1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘সাগর-রুনী হত্যার রহস্য অনুসন্ধান এখনও সম্ভব’

১১ ফেব্রুয়ারি ২০২২

এক দশক পার হলেও সাংবাদিকদের পক্ষে সাগর-রুনী হত্যাকাণ্ডের অনুসন্ধান এখনও সম্ভব৷ লেগে থাকলে এই বিষয়ে অনেক তথ্যই বের করে আনা যাবে বলে মনে করেন বাংলাদেশের খ্যাতনামা দুই অনুসন্ধানী সাংবাদিক৷

https://p.dw.com/p/46u7l
এক দশক পার হলেও সাংবাদিকদের পক্ষে সাগর-রুনী হত্যাকাণ্ডের অনুসন্ধান এখনও সম্ভব৷ লেগে থাকলে এই বিষয়ে অনেক তথ্যই বের করে আনা যাবে বলে মনে করেন বাংলাদেশের খ্যাতনামা দুই অনুসন্ধানী সাংবাদিক৷
ছবি: DW

সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনী হত্যাকাণ্ডের ১০ বছর পেরিয়ে গেলেও এই মামলার তদন্তের কোনো অগ্রগতি নেই৷ ৮৫ বার সময় নিয়েও আদালতে প্রতিবেদন জমা দিতে পারেননি তদন্তকারীরা৷ এই হত্যাকাণ্ডের রহস্য নিয়ে গণমাধ্যমেও তেমন অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশ হয়নি৷ এক্ষেত্রে সাংবাদিকরা কতটা তাদের দায়িত্ব পালন করেছেন? অনুসন্ধানী সাংবাদিক বদরুদ্দোজা বাবুর মতে, ‘‘আলোচিত হত্যাকাণ্ড সবগুলোর ক্ষেত্রেই একই অবস্থা৷ তদন্ত করা বা নিজে অনুসন্ধান করে কিছু বের করা যেটা তদন্ত কাজে সহযোগিতা করবে এটা দেখা যায় না খুব একটা৷ ...সাগর-রুনীর রিপোর্টের ক্ষেত্রেও সাংবাদিকরা ঠিকমত রিপোর্ট করতে পারেননি৷ এই দায় সাংবাদিকদের নিতে হবে৷’’

যমুনা টেলিভিশনের বিশেষ প্রতিনিধি মোহসীন-উল হাকিমও এই বিষয়ে একমত৷ তিনি বলেন, ‘‘সাগর-রুনী হত্যাকাণ্ডের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর এক দুইদিন আমরা কাজ করি৷ কিন্ত আমরা কি বলতে পারব যে সারা বছর কোনো প্রতিষ্ঠানের একজন বা একাধিক জন একটানা কাজ করছেন এই বিষয়টি নিয়ে? ব্যর্থতা আসবেই৷ আমরা পাব না হয়ত কিছুই, কিন্তু আমি নিশ্চিত করে বলতে পারি এভাবে এই বিষয়টি নিয়ে আমরা কাজ করছি না কেউ৷’’

‘ডয়চে ভেলে খালেদ মুহিউদ্দীন জানতে চায়’ ইউটিউব টকশোতে এসে এই দুই অনুসন্ধানী সাংবাদিক এমন অভিমত প্রকাশ করেছেন৷ তবে তাদের দুইজনই মনে করেন এই ঘটনায় অনুসন্ধানের সুযোগ এখনও শেষ হয়ে যায়নি৷ বদরুদ্দোজা বাবুর মতে, যত দেরিই হোক সাংবাদিকরা যেকোন জায়গা থেকেই উন্মোচনের কাজটি শুরু করতে পারেন৷ ‘‘এরকম অনেক উদাহরণ দেখব দেশে-বিদেশে যে, দশ বছর পরে এসেও সাংবাদিকরা অনুসন্ধান করে খুঁজে বের করেছে৷ এই খুঁজে বের করার পথটা হয়ত কঠিন হবে, কিন্তু খুঁজে বের করা সম্ভব৷ কিছু না কিছু নতুন বের করা সম্ভব৷’’ বলেন অনুসন্ধানী সাংবাদিকতায় দেশি-বিদেশি পুরস্কারজয়ী এই প্রতিবেদক৷

তার সঙ্গে একমত মোহসীন-উল হাকিমও, ‘‘আমি বলতে চাইছি এখনও যদি আমরা ইনভেস্টিগেশন করি আমরা যদি একেবারে মোটিভ পর্যন্ত কালকে নাও পারি, এর ভিতর থেকে আরো কিছু গল্প আমরা নিশ্চয়ই পাব৷ এখানে কার কী ভূমিকা ছিল বা কার প্রভাব বা কার গাফিলতিতে এই বিষয়টি এই পর্যায়ে এসেছে সেটি পাব৷ ...একজন সাংবাদিক যদি তার নিউজরুমের সমর্থন নিয়ে কাজ করেন তাহলে এটার ভিতরের অজানা তথ্য বের হতে থাকবে৷ এবং আমার মনে হয় লেগে থাকলে হয় না এমন আসলে হতে পারে না৷’’

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার বাধা, চাপ, সাংবাদিকদের নিয়ে বিভিন্ন সমালোচনার প্রসঙ্গও উঠে আসে৷ বদরুদ্দোজা বাবুর মতে, বাংলাদেশে মাঠ পর্যায়ের সাংবাদিকদের দক্ষতার অভাব নেই৷ কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই তারা যা করতে চান তা করতে পারেন না, করলেও তা প্রকাশ হয় না৷ এক্ষেত্রে যারা সংবাদ নিয়ন্ত্রণ করেন তাদের কারণে সব সাংবাদিকরাই সমালোচিত হচ্ছেন৷ তিনি বলেন, ‘‘সাংবাদিকতায় মাঠ পর্যায়ে যারা আছেন তাদেরকে আমার ব্যর্থ মনে হয় না৷ তাদের অনেক ইচ্ছা আছে৷ তারা চাইলেও অনেক রিপোর্ট করতে পারেন না৷ ...চাপ যতটা না বাইরে থেকে সেই চাপ ততটা নিজের ভিতরে তৈরি হয়ে গেছে৷ সেই কারণে সে মনে করে এই রিপোর্ট নিয়ে যদি অনেক দিন কাজ করি তাহলে এটা অনএয়ার হবে না বা পাবলিশ হবে না৷’’

তবে এ বিষয়ে হতাশ নন মোহসীন-উল হাকিম৷ তিনি বলেন, ‘‘নিঃসন্দেহে কাজ হচ্ছে, অনেকেই কাজ করছেন৷ কাজ করার চেষ্টা করছেন৷ পরিবর্তন আসছে৷ গত ১৫ বছর হিসাব করলে আবার উল্টো দিকে ঘোরা শুরু করছে৷’’

এফএস/এআই

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান