1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সিডিইউ-সিএসইউ দলের নির্বাচনী কর্মসূচী

২৯ জুন ২০০৯

জার্মান সংসদীয় নির্বাচনের তিন মাস আগে চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল অন্তত দলের অভ্যন্তরীণ কোঁদল রোধে সমর্থ হয়েছেন৷ সেই জন্যই হয়তো তাঁর মুখে ছিল স্বভাবসিদ্ধ স্মিত হাসি৷

https://p.dw.com/p/Iczf
বৈঠকের পর সাংবাদিক সম্মেলনে সেহোফার এবং ম্যার্কেলছবি: AP

খৃষ্টীয় গণতন্ত্রী সিডিইউ এবং খৃষ্টীয় সামাজিক সিএসইউ দল দু'টি হল জার্মানে যাকে বলে সহোদরা দল৷ সিএসইউ-এর কর্মক্ষেত্র দক্ষিণের বাভারিয়া রাজ্যে সীমিত৷ সেখান থেকেই তারা বার্লিনের বুন্ডেস্টাগ বা সংসদের নিম্নকক্ষে সদস্য পাঠায়৷ বুন্ডেসরাট বা উচ্চকক্ষে তাদের উপস্থিতি অপরাপর রাজ্যের মতোই৷ কিন্তু বাভারিয়া ছাড়া অন্য কোনো রাজ্যের নির্বাচনে সিএসইউ-এর কোনো প্রার্থী দেখা যাবে না৷ অপরদিকে বাভারিয়ায় চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলের সিডিইউ দলের কোনো উপস্থিতি নেই৷


বিভেদ থেকে ঐক্যমত্য

যৌথ নির্বাচনী কর্মসূচী নিয়ে এবার একটা বিবাদ, বিভেদ, বিতর্কের সম্ভাবনা ছিল, কেননা সিএসইউ-এর নতুন প্রধান হর্স্ট সেহোফার স্বরাজ্যে চাপের মুখে, এবং কর কমানোর দল হিসেবে জনপ্রিয়তা বাড়াতে চান৷ কাজেই তিনি নির্বাচনী কর্মসূচীতে যতোদূর সম্ভব সন-তারিখ সমেত করহ্রাসের পরিকল্পনা দাবী করেছিলেন৷ অপরদিকে ম্যার্কেলের সিডিইউ-তে অনেকেই নিশ্চিত নন যে এই অর্থনৈতিক সঙ্কটের মুখে সে'ধরণের বাস্তব প্রতিশ্রুতি দেওয়াটা খুব সমীচীন হবে কিনা৷


রবিবার ছিল উভয় সহোদরা দলের সভাপতিমন্ডলীর বৈঠক, বার্লিনে৷ এবং নির্বাচনী কর্মসূচী দৃশ্যত সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়৷ অবশ্য যে দু'জন সিডিইউ মুখ্যমন্ত্রী কোনো এক দিকে কর না বাড়িয়ে, অন্য কোনো দিকে কর কমানোর বিরোধী, তাঁরা দু'জনেই উপস্থিত ছিলেন না৷ তবে ম্যার্কেল জানান যে তিনি উভয়ের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন, এবং উভয়েই নির্বাচনী কর্মসূচীতে তাঁদের সম্মতি জানিয়েছেন৷


কর্মসূচী

এই প্রমাণ সাইজের নির্বাচনী কর্মসূচীকে আবার ২০০৯ থেকে ২০১৩ সালের ‘‘সরকারী কর্মসূচী'' আখ্যা দেওয়া হয়েছে, নির্বাচন জয়ের আগেই৷ কর্মসূচীটি পরিবেশন করার সময় ম্যার্কেল বিশেষ ভাবে উল্লেখ করেন যে অর্থনৈতিক সঙ্কটের দরুণ বর্ধিত সরকারী ঋণ যথাশীঘ্র আবার কমিয়ে আনা প্রয়োজন৷ তবে এমনভাবে নয় যে নানা বাজেট হ্রাসের ফলে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অঙ্কুরেই বিনষ্ট হয়৷ বরং শিক্ষা এবং প্রযুক্তিগত প্রগতির মতো ভবিষ্যৎমুখী ক্ষেত্রগুলিতে আরো বিনিয়োগ করা চাই, বলেন ম্যার্কেল৷ এই বিনিয়োগ, এবং সেই সঙ্গে পরিশ্রমী মানুষদের প্রেরণা যেন করবিভাগের গৃধ্নুতার শিকার না হয়, সেটা নিশ্চিত করার জন্যই ম্যার্কেল আগামী সংসদীয় কর্মকালে দু'টি ধাপে কিছু পরিমাণ কর হ্রাসের কথা বলেছেন৷


বিশেষ করে বাভারিয়ার সিএসইউ বেশ কিছুদিন ধরে মাঝারি আয়ের মানুষদের জন্য করহ্রাস দাবী করে আসছে৷ এবারে তাদের দাবী ছিল যে ২০১১ এবং ২০১২ সালে দুই ধাপে কর কমানোর কথাটা নির্বাচনী কর্মসূচীতে লেখা হোক - তা অর্থনৈতিক পরিস্থিতি যাই হোক না কেন এবং এই করহ্রাসের অর্থসংস্থান নিশ্চিত না হওয়া সত্ত্বেও৷ কিন্তু সেহোফারের সে আশা পূর্ণ হয়নি৷


কাজেই চ্যান্সেলর ম্যার্কেলকে বৈঠক শেষে বেরিয়ে স্মিতহাস্যে বলতে শোনা গেল: কর্মসূচী সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়েছে৷


প্রতিবেদক: পেটার স্টুটৎস্লে, অনুবাদক: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী, সম্পাদনা: রিয়াজুল ইসলাম