1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
রাজনীতিইউক্রেন

সহায়তা পেলেও পশ্চিমা জোটে ইউক্রেনের স্থান এখনো দূর অস্ত

৪ অক্টোবর ২০২২

ইইউ ইউক্রেনের সৈন্যদের প্রশিক্ষণ দেবে বলে জার্মানির এক পত্রিকা দাবি করছে৷ তবে আরও সহায়তা পেলেও ন্যাটো ও ইইউ-তে ইউক্রেনের যোগদানের বিষয়টি এখনো বিবেচনা করা হচ্ছে না৷

https://p.dw.com/p/4HiJI
EU-Kommissionspräsidentin von der Leyen in Kiew
ইউরোপিয়ান কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ফন ডেয়ার লাইয়েন এবং ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিছবি: Sergei Supinsky/AFP/Getty Images

রাশিয়া ইউক্রেনের ভূখণ্ডের একাংশ বেআইনিভাবে নিজস্ব রাষ্ট্রের অন্তর্গত করার পর কিয়েভ সরকার পশ্চিমা বিশ্বের সঙ্গে সম্পর্ক আরো নিবিড় করার উপর জোর দিচ্ছে৷ রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুটিনের ঘোষণার কিছুক্ষণ পরেই ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি দ্রুত ন্যাটোয় যোগদানের আবেদনে স্বাক্ষর করেন৷ তার আগে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য হবার উদ্যোগ নিয়েছিলেন তিনি৷

ইউক্রেনের প্রতি পূর্ণ সংহতি এবং সামরিক ও অর্থনৈতিক সহায়তা চালিয়ে গেলেও পশ্চিমা বিশ্ব এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে সে দেশকে ন্যাটো বা ইইউ-র মতো জোটে স্থান দিতে প্রস্তুত নয়৷ জেলেনস্কির আবেদনে সাড়া দিয়ে ন্যাটোর বেশ কিছু দেশ সেই সামরিক জোটে  ইউক্রেনকে স্বাগত জানানোর পক্ষে সওয়াল করলেও অ্যামেরিকা ও জার্মানিসহ অনেক ন্যাটো সদস্য এমন সম্ভাবনাকে আপাতত অবাস্তব বলে মনে করছে৷ ন্যাটোর মহাসচিব ইয়েন্স স্টলটেনবার্গ এ প্রসঙ্গে মনে করিয়ে দিয়েছেন, ৩০টি সদস্য দেশের সম্মতি ছাড়া কোনো নতুন সদস্য গ্রহণ করা সম্ভব নয়৷ আপাতত মূলত পূর্ব ইউরোপ ও বল্টিক অঞ্চলের দেশগুলিই ন্যাটোয় ইউক্রেনকে স্বাগত জানাতে উৎসাহ দেখাচ্ছে৷

ইইউ-র পূর্ণ মর্যাদার সদস্য হওয়ার প্রক্রিয়াও দীর্ঘ হবে, সে বিষয়ে কোনো সংশয় নেই৷ তবে এমন অবস্থান সত্ত্বেও আরও জোরালোভাবে ইউক্রেনের পাশে দাঁড়াতে পশ্চিমা বিশ্ব নতুন পদক্ষেপ নিয়ে চলেছে৷ যেমন জার্মানির ‘ডেয়ার স্পিগেল' পত্রিকার সূত্র অনুযায়ী ইইউ যত দ্রুত সম্ভব ১৫,০০০ ইউক্রেনীয় সৈন্যের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে রাজি হয়েছে৷ আগামী সপ্তাহে ব্রাসেলসে সেই পরিকল্পনার খুঁটিনাটী বিষয়গুলি চূড়ান্ত করা হবে৷ এর আওতায় পোল্যান্ডে এই কর্মসূচির সদর দফতর খোলা হবে৷ প্রশিক্ষণের কিছু অংশ অন্যান্য কয়েকটি দেশেও সম্পন্ন হতে পারে বলে সেই প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে৷ জার্মানি সেইসঙ্গে ইউক্রেনের ইঞ্জিনিয়ার, ডাক্তার ও অন্যান্য বিশেষজ্ঞদের প্রশিক্ষণের দায়িত্ব নেবে৷ উল্লেখ্য, গত আগস্ট মাসেই জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস জানিয়েছিলেন, যে জার্মানিতে ইউক্রেনীয় সৈন্যদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে৷

সামরিক জোট ন্যাটো ইউক্রেন যুদ্ধে সরাসরি জড়িয়ে না পড়ার বিষয়ে এখনো বেশ সতর্ক রয়েছে৷ সে দেশকে জোটে স্বাগত জানানো দূরের কথা, এমনকি ব্যাটেল ট্যাংকের মতো আক্রমণাত্মক ভারি সামরিক সরঞ্জাম দিতেও প্রস্তুত নয় এই জোট৷ গত কয়েক মাস ধরে সরঞ্জাম সরবরাহ করতে গিয়ে পশ্চিমা বিশ্বের নিজস্ব অস্ত্রভাণ্ডারেও টান পড়ছে৷

এদিকে ইউক্রেনে এক জনমত সমীক্ষা অনুযায়ী প্রায় ৮৩ শতাংশ মানুষ ন্যাটোয় যোগদানের পক্ষে সমর্থন জানিয়েছে৷ প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির ঘোষণার পরেই সেই সমীক্ষা চালিয়ে সোমবার ফল প্রকাশ করা হয়েছে৷ ‘রেটিং গ্রুপ' নামের সেই সংস্থার মতে, ইউক্রেনে এর আগে এই প্রশ্নে এমন ঐক্য দেখা যায় নি৷

এসবি/কেএম (ডিপিএ, রয়টার্স)