1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

শীত অলিম্পিকে রাশিয়ার ব্যর্থতায় ক্ষুব্ধ পুটিন

৬ মার্চ ২০১০

ভ্যাঙ্কুভারের সদ্য সমাপ্ত শীত অলিম্পিকে রাশিয়ার সামগ্রিক ফলাফল নিয়ে বেশ অসন্তুষ্ট প্রধানমন্ত্রী ভ্লাদিমির পুটিন৷ তাঁর মতে, অলিম্পিকের জন্য বরাদ্দ করা অর্থের অপব্যবহার হয়েছে৷

https://p.dw.com/p/MLeO
ভ্যাঙ্কুভারে মহিলাদের বায়াথেলনে সোনাজয়ী রাশিয়ার ওলগা জাইটসোভাছবি: AP

রাশিয়ার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট এবং বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ভ্লাদিমির পুটিন বেশ চটেছেন রুশ ক্রীড়া দপ্তরের ওপর৷ শীত অলিম্পিকে তাঁর দেশ পেয়েছে মাত্র পনেরোটি পদক, যার মধ্যে স্রেফ তিনটি সোনা৷ অথচ ২০০৬ সালে টুরিনে আয়োজিত শীত অলিম্পিকে এই রাশিয়াই জিতে নিয়েছিল মোট বাইশটি পদক, যার মধ্যে আটটি ছিল সোনা৷ শুক্রবার রুশ ক্রীড়া দপ্তরের শীর্ষ কর্তাব্যক্তিদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন পুটিন, বলে দেন, ২০০৬ সালের টুরিন শীত অলিম্পিকের জন্য যে পরিমাণ অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছিল, ২০১০-এর অলিম্পিকে তার পাঁচগুণ বেশি অর্থ বরাদ্দ করেছিল ক্রেমলিন৷ অথচ ফলাফল হয়েছে অত্যন্ত হতাশাজনক৷ যার অর্থ, অলিম্পিকের জন্য বরাদ্দ করা টাকা অন্য কোন খাতে চলে গেছে৷ উন্নতি হয় নি খেলাধুলার মানের৷ আর সে কারণেই এই শোচনীয় ফলাফল৷

Putin auf dem Parteitag von Einiges Russland
অলিম্পিকে ব্যর্থতায় ক্ষুব্ধ ক্রীড়াপ্রেমী প্রধানমন্ত্রী পুটিনছবি: AP

প্রধানমন্ত্রী পুটিনই শুধু নন, রাশিয়ার এবারের ফলাফলে দেশ জুড়ে অসন্তোষ দেখা গেছে৷ শীত অলিম্পিকে রাশিয়ার প্রভাব সবসময়েই জোরদার৷ বিষয়টিকে পাশ্চাত্ত্যের সঙ্গে ঠান্ডা লড়াইয়ের নতুন অধ্যায় হিসেবেই দেখে থাকে রাশিয়া৷ যাতে অ্যামেরিকা সহ অন্যান্য পশ্চিমের দেশকে পিছনে ফেলে এগিয়ে থাকে রুশ আধিপত্য৷ কিন্তু এবারের ফলাফল এতটাই খারাপ যে সেই গর্ব চুরমার হয়ে গেছে মস্কোর৷ যে কারণে প্রেসিডেন্ট মেদভেদেভ গত সোমবারেই রুশ ক্রীড়া দপ্তরের সব হর্তাকর্তাকে পদত্যাগ করার নির্দেশও দিয়েছেন৷

২০১৪ সালের শীত অলিম্পিক অনুষ্ঠিত হবে রাশিয়ার কৃষ্ণসাগরের সি-রিসর্ট সোচি-তে৷ পুটিন নিজে সে বিষয়ে সবচেয়ে বেশি উদ্যোগ নিয়েছেন৷ তাছাড়া রাশিয়ার রাজনীতিতে তো বটেই, আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব পুটিন, যাঁকে বলা হয়ে থাকে লৌহমানব, তিনি নিজে সবচেয়ে বেশি পছন্দ করেন স্কিয়িং করতে৷ সুতরাং শীত অলিম্পিকে রাশিয়ার এই অধঃপতন তাঁর মেনে না নেওয়ার কারণটা খুবই যুক্তিযুক্ত৷

প্রতিবেদন- সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়

সম্পাদনা - আরাফাতুল ইসলাম