সম্পদে ইউরোপের ধনীদের ছাড়িয়ে গেছে এশীয়রা
২৩ জুন ২০১০সম্পদের পরিমাণ কমপক্ষে ১০ লাখ ডলার - এমন ব্যক্তিদের তালিকা করে তাদের সম্পদের হিসাব বের করেছে মেরিল লিঞ্চ গ্লোবাল ওয়েল্থ ম্যানেজমেন্ট ও পরামর্শদাতা প্রতিষ্ঠান ক্যাপগেমিনি৷ তারা দেখেছে, মন্দার কারণে ২০০৮ সালে অনেক ধনী সম্পদ হারালেও ২০০৯ এ এসে তা পুষিয়ে নিয়েছেন৷ ফলে কোটিপতির সংখ্যা আবার ১ কোটি স্পর্শ করেছে৷ আর এ সংখ্যা যুক্তরাষ্ট্র, জাপান ও জার্মানিতেই সবচেয়ে বেশি৷ আগেও তা ছিলো৷ তবে ব্যতিক্রমী ব্যাপার হলো, এই প্রথম এশীয় ধনীদের সম্পদ ইউরোপীয় ধনীদের চেয়ে বেশি দেখা গেলো৷
এশিয়ায় কোটিপতির সংখ্যা এখন ৩০ লাখ, যাঁদের সম্পদের মূল্যমান ৯ দশমিক ৭ ট্রিলিয়ন ডলার৷ অন্যদিকে সব মিলিয়ে ৯ দশমিক ৫ ট্রিলিয়ন সম্পদ আছে ইউরোপের কোটিপতিদের৷ এশিয়ায় কোটিপতির সংখ্যা এক বছরে ২৫ দশমিক ৮ শতাংশ বেড়েছে৷ ২০০৮ এ সংখ্যা পড়ে গিয়েছিলো৷ কোটিপতির সংখ্যা বাড়ার ক্ষেত্রেও এগিয়ে এশীয়রা৷ এ অঞ্চলের যে দেশটিতে তা সবচেয়ে বেশি বেড়েছে, তা হলো হংকং৷ এক বছরে কোটিপতির সংখ্যা দ্বিগুণ হয়েছে সেখানে৷ এছাড়া বেড়েছে ভারত, তাইওয়ান, সিঙ্গাপুর, ইন্দোনেশিয়া ও ভিয়েতনামেও৷
সিঙ্গাপুরে বুধবার গবেষণার তথ্য প্রকাশের পর মেরিল লিঞ্চ ওয়েল্থ ম্যানেজম্যান্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক অং ইয়েং ফ্যাং সাংবাদিকদের বলেন, এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে আরো কোটিপতি যোগ হওয়ার আভাস দেখা যাচ্ছে৷ তাহলে বিশ্বের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনও গতি পাবে৷
এদিকে ফোর্বস ম্যাগজিনের এক বিশ্লেষণে দেখা যায়, কোটিপতির সংখ্যায় চীন ছাড়িয়ে গেছে ভারতকে৷ তবে সম্পদে এখনো এগিয়ে ভারতীয়রাই৷ এশিয়ার সবচেয়ে সম্পদশালী ২৫ জনের মধ্যে ১০ জনই ভারতের৷ এদের মধ্যে এগিয়ে আছেন মুকেশ আম্বানি৷ তার পরই আছেন লক্ষ্মী মিত্তাল৷ ২৯ বিলিয়ন ডলারের সম্পদ নিয়ে মুকেশ বিশ্বের শীর্ষ ধনীর তালিকায় চতুর্থ৷ আর লক্ষ্মী মিত্তালের অবস্থান পঞ্চম৷ তাঁর সম্পদের মূল্যমান ২৮ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার৷
বিশ্লেষকরা বলছেন, মন্দার ধাক্কা সামলে উঠেছেন কোটিপতিরা৷ কিছুটা শিক্ষা নিয়ে তারা এখন কোথাও বিনিয়োগ করার আগে ভালোভাবে লাভালাভ যাচাই করছেন৷ তারা এখন আবেগের চেয়ে বুদ্ধি-বিবেচনা বেশি খাটাচ্ছেন৷
এতো যে সম্পদ, এসব দিয়ে কী করছেন কোটিপতিরা৷ অনুসন্ধান চালিয়ে তাও বের করছেন গবেষকরা৷ তারা দেখেছেন, অনেকেরই শখ প্রাইভেট জেট, দামি গাড়ি আর ইয়ট কেনায়৷ অনেকের আবার গহনা, ঘড়ি কিংবা চিত্রকর্ম কেনায়ও ঝোঁক রয়েছে৷
প্রতিবেদন: মনিরুল ইসলাম
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক