1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
স্বাস্থ্যবাংলাদেশ

শীতে শিশু-মৃত্যু বাড়ছে

৫ জানুয়ারি ২০২৩

রংপুরে শীতজনিত রোগে আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা বাড়ছে। নিউমোনিয়া, ডায়রিয়া, শ্বাসকষ্ট, জ্বর, সর্দিসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত শিশুদের রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হচ্ছে।

https://p.dw.com/p/4Lkpk
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবিছবি: Getty Images/AFP/D. Sarkar

ভর্তি হওয়া শিশুদের মধ্যে এক সপ্তাহে ১৫ শিশু ও নবজাতকের মৃত্যু হয়েছে, যা সপ্তাহে স্বাভাবিক মৃত্যুর চেয়ে দ্বিগুণ। গত এক সপ্তাহে মৃত্যু বরণ করা শিশুদের বয়স এক মাস থেকে তিন বছর।

হাসপাতালের শিশু বিভাগের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ইনচার্জ ও জ্যেষ্ঠ স্টাফ নার্স শিখলি খাতুন বলেন, শীতজনিত রোগে শিশুরা ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে। গত এক সপ্তাহের মধ্যে নিউমোনিয়া, ডায়রিয়াসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত শিশু ভর্তি করা হয়েছে।

গতকাল বুধবার সকালে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে দেখা যায়, প্রতিটি শয্যায় একাধিক শিশু চিকিৎসা নিচ্ছে। শয্যা না পেয়ে অনেক শিশুকে মেঝেতে বিছানা পেতে রাখা হয়েছে। কোনো কোনো শয্যায় মায়েরা তাঁদের অসুস্থ শিশুসন্তান নিয়ে বসে আছেন। শিশুর সঙ্গে থাকা অভিভাবকদের ভিড়ে নার্স ও চিকিৎসকেরা সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন।

লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ থেকে গত সোমবার আড়াই মাস বয়সী শিশু আহনাফকে নিয়ে এসে হাসপাতালে ভর্তি করিয়েছেন তার মা আলোবানু। তিনি বলেন, শীতে হঠাৎ তাঁর ছেলের সর্দি-কাশি দেখা দেয়। শীতের কারণে নিউমোনিয়া হয়েছে বলে চিকিৎসকেরা তাঁকে জানিয়েছেন।

হাসপাতালের শিশু বিভাগ সূত্রে জানা যায়, গত ২৮ ডিসেম্বর থেকে ৩ জানুয়ারি পর্যন্ত ১ সপ্তাহে ১৫ শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে রংপুরের মিঠাপুকুরের ১০ মাসের শিশু ওমর আলী, লালমনিরহাট পাটগ্রামের ৩ বছরের শিশু, গাইবান্ধার নবজাতক, কুড়িগ্রামের চিলমারীর আড়াই বছরের শিশু, রংপুর নগরের শালবন এলাকার ১৯ মাসের মাহমুদুল নামের শিশু আছে। শিশু ওয়ার্ডে সপ্তাহে সাত থেকে আটজনের মৃত্যু হয়। শীতের প্রকোপ বাড়ায় অন্যান্য রোগে আক্রান্ত শিশুরও মৃত্যুর হার বাড়ে।

হাসপাতালের শিশু বিভাগের রেজিস্ট্রার চিকিৎসক তানভীর চৌধুরী বলেন, শুধু শীতজনিত রোগে এসব শিশুর মৃত্যু হয়নি। ওজনে কম থাকা নবজাতক ও অপরিপক্ব শিশুদের স্বাভাবিক মৃত্যুও হয়েছে।

শিশু ওয়ার্ডের চিকিৎসক ও নার্সরা জানিয়েছেন, দুটি শিশু ওয়ার্ডে দুই সপ্তাহ ধরে শিশু রোগী ভর্তির সংখ্যা শয্যার চেয়ে কয়েক গুণ বেশি। যাদের বয়স এক দিন থেকে চার বছর পর্যন্ত। শীতের আগে এই ওয়ার্ডে এভাবে এত রোগী থাকতে দেখা যায়নি। শীতের প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় নবজাতকদের শ্বাসকষ্ট, নিউমোনিয়া দেখা দেয়। এ সময় শীতজনিত রোগ ছাড়াও নবজাতকের ক্ষেত্রে অপরিপক্ব ও কম ওজনের শিশুও ভর্তি হয়। তাদের উষ্ণতার প্রয়োজন হয়। কিন্তু সে অনুযায়ী তারা উষ্ণতা পায় না। এ জন্য মায়েদের এই সময়টা বেশি সচেতন ও সতর্ক হওয়া দরকার।

শিশু ওয়ার্ডের বিভাগীয় প্রধান সুজাউদ্দৌলা প্রথম আলোকে বলেন, শীতের প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় নবজাতকদের শ্বাসকষ্ট, নিউমোনিয়া দেখা দেয়। নবজাতকের ক্ষেত্রে অপরিপক্ব ও কম ওজনের শিশু জন্মের সময় মাথায় আঘাত পাওয়া শিশুদের মৃত্যু হয়েছে। গরমের সময় তেমন সমস্যা না হলেও শীতের প্রকোপে এসব শিশুরা কাহিল হয়ে পড়ে।

একেএ/কেএম (প্রথম আলো)