ করে অভ্যন্তরীণ দমনপীড়নে ব্যবহার উপযোগী অস্ত্র এবং অন্যান্য সামগ্রী সেদেশে রপ্তানি করা যাবে না৷ এছাড়া, সিরিয়ার শাসকদের ঘনিষ্ঠ ১৩ কর্মকর্তার উপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে ইইউ৷ ফলে এই গোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত কোন দেশেই প্রবেশাধিকার পাবে না এসব কর্মকর্তা৷ একইসঙ্গে তাদের সম্পদের উপরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন৷
জাতিসংঘের উদ্বেগ
সিরিয়ার দক্ষিণের শহর দারায় সরকারি দমনপীড়নে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ৷ জাতিসংঘের একটি মানবিক সাহায্য সংস্থাকে সেশহরে প্রবেশাধিকার দেয়নি সিরিয়ার সরকার৷ এই বিষয়ে জাতিসংঘের মানবিক সাহায্য বিষয়ক প্রধান ভ্যালেরি অ্যামোস জানিয়েছেন, আমরা দারায় আমাদের কার্যক্রম চালাতে প্রস্তুত ছিলাম৷ কিন্তু সিরিয়া সরকার আমাদের কার্যক্রম স্থগিত রেখেছে৷ তিনি বলেন, এজন্য আমাদেরকে কোন কারণ বলা হয়নি৷ তবে এই সপ্তাহের শেষের দিকে দারায় প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে৷ আমরা খুবই আশা করছি, সেটা সম্ভব হবে৷
সর্বশেষ পরিস্থিতি
গত দুই সপ্তাহ ধরেই দারা শহর কার্যত অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে৷ গত সপ্তাহে সিরিয়ার সরকার ঘোষণা দিয়েছিল, দারা শহর থেকে সেনা সরিয়ে নেওয়া হয়েছে৷ তবে সেনাবাহিনী বলছে, সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রয়েছে৷ সরকার বিরোধী আন্দোলন ছড়িয়ে পড়া শহরগুলো নিয়ন্ত্রণে বিশেষ কৌশল অবলম্বন করছে সেদেশের সরকার৷ তা হচ্ছে, জনগণকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলা এবং তাদেরকে ভীতিপ্রদর্শন৷ লন্ডনভিত্তিক সিরিয়া বিষয়ক একটি মানবাধিকার সংগঠন দাবি করেছে, সিরিয়ায় গত মার্চ থেকে চলা সরকারবিরোধী আন্দোলনে এখন পর্যন্ত নিহত হয়েছে ৬২১ বেসামরিক নাগরিক৷ এসময় নিরাপত্তা বাহিনীর ১২০ সদস্যও নিহত হয়৷ অপর একটি মানবাধিকার সংগঠন অবশ্য বেসামরিক প্রাণহানির সংখ্যা ৮০০'র বেশি বলে দাবি করেছে৷
প্রতিবেদন: আরাফাতুল ইসলাম
সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন