সবচেয়ে দীর্ঘজীবী স্লথ
বন্দীদশায় সাধারণত ৪০ বছর বাঁচলেও জার্মানির একটি চিড়িয়াখানায় আছে অর্ধশত বছর বয়সী এক স্লথ৷ বিশ্বের সবচেয়ে দীর্ঘজীবী স্লথ হিসেবে যার নাম উঠেছে গিনেস বুক অব রেকর্ডসে৷
আয়েশী প্রাণী
স্লথের চরিত্র তার নামেই নিহিত৷ বিশ্বের সবচেয়ে ধীরগতির প্রাণীর তকমা তার গায়ে৷ চলে অলস আর আয়েশী ভঙ্গীতে৷ দেখলে মনে হবে হাসি হাসি মুখ সবসময়৷ মূলত দক্ষিণ ও মধ্য আমেরিকার বাসিন্দা তারা৷ প্রাকৃতিক পরিবেশে তাদের গড় আয়ু ২০ বছর, তবে ৩০-৪০ বছর বাঁচে বন্দীদশাতে৷
অতিকায় স্লথের বিলুপ্তি
স্লথদের বসবাস বড় গাছে৷ আকার হতে পারে ৪২ থেকে ৮০ সেন্টিমিটার৷ ওজন দুই থেকে সর্বোচ্চ ১০ কেজি৷ অথচ একটা সময়ে স্লথরা ছিল মানুষের চেয়েও দীর্ঘকায় এক প্রাণী৷ উচ্চতা ছিল সাড়ে ছয় ফুটের বেশি৷ বিজ্ঞানীদের গবেষণা অনুযায়ী, জায়ান্ট বা অতিকায় সেসব প্রাণী বিলুপ্ত হয়েছে আজ থেকে ১১ হাজার বছর আগে মানুষের শিকারের কারণে৷
প্রবীনতম পলা
জার্মানির হালে শহরের একটি চিড়িয়াখানায় আছে পলা নামের একটি স্লথ৷ গত জুনে তার ৫০ তম জন্মদিন পালন করে বার্গজু কর্তৃপক্ষ৷ সম্প্রতি পলাকে আনুষ্ঠানিকভাবে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি বছর বয়সী স্লথের মর্যাদা দেয়া হয়েছে৷ পলা নাম লিখিয়েছে গিনেস বুক অব রেকর্ডসে৷
অ্যামেরিকা থেকে জার্মানি
১৯৭১ সালে পলাকে দক্ষিণ আমেরিকা থেকে যুক্তরাজ্য হয়ে জার্মানিতে আনা হয়৷ তখন তার বয়স ছিল আনুমানিক দুই বছর৷ অর্থাৎ জীবনের ৪৮ বছরই পলা কাটিয়েছে চিড়িয়াখানাতে৷
লিঙ্গ নিয়ে বিভ্রান্তি
বার্গজু চিড়িয়াখানার কর্মচারীদের ধারণা ছিল পলা পুরষ৷ ২০ বছর পর তাদের সেই ভুল ভাঙ্গে৷ ১৯৯৫ সালে আল্ট্রাসাউন্ড স্ক্যানের মাধ্যমে জানা যায় পলা আসলে নারী৷
স্লথ দিবস
প্রতিবছর ২০ই অক্টোবর বিশ্বজুড়ে পালিত হয় স্লথ দিবস৷ দিনটিকে সামনে রেখেই পলাকে সবচেয়ে দীর্ঘজীবী স্লথের স্বিকৃতী দিল গিনেস বুক অব রেকর্ডস৷ ২০১৮ সাল পর্যন্ত হিসাবে ইউরোপের বিভিন্ন চিড়িয়াখানায় এই প্রাণীর সংখ্যা ২৬৬ টি, যার মধ্যে জার্মানিতে আছে ৬৫ টি৷