সিঙ্গাপুরে প্রজনন হার হ্রাস, বাড়ছে বিদেশি কর্মীর চাহিদা
১৯ জানুয়ারি ২০১১উপ-প্রধানমন্ত্রী ওং কান সেং জানালেন, ২০১০ সালে নারী প্রতি শিশু জন্মের হার দাঁড়িয়েছে ১.১৬৷ এর আগে ২০০৯ সালে এই হার ছিল ১.২২৷ অথচ দেশটির অর্থনৈতিক বিকাশ এবং স্বাভাবিক প্রবৃদ্ধির জন্য নারী প্রতি শিশু জন্মের হার কমপক্ষে ২.১ থাকাটা জরুরি৷ দেশটির অধিকাংশ দম্পতি একটি শিশু নেওয়াকেই যথেষ্ট বলে মনে করছে৷ এছাড়া সেখানে বিয়ে না করার প্রবণতাও নাকি বেড়ে চলেছে৷ এসব কারণেই প্রত্যাশিত হারের চেয়েও নিচে নেমে যাচ্ছে সেখানে প্রজনন হার, জানাচ্ছে পরিসংখ্যান দপ্তরের খবর৷
সরকারি হিসাব অনুযায়ী, ২০০০ সালে ৩০ থেকে ৩৪ বছর বয়সি অবিবাহিত পুরুষের হার ছিল ৩৩ শতাংশ৷ অথচ ২০১০ সালে সেই হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৩ শতাংশ৷ অন্যদিকে, একই বয়সি অবিবাহিত নারীদের হার ২০০০ সালে ছিল ২২ শতাংশ৷ সেটি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩১ শতাংশ৷ পরিসংখ্যান দপ্তর জানাচ্ছে, দু'টির বেশি সন্তান থাকলে নগদ অর্থসহ আরো অন্যান্য সুবিধা দেওয়া সত্ত্বেও সেখানে বেশি সন্তান নেওয়ার প্রবণতা তেমন একটা দেখা যাচ্ছে না৷ ফলে জনসংখ্যা বাড়াতে সরকারি উদ্যোগ ব্যর্থ হচ্ছে বলেই মনে করছে সংস্থাটি৷
‘ইন্সটিটিউট অফ পলিসি স্টাডিজ' আয়োজিত এক সেমিনারে উপ-প্রধানমন্ত্রী সেং বলেন, ‘‘৩০ বছরেরও বেশি সময় ধরে আমরা আমাদের স্থলাভিষিক্ত হওয়ার জন্য যথেষ্ট শিশু পাচ্ছি না৷ টেকসই জনগোষ্ঠী গড়ে তুলতে আমাদের প্রধান অন্তরায় হয়ে রয়েছে নিম্নমুখী প্রজনন হার৷'' বেশ আক্ষেপের সাথেই তিনি বললেন, ‘‘সিঙ্গাপুরি জনগোষ্ঠীকে অগ্রাধিকার দিতে সরকার বদ্ধপরিকর৷ তবুও আমাদেরকে বিদেশি কর্মী নিয়োগ অব্যাহত রাখতে হচ্ছে৷'' তিনি বলেন, সরকার দম্পতিদেরকে আরো বেশি সন্তান নিতে উৎসাহিত করলেও বাস্তবতা হচ্ছে এর জন্য কিছুটা সময় তো লাগবেই৷
প্রতিবেদন: হোসাইন আব্দুল হাই
সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন