সাতটি ইস্যুতে শেখ হাসিনা
গণভবনে ডয়চে ভেলের সঙ্গে শেখ হাসিনার সাক্ষাৎকারের উল্লেখযোগ্য অংশগুলো দেখুন ছবিঘরে৷
জার্মানির সঙ্গে সম্পর্ক
জার্মানির সঙ্গে একটা নিবিড় সম্পর্ক অনুভব করেন বাংলাদেশের সরকার প্রধান৷ সাক্ষাৎকারের শুরুতে তাই সে কথাটিই স্মরণ করেন তিনি৷ ১৯৭৫ সালে যখন জাতির জনকসহ তাঁর পরিবারের বাকি সদস্যদের হত্যা করা হয়, সে সময়টায় স্বামীর চাকরিসূত্রে তিনি ছোটবোন শেখ রেহানাসহ জার্মানিতে ছিলেন৷
নতুনের জয়গান
ডয়চে ভেলের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘‘এটা আমার তৃতীয় মেয়াদ৷ এর আগেও প্রধানমন্ত্রী হয়েছি (১৯৯৬-২০০১)৷ সব মিলিয়ে চতুর্থবার৷ আমি আর চাই না৷ একটা সময়ে এসে সবারই বিরতি নেয়া উচিত বলে আমি মনে করি, যেন তরুণ প্রজন্মের জন্য জায়গা করে দেয়া যায়৷’’
দারিদ্র্য নিরসনই অগ্রাধিকার
হাসিনা বলেন, আগামী পাঁচ বছরে তাঁর অগ্রাধিকার হলো, ‘‘খাদ্য নিরাপত্তা, বাসস্থান, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা, কর্মসংস্থান– এসব মৌলিক চাহিদা৷ প্রত্যেক মানুষই তার অবস্থার উন্নতি ঘটাতে চায়৷ আমাদের সেটাই নিশ্চিত করতে হবে৷’’
যত কাজ, তত সমালোচনা
দেশে বাক স্বাধীনতা আছে কিনা– এমন প্রশ্নে প্রধানমন্ত্রীর উত্তর, ‘‘শতভাগ৷’’ তিনি বলেন, ‘‘যত কাজ করবেন, তত সমালোচনা শুনবেন৷ আপনি আমার দেশের মানুষকে প্রশ্ন করুন, তাঁরা সন্তুষ্ট কিনা; তাঁদের যা যা প্রয়োজন, সব পাচ্ছে কিনা, কিংবা আমি সব দিতে পারছি কিনা৷’’
এক দলীয় শাসনব্যবস্থা?
দেশে এক দলীয় শাসনব্যবস্থা চালু হচ্ছে– এমন আশঙ্কা প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘‘জনগণের ভোটের মাধ্যমেই তো ক্ষমতায় আসা, সেটা একদলীয় হয় কী করে? (...) এবার ইলেকশনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ পেয়েছে ২৬০টি সিট (৩০০টির মধ্যে)৷ বাকি সব অন্য দলগুলো পেয়েছে৷ সেখানে দল তো আছেই৷’’
নারীর অগ্রযাত্রা
নারীর অগ্রযাত্রা থামাতে মৌলবাদীরা যেসব মন্তব্য করছে , তার প্রেক্ষিতে শেখ হাসিনা বলেন, ‘‘আমি বলেছি যে, এখানে বাক স্বাধীনতা আছে৷ তাই যে কেউ যে কোনো কিছুই বলতে পারেন৷’’ নারীর বিকাশে চেষ্টার কোনো ত্রুটি রাখেননি দাবি করে তিনি আরো বলেন, ‘‘আমি দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত নারী শিক্ষা পুরোপুরি অবৈতনিক করে দিয়েছি৷ তাদের বৃত্তিও দিচ্ছি৷’’
রোহিঙ্গা সংকট
রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করতে চীন ও ভারত ছাড়াও আন্তর্জাতিক অঙ্গনকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান হাসিনা৷ বলেন, ‘‘এটাই চাই যে, তারা মিয়ানমারকে এ কথাটি বুঝাক যে, এরা যখন মিয়ানমারে চলে যাবে, তখন তাদের যা যা সাহায্য দরকার, থাকার বাড়িঘর, তাদের খাওয়ার ব্যবস্থা, এখানে যা যা দিচ্ছে, তা ওখানেই দেবে এবং তাদের একটা নিরাপত্তার ব্যবস্থাও তারা করবে৷ জাতিসংঘ এ ব্যাপারে কিছু পদক্ষেপ নিতে পারে৷’’