1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
সমাজইউক্রেন

সাধারণ মানুষকে উদ্ধার করতে দিচ্ছে না রাশিয়া: রেডক্রস

৭ মার্চ ২০২২

ইউক্রেনের বন্দর শহর মারিউপলে লাগাতার বোমাবর্ষণ করছে রাশিয়া। সাধারণ মানুষকে উদ্ধারও করতে দেয়া হচ্ছে না।

https://p.dw.com/p/486Pw
ইউক্রেন
ছবি: Evgeniy Maloletka/AP/picture alliance

আন্তর্জাতিক সংগঠন রেডক্রস জানিয়েছে, মারিউপল থেকে দুইবার সাধারণ মানুষকে উদ্ধারের চেষ্টা চালিয়েছে তারা। কিন্তু দুইবারই ব্যর্থ হয়েছে। রাশিয়ার সেনা সাধারণ মানুষকে সরিয়ে নেয়ার জন্য কোনো সেফ প্যাসেজ দিচ্ছে না। তারা লাগাতার বোমাবর্ষণ করছ। সঙ্গে ছোঁড়া হচ্ছে গোলা। এই পরিস্থিতিতে বহু মানুষ সেখানে কার্যত বন্দি হয়ে আছেন। যে কোনো সময় তারা আহত বা নিহত হতে পারেন। বস্তুত শনিবার থেকে ওই অঞ্চল থেকে সাধারণ মানুষকে উদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছে রেডক্রস।

এদিকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি রোববার এক ভিডিয়ো বার্তায় জানিয়েছেন, বন্দর শহর ওডেসা সম্পূর্ণ ধ্বংস করে দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছে রাশিয়া। একের পর এক বোমাবর্ষণ শুরু হয়েছে সেখানেও। এদিন রাশিয়ার বিরুদ্ধে ফের একগুচ্ছ অভিযোগ করেছেন জেলেনস্কি। তার বক্তব্য, কেবল নিষেধাজ্ঞা যথেষ্ট নয়। রাশিয়ার বিরুদ্ধে গোটা বিশ্ব যে একাধিক নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে, তা যথেষ্ট নয়। তারপরেও রাশিয়ার আগ্রাসন এতটুকু কমেনি। কিয়েভের অদূরে ইউক্রেনের একটি সেনা ঘাঁটিতে রাশিয়া আক্রমণ চালানোর ঘোষণা দেওয়ার পরে বিবৃতিটি প্রকাশ করেন জেলেনস্কি।

ইউক্রেনের পররাষ্ট্র মন্ত্রী জানিয়েছেন, রাশিয়া যতই আক্রমণ চালাক, ইউক্রেনও তার জবাব দিচ্ছে। ইউক্রেনের সাধারণ মানুষের পাশাপাশি ৫২টি দেশের ২০ হাজার স্বেচ্ছাসেবক ইউক্রেনে এসে লড়াই করছেন। ইউক্রেনের মানুষের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে তারা লড়ছেন। এটা প্রমাণ হয়ে গেছে যে, শুধু কথায় নয়, গোটা বিশ্ব কাজেও ইউক্রেনের পাশে আছে।

এরই মধ্যে রাশিয়া দাবি করেছে, ইউক্রেনের সবচেয়ে বড় সেনা ঘাঁটি তারা ধ্বংস করে দিয়েছে। সেনা ঘাঁটিটি আক্রমণের আগে মস্কো সেখান থেকে সকলকে চলে যেতে বলেছিল। তবে ইউক্রেন এখনো সেনা ঘাঁটি ধ্বংস নিয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।

জাতিসংঘ জানিয়েছে, এখনো পর্যন্ত ১৫ লাখ মানুষ ইউক্রেন ছেড়ে আশপাশের দেশে শরণার্থী হয়ে পৌঁছেছন। যতদিন যাচ্ছে, সখ্যাটি লাফিয়ে বাড়ছে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ।

এদিকে লড়াইয়ের জের এসে পড়েছে বাজারেও। আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম প্রতিদিন বাড়ছে। রোববার ব্যারেল প্রতি তেলের দাম ছিল ১৪০ ডলার। ২০০৮ সালের পর তেলের দাম এতটা বাড়েনি কখনও। ২০০৮ সালে সর্বোচ্চ তেলের দাম উঠেছিল ১৪৭ ডলার ৫০ সেন্ট। এবার যেভাবে তেলের দাম উঠছে, তাতে সেই রেকর্ডও ভেঙে যেতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

রাশিয়ার বিরুদ্ধে আরও বেশ কয়েকটি সংস্থা নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করেছে। কেপিএমজি এবং পিডাব্লিউসি রাশিয়া থেকে অফিস তুলে নেওয়ার কথা জানিয়েছে। কেপিএমজি বেলারুশেও তাদের সংস্থা বন্ধ করে দেওয়ার কথা বলেছে। এর আগে ভিসা এবং মাস্টারকার্ডও রাশিয়ায় তাদের ব্যবসা বন্ধ করে দিয়েছে।

এসজি/জিএইচ (রয়টার্স, এপি, এএফপি)