1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

শেরপুরের গারো পাহাড়ে বাঘের আনাগোনা

৬ অক্টোবর ২০২২

শেরপুরের সীমান্তবর্তী ঝিনাইগাতীর গারো পাহাড় সংলগ্ন পাঁচটি গ্রামে বাঘ আতঙ্ক বিরাজ করছে৷ বন এলাকায় গবাদি পশু চরাতে ভয় পাচ্ছেন স্থানীয়রা৷ প্রকাশ্যে দিনের বেলাতেই বনাঞ্চলে বাঘ চলাফেরা করছে৷

https://p.dw.com/p/4Hoq8
ছবি: Jahangir Alam Onuchcha /imago images

ডয়চে ভেলের কনটেন্ট পার্টনার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, স্থানীয়রা বলছেন, বাঘগুলোর আকার লম্বায় প্রায় চার ফুট ও উচ্চতা প্রায় তিন ফুট৷ উপজেলার কাংশা ইউনিয়নের বাঁকাকূড়া, পশ্চিম বাঁকাকূড়া, গান্ধিগাঁও, হালচাটি ও ছোট গজনী গ্রামে গত এক সপ্তাহে গরুসহ প্রায় ২০টি ভেড়া ও ছাগল বাঘের পেটে গেছে৷ বনের ভেতর আহত এবং ক্ষত-বিক্ষত অবস্থায় পাওয়া গেছে একটি ছাগল, একটি ভেড়া ও একটি গরু৷ বাঘের আক্রমণের ভয়ে গ্রামের শিশুরাও স্কুলে যেতে ভয় পাচ্ছে৷ তবে এখনও পর্যন্ত কোনো মানুষ ওই বাঘের আক্রমণের শিকার হয়নি বলে জানান তারা৷

ঘটনাটি জানার পর বন বিভাগের রাংটিয়া রেঞ্জের পক্ষ থেকে স্থানীয়দের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে৷

প্রকাশ্যে দিনের বেলাতেই ঝিনাইগাতীর বনাঞ্চলে বাঘ চলাফেরা করছে বলে জানান বাঁকাকুড়া গ্রামের কৃষক আব্দুল হালিম ৷ সেই সঙ্গে বন সংলগ্ন বিভিন্ন বাড়িতে হামলা করে ছাগল ও ভেড়া ধরে গিয়ে ধরে নিয়ে যাচ্ছে৷ পরবর্তীতে গভীর জঙ্গলে ওই ছাগল ও ভেড়ার নাড়ি-ভুড়ি ও দেহাবশেষ পড়ে থাকতে দেখতে পাচ্ছেন গ্রামবাসীরা৷

তিনি বলেন,  ‘‘আমি প্রায় ২০-২৫ বছর ধরে বনের মধ্যে ঘরে থাকি৷ আমি সপ্তাহ খানেক ধরে রাতে বাঘের ডাকাডাকি শুনছি৷ আগে ছিল বন্যহাতির আতঙ্ক, এখন নতুন করে শুরু হয়েছে বাঘের আতঙ্ক৷”

একই গ্রামের স্কুল ছাত্র রবিন বলেন, ‘‘আমরা এখন দলবদ্ধভাবে বনের রাস্তা বাদ দিয়ে অন্য রাস্তায় স্কুলে যাচ্ছি৷ বাবা-মা আমাদের বাঘের আক্রমণের জন্য সতর্ক করে দিয়েছেন৷ আমরা স্কুলে যেতে এখন ভয় পাচ্ছি৷”

এক সপ্তাহ ধরে বাঘের আনাগোনা শুরু হয়েছে জানিয়ে রাংটিয়া রেঞ্জের বন বিভাগের বন প্রহরী আলম মিয়া বলেন,  ‘‘আমি নিজের চোখেও বাঘ দেখেছি৷ এছাড়া রাতে আমার বাড়ি থেকে দুটি ছাগল বাঘে কামড় দিয়ে ধরে নিয়ে গেছে৷ এ ব্যাপারে বন বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আমরা কথা বলেছি৷ তারা আমাদের সতর্ক থাকার জন্য নির্দেশনা দিয়েছেন৷ ’’

উত্তর বাকাকুড়া গ্রামের আব্দুর রহমান নামে এক কৃষক বলেন,  ‘‘রাতে আমার ছাগল বাঘে আক্রমণ করে৷ আমি বাঘকে খুব কাছ থেকে দেখেছি৷ পরে বাঁশ-লাঠি নিয়ে তাড়া করলে আমার ছাগলটি ছেড়ে দিয়ে বাঘ চলে যায়৷ এতে আমার ছাগলটি গুরুতর আহত হয়েছে৷ আহত ছাগলটিকে এখন চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে৷’’

তিনি আরও বলেন, দিনের বেলায় বাঘ গহীন বনে অবস্থান করে৷ রাতের বেলায় এদের আনাগোনা শুরু হয়৷ আমরা খুব আতঙ্কের মধ্যে দিন পার করছি৷ বিশেষ করে আমাদের শিশু বাচ্চাদেরকে আমরা দিনের বেলাতেও বাড়ির বাইরে বের হতে দিচ্ছি না৷ 

এ বিষয়ে রাংটিয়া রেঞ্জের গজনী বীটের বীট কর্মকর্তা মকরুল ইসলাম আকন্দ বলেন, ‘‘সম্প্রতি গারো পাহাড়ে গভীর জঙ্গলে বাঘের আগমন ঘটেছে৷ আমরা গ্রামবাসীদের সতর্কতার সঙ্গে চলাচলের পরামর্শ দিয়েছি৷ প্রয়োজনে আরও সতর্ক করার জন্য মাইকিং করার বিষয়েও চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে৷’’

এনএস/কেএম (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)  

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য