সাম্বায় হারিয়ে গেল চিলি, ৩-০ গোলে বিজয়ী ব্রাজিল
২৯ জুন ২০১০নয় মিনিটেই হয়ে যাওয়ার কথা প্রথম গোল৷ সিলভার মাত্র ৩০ গজ দূর থেকে নেওয়া জোরালো শট বারের ডানদিকে কোনরকমে ঘুঁষি মেরে ঠেকান চিলির কিপার ক্লদিও ব্র্যাভো৷৩৫ মিনিটে কর্নার শট নেন মাইকন আর সেই শটে হুয়ানের মাথা ছোঁয়ানোর শিল্প ব্রাজিলকে প্রথম গোল দিয়ে যায়৷ এরপর ৩৮ মিনিটে ফাবিয়ানোর গোল আর তারপরে দ্বিতীয়ার্দ্ধের ৫৯ মিনিটে রবিনহোর গোল৷
প্রথম গোল খাবার পরেও চিলির চেষ্টা অব্যাহত ছিল৷ কিন্তু দ্বিতীয় গোল হয়ে যাওয়ার পর থেকে তাদের ছন্দ হারিয়ে যায়৷ পুরো খেলায় চিলির সুয়াজোর অবিরাম গোলের সন্ধান মনে থেকে যাবে৷ এই ২৯ বছরের প্রতিভাবান স্ট্রাইকারের চেষ্টারও কোন খামতি ছিল না৷ কিন্তু, ব্রাজিল যেদিন ব্রাজিলের মত করে খেলে সেদিন আর কোনদিকেই চোখ পড়ে না৷ চিলির যে দলটা গ্রুপের খেলাগুলোয় যথেষ্ট সম্ভাবনা জাগিয়েছিল, একটা নিজস্ব স্টাইল দেখা যাচ্ছিল তাদের মধ্যে, একটা আলাদা আত্মবিশ্বাস, সোমবার সেসবই উড়ে গেল হলুদ জার্সির হাওয়ায়৷ চিলির বিরুদ্ধে ম্যাচে ব্রাজিলের যে রক্ষণভাগ চোখে পড়েছে, তাতে চিড় ধরানোর মত কোন দলকেই যথেষ্ট মনে হচ্ছে না এই মুহূর্তে৷ যার সোজা অর্থ, ব্রাজিলের জালে বল জড়াতে গেলে অনেক কাঠখড় পোড়াতে হবে৷ সেই কাঠখড় পোড়ানোর মত স্ট্রাইকার তাহলে কে? এর উত্তর দিতে পারলে মিলিয়ন ডলার৷
কোয়ার্টার ফাইনালে দুঙ্গার ব্রাজিলের মুখে এসে পড়ল নেদারল্যান্ডস৷ এর আগে তিনটি বিশ্বকাপে তারা মুখোমুখি হয়েছে, তিনবারই পরাজয়ের রেকর্ড রয়ে গেছে ডাচদের৷ দক্ষিণ আফ্রিকায় কী অন্য কিছু হবে? উত্তরে বলতে বাধ্য হচ্ছি, হবার সম্ভাবনা শতকরা হিসেবে ৩০ ভাগ৷ সোমবার স্লোভাকিয়াকে ২-১ হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে গেছে বটে রবেনরা, কিন্তু, ওই পর্যন্তই হয়তো তাদের যাত্রাপথ৷ কারণ, চিলির সঙ্গে খেলাটায় যেভাবে নতুন ছকে আর মাঠজুড়ে দাপিয়ে খেলে ব্রাজিল পরিচ্ছন্ন ৩-০ জয় তুলে নিয়ে গেল, তাতে এটা বুঝতে কোন অসুবিধে হচ্ছে না যে সময়টা ২০০৬ নয়, খেলাটা জার্মানিতে হচ্ছে না, ব্রাজিল এবার শুধুই জিততে এসেছে৷
সেই বিজয়ের ধারাবাহিকতা ফাইনাল ম্যাচ পর্যন্ত থাকবে কিনা, সেটাই যা একটু ভাবনার মত বিষয়৷ বাকিটা নিয়ে না ভাবলেও চলবে৷
প্রতিবেদন সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়
সম্পাদনা সাগর সরওয়ার