সরকারি কর্মীদের বিক্ষোভে গিয়ে আক্রান্ত বিধায়ক নওশাদ
সরকারি কর্মীদের প্রতিবাদে সামিল হয়ে মঞ্চেই আক্রান্ত হলেন আইএসএফ-এর বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী।
নওশাদকে মার
ডিএ-র দাবিতে অনশন করা সরকারি কর্মচারীদের মঞ্চে শনিবার গিয়েছিলেন আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী। সেখানেই বক্তৃতা করার সময় তিনি আক্রান্ত হন। এক যুবক সেখানে নওশাদকে চড় মারার চেষ্টা করেন। যুবকের হাত গিয়ে লাগে নওশাদের কাঁধে।
কেন এই হামলা?
ওই যুবক প্রথমে প্রশ্ন করেন, সংখ্য়ালঘুদের জন্য নওশাদ কী করছেন? জবাবের অপেক্ষা না করেই বিধায়ককে ধাক্কা দেন ওই যুবক। এর পর অবশ্য পরিস্থিতি সামলে নিতে এগিয়ে আসেন মঞ্চে উপস্থিত কয়েক জন।
কে এই যুবক?
সংবাদ মাধ্যমের কাছে নওশাদ দাবি করেছেন, যে যুবক তাকে ধাক্কা দিয়েছেন, তিনি তৃণমূলের লোক। তৃণমূল কর্মীরা তার নির্বাচনকেন্দ্র ভাঙড়েও তাকে আক্রমণ করেছে বলে নওশাদের অভিযোগ।
তৃণমূলের জবাব
তৃণমূলের তরফে জানানো হয়, যিনি ধাক্কা মেরেছেন, শাসকদলের সঙ্গে তার কোনও যোগ নেই। তৃণমূলের বক্তব্য, অনেক দিন আগেই অভিযুক্তকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
কেন এই আক্রমণ?
কেন এভাবে নওশাদকে আক্রমণ করা হলো, সেই প্রশ্ন উঠেছে। কারণ, আক্রমণকারী যুবক প্রশ্ন করেই নওশাদকে ধাক্কা মারে, চড় মারার চেষ্টা করে। আইএসএফের অভিযোগ, সে আগে থেকেই ঠিক করেছিল যে, নওশাদকে আক্রমণ করবে।
নওশাদকে নিয়ে বিতর্ক
নওশাদকে নিয়ে সম্প্রতি প্রচুর বিতর্ক হয়েছে। নওশাদ ২১ জানুয়ারি কলকাতায় বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন। সেখানে পুলিশের সঙ্গে নওশাদ ও তার কর্মীদের সংঘর্ষ হয়। নওশাদকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তার বিরুদ্ধে অন্য বেশ কিছু অভিযোগও আছে। আইএসএফের অভিযোগ, সবই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
বিচারপতিরা যা বলেছেন
নওশাদের জামিনের আবেদন কলকাতা হাইকোর্টে করা হয়েছিল। নওশাদের আইনজীবী ছিলেন বিকাশ ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, পুলিশ নওশাদ-সহ ৮৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। একমাস ধরে তারা জেলে। বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী ও বিচারপতি অজয় কুমার গুপ্তা বলেন, এমন কী গুরুত্বপূর্ণ বিক্ষোভ ছিল যে, পুলিশ এতজনকে গ্রেপ্তার করলো? তারা এটাও বলেছেন, নেতারা যেন আইন নিজের হাতে না নেন।
নওশাদের জামিন
হাইকোর্ট নওশাদকে জামিনও দিয়েছে। একমাসের বেশি সময় জেলে কাটানোর পর তিনি জামিন পান।
বৃষ্টির মধ্যেও
গত দুই দিন ধরে কলকাতায় মাঝেমাঝেই বৃষ্টি হচ্ছে। তার মধ্যেই চলছে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের বিক্ষোভ ও অনশন। মঞ্চে প্রতিদিনই উপস্থিত হচ্ছেন রাজ্যের কোনও না কোনও বিরোধী দলের নেতা। রোবিবারও ছিলেন বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য। বৃষ্টির জন্য কর্মীদের কাজ বেড়েছে।
দীর্ধ বিক্ষোভ
প্রায় দুইমাস ধরে এই আন্দোলন চলছে। তবে সরকারি কর্মীদের অনশন ৩৮ দিনে পা দিল।
অনেকগুলি বিক্ষোভ
এসপ্ল্যানেডে এখন অনেকগুলি বিক্ষোভ চলছে। সরকারি কর্মীদের পাশাপাশি টেট প্রার্থীদের বিক্ষোভ চলছে। চলছে এসএসসি নিয়ে বিক্ষোভ।