শিশুর জন্য মায়ের দুধ, নানা রোগের মহৌষধ
মায়ের দুধের গুণের কথা সকলেই জানেন৷ তবে সাম্প্রতিক এক সমীক্ষা জানাচ্ছে শুধু শিশুর জন্যই মায়ের দুধ উপকারীই নয়৷ মাতৃদুগ্ধ যেমন শিশুকে নানা রোগ থেকে দূরে রাখে তেমনি যিনি দুধ পান করাচ্ছেন, তাঁকেও নানা অসুখ থেকে দূরে রাখে এটি৷
মা-বাবার সিদ্ধান্ত
শিশু জন্মের পর তাকে মায়ের বুকের দুধ পান করানো হবে কিনা সে সিদ্ধান্ত নেবে নতুন মা-বাবাই৷ তবে শিশুর স্বাস্থ্যের কথা চিন্তা করলে মায়ের বুকের দুধই শিশুর জন্য সবচেয়ে উৎকৃষ্ট খাবার৷
যা যা আছে
মায়ের বুকের দুধে নবজাতক শিশুর জন্য প্রয়োজনীয় সব পুষ্টিগুণই থাকে, যাতে একটি শিশু সুস্থভাবে বেড়ে উঠতে পারে৷ এ কথা জানা যায় সাম্প্রতিক একটি গবেষণা থেকে৷
অ্যাজমার ঝুঁকি কমায়
মায়ের দুধ পান করলে শিশুর অ্যাজমার ঝুঁকি কমে শতকরা ৪০ভাগ – এই তথ্যটি জানা যায় ক্যানাডিয়ান একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্প্রতিক করা গবেষণা থেকে৷ বলা বাহুল্য, জার্মানিতে শিশুরা যে রোগগুলোতে সবচেয়ে বেশি ভোগে তা হলো অ্যাজমা বা হাঁপানি৷
প্রতি ফোটা দুধই শিশুর জন্য গরুত্বপূর্ণ
একটি শিশু প্রতি মাসে যতদিন যতটুকু দুধই পান করুক না কেন, তার প্রতি ফোটাই অ্যাজমা বা হাঁপানি রোগ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে৷ জানা যায়, প্যারিসের মাতৃদুগ্ধ বিষয়ক একটি গবেষণা গ্রুপের করা সমীক্ষা থেকে৷ তথ্যটি দিয়েছেন গবেষক গ্রুপের প্রধান মেঘান আজাদ৷
তবে পাম্প করা দুধ নয় কিন্তু!
যে শিশু সরাসরি মায়ের বুক থেকে দুধ পান করে তার অ্যাজমার ঝুঁকি কমে বেশি৷ পাম্প করে নিয়ে পরে দুধ খাওয়ালে নাকি উপকার কম হয়৷ কারণ ধারণা করা হয়, পাম্প করা দুধ ঠান্ডা হলে তার গুণ কমে যায়৷ তাই মায়ের দুধ সরাসরি পান করারই পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা৷
শিশুর ফুসফুসকে শক্তিশালী করে
মায়ের দুধ সরাসরি পান করার মধ্য দিয়ে শিশুর ফুসফুসও শক্তিশালী হয়৷
কমপক্ষে ছ’মাস
বিশেষজ্ঞদের মতে শিশুকে কমপক্ষে চার থেকে ছ’মাস বুকের দুধ পান করানো উচিত৷ কারণ এতে শিশুর ডায়বেটিস, অতিরিক্ত ওজন বাড়া, অ্যালার্জি এবং ইনফেকশনের ঝুঁকি কমে৷
মায়ের উপকার
শিশু মায়ের দুধ পান করলে মায়ের স্তন ক্যানসার ও ডায়বেটিসের ঝুঁকি কমে৷ তাছাড়া তাড়াতাড়ি মায়ের গর্ভকালীন ওজন কমাতেও সাহায্য করে এটি৷ তাছাড়া দুধ পান করানোর মধ্য দিয়ে মা এবং শিশুর মধ্যে সম্পর্ক আরো গভীর এবং মজবুত হয়৷