1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
সমাজইউক্রেন

শয়ে শয়ে দেহ মিলছে মারিউপলে

৯ জুন ২০২২

পূর্ব ইউক্রেনের মারিউপল থেকে বহু বেসামরিক ব্যক্তির দেহ মিলছে। অন্যদিকে খাদ্যসংকট নিয়ে রাশিয়ার নতুন বক্তব্য।

https://p.dw.com/p/4CRPb
ইউক্রেন
ছবি: Francisco Seco/AP Photo/picture alliance

বুধবার সন্ধ্যায় দৈনিক বক্তৃতায় ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি জানিয়েছেন, পূর্ব ইউক্রেনের একাধিক শহর থেকে শয়ে শয়ে দেহ উদ্ধার হচ্ছে। সম্পূর্ণ ধসে যাওয়া মারিউপলের বহুতলগুলি খন্ডহরে পরিণত হয়েছে। বাড়িগুলি থেকে শয়ে শয়ে দেহ উদ্ধার হচ্ছে। বেশিরভাগই বেসামরিক ব্যক্তিদের দেহ। দেহগুলি নিয়ে গিয়ে কবরের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। ওই অঞ্চলের অন্য জায়গা থেকেও একইভাবে দেহ উদ্ধারের আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন জেলেনস্কি

পাশাপাশি তিনি জানিয়েছেন, এযাবৎকালের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ লড়াই হচ্ছে সিভিয়েরোদনেৎস্কে। ইউক্রেনের সেনা জীবন দিয়ে রক্ষা করার চেষ্টা করছে শহরটি। যদিও এদিনই রাশিয়া দাবি করেছে, সিভিয়েরোদনেৎস্ক অঞ্চলটি রাশিয়ার সেনা প্রায় দখল করে নিয়েছে। এদিকে জেলেনস্কির দাবি, ডনবাসের যুদ্ধে রাশিয়ার প্রভূত ক্ষতি হচ্ছে। তাদের বহু সেনার মৃত্যু হয়েছে।

রাশিয়ায় বিচার

পূর্ব ইউক্রেন থেকে তিন বিদেশি যোদ্ধাকে গ্রেপ্তার করেছিল রাশিয়ার সেনা। তাদের মধ্যে দুইজন যুক্তরাজ্যের নাগরিক এবং একজন মরোক্কোর। রাশিয়া জানিয়েছে, তাদের বিচার শুরু হয়েছে এবং তারা আংশিক অপরাধ স্বীকার করেছে। রাশিয়ার দাবি, ওই যোদ্ধারা ইউক্রেনের হয়ে লড়াইয়ে সামিল হয়েছিলেন। আদালতে তারা অস্ত্র প্রশিক্ষণের কথা স্বীকার করেছেন। তবে সরাসরি যুদ্ধে অংশ নেয়ার কথা বলেননি। আদালত তাদের মৃত্যুদণ্ড দিতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। যুক্তরাজ্য জানিয়েছে, তারা সবরকমভাবে নিজেদের নাগরিকদের উদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছে।

খাদ্যসংকট নিয়ে বক্তব্য

বুধবার তুরস্কেরআঙ্কারায় তুরস্কের উপস্থিতিতে রাশিয়া জানিয়েছে, কৃষ্ণসাগর দিয়ে তারা ইউক্রেনের খাদ্যশস্য আফ্রিকায় পাঠাতে দেবে। ওই রাস্তায় তারা কোনো বাধা সৃষ্টি করেনি বলেও এদিন দাবি করেছে রাশিয়া। রাশিয়ার প্রতিনিধি জানিয়েছেন, বন্দর এলাকা থেকে ইউক্রেনকে মাইন সরিয়ে নিতে হবে। ওই করিডোর রাশিয়া খাদ্যশস্য নিয়ে যাওয়ার জন্য খুলে দেবে।

কিন্তু ইউক্রেন বলেছে, রাশিয়া যে সেখানে হামলা চালাবে না, তার প্রতিশ্রুতি দিতে হবে। তবেই বিষয়টি নিয়ে ইউক্রেন ভেবে দেখবে। ইউরোপীয় ইউনিয়নও রাশিয়ার বক্তব্য বিশ্বাসযোগ্য বলে মনে করছে না। তবে খাদ্য সংকট নিয়ে একটু হলেও কূটনৈতিক বরফ গলেছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

এসজি/জিএইচ (রয়টার্স, এপি, এএফপি)