1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বাংলাদেশের সংসদে অসংসদীয় ভাষা

হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা২২ জুন ২০১৩

যেসব সাংসদ অসংসদীয় ভাষা ব্যবহার করছেন, তারা সংসদের অবমাননা করছেন৷ তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া উচিত বলে মনে করেন সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা৷ তাদের মতে, অসংসদীয় ভাষা ব্যবহারকারীরা সাংসদ হওয়ার যোগ্য কিনা তা ভেবে দেখতে হবে৷

https://p.dw.com/p/18uQY
A Bangladeshi laborer sweeps the pavement outside the national parliament building in Dhaka, Bangladesh, Friday, April. 6, 2007. Bangladesh's national elections, already delayed amid deadly violence over allegations of ballot-rigging will not be held for at least a year and a half, the top election official in the military-backed interim government said. (ddp images/AP Photo/Pavel Rahman)
ছবি: AP

জাতীয় সংসদে অসংসদীয় ভাষার ব্যবহার নিয়ে ক্ষুব্ধ স্বয়ং স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী৷ তিনি বার বার চেষ্টা করেও সংসদ সদস্যদের নিবৃত্ত করতে ব্যর্থ হন৷ সংসদে এই ধরনের ভাষা ব্যবহার না করতে তিনি সুনির্দিষ্টভাবে নির্দেশনা দিলেও তাতে থামছেন না কতিপয় সংসদ সদস্য৷ নবম জাতীয় সংসদের আঠারোতম অধিবেশনে বিরোধী দল যোগ দেয়ার পর এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে৷

এবার অসংসদীয় ভাষা ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে প্রধানত নারী সংসদ সদস্যদের বিরুদ্ধে৷ তবে বিরোধী দল বিএনপির নারী সংসদ সদস্য শাম্মী আক্তার দাবি করেন, সরকারি দলের সংসদ সদস্যরাই এর জন্য দায়ী৷ তারা বিরোধী দলীয় নেত্রীকে ইঙ্গিত করে আপত্তিকর মন্তব্য করে অসংসদীয় ভাষা ব্যবহারে উস্কে দিচ্ছে৷ তাদের কথার জবাবাতো দিতেই হবে৷ তাঁর জানামতে, তাঁর দলের সংসদ সদস্যরা অসংদীয় ভাষা ব্যবহার করেন না৷

জবাবে সরকার দলীয় নারী সংসদ সদস্য নাজমা আক্তার বলেন, ‘‘বিরোধী দলীয় সংসদ সদস্যদের অসত্য কথার জবাবতো দিতেই হয়৷ তা দিতে গেলে পাল্টাপাল্টি কিছু কথা হয়৷ আর বিরোধী দলের সংসদ সদস্যরাই উস্কানিমূলক কথা বলে সংসদে খারাপ পরিস্থিতির সৃষ্টি করে৷''

তাঁর দাবি, জেনেশুনে সরকার দলীয় সংসদ সদস্যরা অসংসদীয় ভাষা ব্যবহার করেন না৷

তবে নারী নেত্রী সুলতানা কামাল বলেন, ‘‘পরস্পরকে দোষারোপ করে কেউ দায় এড়াতে পারেন না৷ সংসদে যা হয়েছে তা পুরো জাতি দেখেছে৷ বাজেট অধিবেশনের মত একটি গুরুত্বপূর্ণ অধিবেশনে মূল আলোচনা বাদ দিয়ে পরস্পরকে সংসদ সদস্যরা যেভাবে অসংদীয় ভাষায় আক্রমণ করেছেন, তা চরম রুচিহীনতার প্রকাশ৷ এর মাধ্যমে জাতির সামনে শুধু নিজেদের নয় সংসদকেও হেয় করা হয়েছে৷''

সুশাসনের জন্য নাগরিক বা সুজনের প্রধান ড. বদিউল আলম মজুমদার মনে করেন, অসংসদীয় ভাষা ব্যবহার করে সংসদ সদস্যরা জাতীয় সংসদের অবমাননা করেছেন৷ স্পিকার অথবা বিশেষ অধিকার কমিটির বিষয়টি আমলে নিয়ে দায়ী সংসদ সদস্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া উচিত৷ তিনি বলেন, ‘‘এই সংসদ সদস্যরা শুধু জনগণের অর্থ আর সময়ের অপচয়ই করছেন না, তারা জাতিকে বিভ্রান্তও করছেন৷ তারা সংসদ সদস্য হওয়ার যোগ্য কিনা তা ভেবে দেখতে হবে৷''

সুলতানা কামাল মনে করেন, এই অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে হলে শুধু সংসদে ভাষা ব্যবহার এবং আচরণবিধি নিয়ে সুনির্দিষ্ট আইন করে কাজ হবে না৷ বরং সংসদ সদস্যদের শিক্ষা, রুচিবোধ এবং জনগণের প্রতি দায়বদ্ধতার দিক থেকে বিষয়টি বিবেচনা করতে হবে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য