সরে দাঁড়ালেন ফেসবুক প্রতিষ্ঠাতা
৩ এপ্রিল ২০১৪ডুরভের যোগাযোগ মাধ্যমটির নাম ‘কন্টাক্টিয়া'৷ বিশ্ববিদ্যালয় পাস করার পর ২০০৬ সালে এটি প্রতিষ্ঠা করেন তিনি৷ রাশিয়ায় সামাজিক যোগাযোগের এটিই সবচেয়ে জনপ্রিয় মাধ্যম৷ যোগোযোগ মাধ্যম ব্যবহারকারীর মোট ৪০ শতাংশ কন্টাক্টিয়ার সদস্য৷ আর ফেসবুকের সদস্য সংখ্যা ২৫ শতাংশ৷
পাভেল ডুরভ বুধবার কোম্পানির প্রধান নির্বাহীর পদ থেকে তাঁর পদত্যাগের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন৷ এর আগে এপ্রিল মাসের প্রথম দিন ডুরভের পদত্যাগের খবর প্রকাশ হলে অনেকে সেটাকে ‘এপ্রিল ফুল' মনে করেছিলেন৷ কিন্তু বুধবার তিনি জানান কোম্পানির শেয়ারহোল্ডার কাঠামোয় পরিবর্তন আসায় তিনি পদত্যাগ করেছেন৷ এর ফলে প্রধান নির্বাহী হিসেবে যথেষ্ট স্বাধীনভাবে কাজ করা যাচ্ছিল না, বলে তিনি মন্তব্য করেন৷
তবে জানা গেছে, একটি মেসেজিং সার্ভিস তৈরি করা নিয়ে কোম্পানির ৪৮ শতাংশের মালিক ‘ইউনাইটেড ক্যাপিটাল পার্টনারস' বা ইউসিপির সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় পদত্যাগ করেন ডুরভ৷ তিনি ‘টেলিগ্রাম' নামে একটি মেসেজিং সার্ভিস তৈরি করছিলেন৷ তবে ইউসিপি মনে করে সার্ভিসটি কন্টাক্টিয়ার অংশ হিসেবেই ডেভেলপ করা উচিত৷
কদিন আগে ফেসবুক ১৯ বিলিয়ন ডলার দিয়ে মেসেজিং সার্ভিস ‘ওয়াটসঅ্যাপ' কেনার পর ইউসিপির মনে হয় যে, মেসেজিং সার্ভিস বিষয়টা লাভজনক৷ তাই টেলিগ্রাম নিয়ে ডুরভের ওপর চাপ দিচ্ছিল ইউসিপি৷ তবে প্রধান নির্বাহীর পদ থেকে সরে দাঁড়ালেও প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে কন্টাক্টিয়ার সঙ্গে আজীবন সম্পর্ক থাকবে তাঁর৷ শুধুমাত্র আনুষ্ঠানিক কোনো পদে থাকতে চান না ডুরভ৷
ডুরভের আরও পরিচয়
গণমাধ্যমে কখনো সাক্ষাৎকার না দেয়ায় ডুরভ সম্পর্কে খুব বেশি কিছু জানা যায় না৷ এরপরও যতটুকু জানা যায় তার মধ্যে একটা হচ্ছে, রাশিয়ায় আশ্রয় নেয়া এডওয়ার্ড স্নোডেনকে তিনি চাকরির অফার দিয়েছিলেন৷ এছাড়া সেন্ট পিটার্সবার্গে তাঁর অফিসের জানালা থেকে তিনি একবার ৫০০০ রুশ মুদ্রা নীচে ফেলে দিয়ে মানুষজন ঐ অর্থ কাড়াকাড়ি করছে সেটা দেখছিলেন৷
প্রবল চাপ সত্ত্বেও ডুরভ রাশিয়ার নিরাপত্তা সংস্থাকে কন্টাক্টিয়ার ব্যবহারকারীদের তথ্য ব্যবহার করতে দেননি৷
জেডএইচ/ডিজি (এএফপি, এপি)