1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

চবিতে ছাত্রলীগের অবরোধ প্রত্যাহার

২ আগস্ট ২০২২

ফেসবুকে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল ‘কঠোর' হওয়ার বার্তা দেওয়ার পর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় দুদিন ধরে অচল করে রাখা অবরোধ প্রত্যাহার করে নিয়েছেন ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা৷

https://p.dw.com/p/4F0Lx
প্রতীকী ছবিছবি: bdnews24.com

মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে অবরোধ কর্মসূচি প্রত্যাহারের কথা জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শাটল ট্রেনের বগিভিত্তিক সংগঠন বিজয় গ্রুপের নেতা দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘‘আমাদের আন্দোলনের মূল উদ্দেশ্য ছিল আমাদের নেতা মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল ভাইকে জানানো যে, আমরা পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে পদবঞ্চিত হয়েছি৷

‘‘নেতা বিষয়টি অবগত হয়েছেন, সেটি আমরা জানতে পেরেছি৷ এখন আমরা পদ-পদবী পাব কিনা, সেটা আমাদের নেতা জানেন৷ আমরা নেতাকে বিষয়টি জানাতে পারিনি বলেই আন্দোলন করতে বাধ্য হয়েছি৷’’

রোববার রাতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের ৩৭৬ বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ৷ সেই তালিকায় জায়গা বা কাঙ্ক্ষিত পদ না পেয়ে মূল ফটক আটকে অবরোধের ডাক দেন ছাত্রলীগের কিছু নেতাকর্মী৷ তাদের অবরোধে সোমবার ও মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস ও ট্রেন বন্ধ থাকে৷ ফলে ক্লাস-পরীক্ষাসহ শিক্ষা কার্যক্রমও অচল হয়ে পড়ে৷ 

আন্দোলনকারীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারীদের ‘হুমকি দিয়েছে' জানিয়ে নিরাপত্তার কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস-ট্রেন বন্ধ রাখার কথা জানান প্রক্টর রবিউল হাসান ভূঁইয়া৷

বিষয়টি নিয়ে মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে ফেসবুকে একটি পোস্ট দেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল৷ সেখানে তিনি লেখেন-  ‘‘ছাত্র সংগঠনের পদপদবীর বিষয়ে কোনো দাবি-দাওয়া থাকলে সংগঠনের যে কোনো কর্মী, নেতৃবৃন্দের সাথে আলোচনা করতে পারে৷ কোনো সাংগঠনিক দাবি থাকলে সেটি সংগঠনকে সাথে নিয়ে সমাধান করা যায়৷

 ‘‘কিন্তু সাংগঠনিক বিষয় নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার পরিবেশ বিনষ্ট করা, ভাঙচুর করা, অপহরণ করা, অপরাধের হুমকি দেওয়া, হত্যার হুমকি দেওয়া কোনোভাবেই ছাত্র সংগঠনের আদর্শিক কর্মীর কাজ হতে পারে না৷’’

চট্টগ্রাম নগর আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি প্রয়াত মহিউদ্দিন চৌধুরীর ছেলে নওফেল লেখেন,  ‘‘যারা এসব করছে তারা নিজেদের ব্যক্তি স্বার্থেই অরাজকতা করছে, এদের কাছে সংগঠন বা শিক্ষার মূল্য আছে বলে মনে হয় না৷ নিজেদের সাংগঠনিক দাবিতে অপরাধমূলক সহিংসতা যারা করছে, তাদের বিষয়ে সংগঠন এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অত্যন্ত কঠোর হওয়া প্রয়োজন৷’’

শিক্ষা উপমন্ত্রীর ওই ফেসবুক পোস্ট আসার পরপরই অবরোধ প্রত্যাহার করে আন্দোলনকারীরা ক্যাম্পাস ছাড়েন৷ রোববার রাতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের ৩৭৬ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটির তালিকা প্রকাশের পরই ছাত্রলীগের এই নেতাকর্মীরা প্রধান ফটক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেছিলেন৷

সোমবার বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের জিরো পয়েন্টে সংবাদ সম্মেলন করে পাঁচ দফা দাবিও তুলেছিলেন তারা৷ এর মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি বর্ধিত করা; সকল অছাত্র, জামায়াত-বিএনপি ও বিবাহিতদের কমিটি থেকে বাদ দেওয়ার দাবিও ছিল৷

২০১৯ সালে ১৪ জুলাই রেজাউল হককে সভাপতি ও ইকবাল হোসেনকে সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করে এক মাসের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের দায়িত্ব দেওয়া হলেও সে সময় তা হয়নি৷ এর তিন বছর পর পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন হলে, ছাত্রলীগের একাংশের নেতাকর্মীরা তা নিয়ে আপত্তি তোলেন৷

এনএস/কেএম (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)  

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য