শেষ মুহুর্তে কালো টাকার ছড়াছড়ি
২৯ ডিসেম্বর ২০০৮রবিবার সন্ধ্যা থেকে ঢাকাসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকায় ভোট কেনার লক্ষ্যে কালো টাকা ছড়ানোর অভিযোগ পাওয়া যায়৷ গভীর রাত পর্যন্ত ভোটারদের মাঝে কালো টাকা বিতরনের সময় অন্তত ২৫জনকে গ্রেপ্তার করেছে নিরাপত্তা বাহিনীর কর্মকর্তারা৷ ধৃতরা চারদলীয় জোটের নেতাকর্মী বলে প্রকাশ৷ মাগুরা, চট্টগ্রাম, সাতক্ষীরা, নোয়াখালী, কক্সবাজার, টেকনাফ, নীলফামারিও কুড়িগ্রামসহ কয়েকটি এলাকা থেকে টাকা বিতরণের সময় হাতেনাতে গ্রেপ্তার করা হয় তাদের৷ এ সময় উদ্ধার করা হয়েছে কয়েক কোটি টাকা এবং আটক করা হয়েছে প্রাইভেট কারও৷
এদিকে নির্বাচনের আগেই ব্যালট পেপারে সিল মারার সময় পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে টাঙ্গাইলের একটি ভোট কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার শফিকুল ইসলামকে৷ ঐ কেন্দ্রের আট কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার করা হয়েছে৷
এবারের জাতীয় নির্বাচনে অংশ নেওয়া প্রার্থীদের মধ্যে চারদলীয় জোটের ১০২জন এবং মহাজোটের ৮২জন প্রার্থী হত্যা সহ বিভিন্ন মামলার আসামী৷ দুর্নীতি মামলায় দন্ডপ্রাপ্তরাও এবার নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন৷ জনগনের প্রত্যাশার সঙ্গে এই বিষয়টির কোন মিল নেই বলে মনে করেন সুজন-এর মহাসচিব ড. বদিউল আলম মজুমদার৷ ডয়চে ভেলেকে তিনি বলেন, আমরা ৫৪জনকে চিহ্নিত করেছি, যাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা রয়েছে৷ কারো কারো বিরুদ্ধে চার্জশিটও হয়েছে৷
বদিউল আলম মজুমদার বলেন, যেটা ভয়ানক, সেটা হলো প্রার্থীদের অন্তত একশ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা রয়েছে৷ এরা সবাই হত্যা করেছে- তা নয়৷ কিন্তু এদের মধ্যে একটা উল্লেখযোগ্য সংখ্যক আছে যারা সত্যিকার অর্থেই এই অপকর্মের সঙ্গে জড়িত৷ রাষ্ট্রপতির নির্দেশে দন্ড মওকুফ হয়েছে এরকমও তিনজন আছে৷
বদিউল আলম মজুমদার আরো বলেন, সরকারের সঙ্গে ব্যবসাগত সম্পর্ক আছে, এরকম অনেকেও নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছেন৷ আমাদের গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ অনুযায়ী এরকম কেউ কিন্তু নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারেন না৷
এবার যুদ্ধাপরাধীদেরও নির্বাচন থেকে দূরে রাখা যায়নি৷ অন্তত ২৮জন যুদ্ধাপরাধী এই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছেন৷ এ প্রসঙ্গে সাবেক সেনাবাহিনী প্রধান ও মুক্তিযুদ্ধের সেক্টর কমান্ডার কে এম শফিউল্লাহ বলেন, যারা আমাদের দেশের স্বাধীনতাকে বিশ্বাস করে না, আমাদের সংসদকে বিশ্বাস করে না, যারা আমাদের জাতীয় পতাকাকে বিশ্বাস করে না, যারা জাতীয় সঙ্গীতকে বিশ্বাস করে না- তাদেরকে সংসদে পাঠানোর অর্থ হলো আমাদের দেশকে অপমান করা৷