শূন্য রানেই আউট আশরাফুল!
৬ মে ২০১০সাকিব আল হাসানের সেই কথাতে অনেকে হয়তো বাংলাদেশ দল নিয়ে আশা করা ছেড়ে দিয়েছেন, কিংবা টিভি পর্দায় টোয়েন্টি টোয়েন্টি দেখতে গিয়ে সমর্থন করেছেন অন্য কোন দলকে৷ কিন্তু তারপরও ক্রিকেট পাগল বাঙালি কি এতটা ব্যর্থতা আশা করেছিল?
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে বাংলাদেশের সেরা দুই ব্যাটসম্যানের সংগ্রহ শূন্য৷ তার উপর দু'জনই ওপেনার৷ হ্যাঁ, বলছি ইমরুল কায়েস আর মোহাম্মদ আশরাফুল এর কথা৷ এই দু'জনের শূন্যের ধাক্কা সামলাতে নেমে ১ রানেই আউট আফতাব আহমেদ৷ তারপর সবেধন নীলমনি সাকিব আল হাসান খেলতে নেমে দলের ইজ্জত কিছুটা বাঁচিয়েছেন৷ সর্বোচ্চ ২৮ রানের ইনিংস তাঁর৷ সঙ্গে অবশ্য সমর্থন জুগিয়েছেন মুশফিকুর রহিম, সংগ্রহ ২৪৷ এছাড়া বাংলাদেশ দশের অন্য কোন ক্রিকেটারই পার হতে পারেনি কুড়ির ঘর৷ সাকুল্যে সংগ্রহ ১১৪ রান, তাও আবার সব উইকেট হারিয়ে!
অথচ শুরুতে ব্যাট করতে নামা অস্ট্রেলিয়া কি খুব বড় কোন টার্গেট দিয়েছিল বাংলাদেশকে? না, টোয়েন্টি টোয়েন্টির হিসেবে ১৪১ রান খুব বড় কোন লক্ষ্যমাত্রা নয়৷ তবুও সেই একই রোগ বাংলাদেশের৷ ব্যাটিং ভালো করেতো, বোলিংয়ে খারাপ৷ আর বোলিং ভালো তো ব্যাটিং যাচ্ছেতাই৷
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বারবাডোজে বুধবারের ম্যাচে প্রথমে কিন্তু অস্ট্রেলিয়াকে কোনঠাসা করে ফেলে বাংলাদেশ৷ মাশরাফি মোর্তাজা চটপট তুলে নেন দুই উইকেট৷ সঙ্গে যোগ দেন সাকিব আর আশরাফুল৷ ফলে ৫৭ রান অবধি পৌঁছাতেই অস্ট্রেলিয়া হারায় ৫ উইকেট! কিন্তু সেখান থেকেও দলকে টেনে তোলেন মাইক হাসি এবং স্টিভেন স্মিথ৷ ২৯ বলে ৪৭ রান করে অপরাজিত থাকেন হাসি৷ ম্যান অফ দ্যা ম্যাচ এর খেতাবটাও জুটেছে তাঁর কপালে৷
ইদানিং অবশ্য ক্রিকেটের চেয়ে ক্রিকেট রাজনীতি নিয়েই বাংলাদেশ দলের মধ্যে গুঞ্জন বেশি৷ বিসিবি প্রধানের সঙ্গে অধিনায়কের দ্বন্দ্ব, কিংবা মাশরাফির অভিমান ছাপিয়ে আলোচনা এখন কোচ জিমি সিডন্স আর আশরাফুল এর সম্পর্ক নিয়ে৷ আগের ম্যাচে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে আশরাফুল ৬৫ রান করার পর সিডন্সের মন্তব্য ছিল, পরের ম্যাচে আশরাফুল শূন্য রানে আউট হবে৷ কাকতালীয়ভাবে হয়েছেও তাই৷ কিন্তু প্রশ্নটা অন্য জায়গায়, কোচের এধরণের মন্তব্য কি আশরাফুলকে অনেক বেশি চাপ দিচ্ছে না?
প্রতিবেদক: আরাফাতুল ইসলাম
সম্পাদনা: রিয়াজুল ইসলাম