1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

শার্লি এব্দোতে এর্দোয়ানের কার্টুন

২৮ অক্টোবর ২০২০

কার্টুন নিয়ে ফ্রান্স ও তুরস্কের প্রেসিডেন্টের মধ্যে সংঘাতের মধ্যেই শার্লি এব্দো পত্রিকা এ বার বের করেছে এর্দোয়ানের কার্টুন।

https://p.dw.com/p/3kWSh
ছবি: Sercan Kucuksahin/AA/picture-alliance

মাক্রোঁ বনাম এর্দোয়ানের প্রবল বিরোধের মধ্যেই শার্লি এব্দো পত্রিকায় বের হলো তুরস্কের প্রেসিডেন্টের কার্টুন। প্রচ্ছদ কার্টুনই এর্দোয়ানকে নিয়ে। মহানবী হযরত মোহাম্মদ(সাঃ)-র কার্টুন প্রকাশ করে শার্লি এব্দো পত্রিকাই বিতর্কের ঝড় তুলেছিল। চরমপন্থীরা শার্লি এব্দোর অফিস আক্রমণ করে প্রচুর কর্মীকে হত্যা করেছিল। সেই কার্টুন দেখিয়ে মত প্রকাশের স্বাধীনতা ব্যাখ্যা করতে গিয়েছিলেন শিক্ষক স্যামুয়েল প্যাটি। তাঁকেও হত্যা করেছে ১৯ বছর বয়সী চেচেন যুবক। 

এরপর ফরাসি প্রেসিডেন্ট মাক্রোঁ জানিয়েছিলেন তিনি মত প্রকাশের স্বাধীনতার পক্ষে। এই অবস্থান থেকে পিছিয়ে আসার কোনো সম্ভাবনা নেই। এর্দোয়ানের মত ছিল, মাক্রোঁ ইসলামকে অপমান করতে পারেন না। মাক্রোঁকে ফ্যাসিস্ট আখ্যা দিয়ে এর্দোয়ান বলেছিলেন, কেউ যেন ফরাসি জিনিস না কেনেন। তারপর আরব দুনিয়ার অনেক দেশই ফরাসি জিনিস বয়কট করেছে। শার্লি এব্দোর কার্টুনের বিষয় এ বার-- এর্দোয়ান ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা।

Titelseite von Charlie Hebdo I Twitter-Screenshot
ছবি: Charlie Hebdo/Twitter

তবে এই কার্টুন নিয়েই ডাচ দক্ষিণপন্থী রাজনীতিবিদ উইল্ডার্সের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেছেন এর্দোয়ান। তুরস্কে এই ধরনের অপরাধে দুই বছর পর্যন্ত জেল হতে পারে। গত শনি ও সোমবার উইল্ডার্স দুইটি কার্টুন শেয়ার করেছিলেন। একটিতে দেখা যাচ্ছে, এর্দোয়ান বোমার মতো একটি টুপি পরে আছেন। তার নীচে লেখা 'সন্ত্রাসবাদী'। অন্যটিতে তুরস্কের পতাকা নিয়ে ডুবন্ত জাহাজের ছবি। তার ক্যাপশন হলো, 'বাই বাই এর্দোয়ান, তুরস্ককে ন্যাটো থেকে কিক করে বের করে দেয়া হোক'।

ফ্রান্সের নালিশ

মাক্রোঁ বনাম এর্দোয়ান লড়াই আর শুধু কার্টুন বা একে অন্যের বিরুদ্ধে কথা-যুদ্ধে সীমাবদ্ধ নেই। ফ্রান্স ইইউ-কে জানিয়েছে, তুরস্কের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। কারণ, এর্দেয়ান ফরাসি জিনিস বয়কটের ডাক দিয়েছেন। তিনি মাক্রোঁর মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে প্রশ্ন তুলে তাঁকে অপমান করেছেন।

ফ্রান্সের বাণিজ্য মন্ত্রী বলেছেন, ফ্রান্স ঐক্যবদ্ধ, ইউরোপও তাই। ইউরোপিয়ান কাউন্সিলের পরবর্তী বৈঠকে ক্ষমতার ভারসাম্যকে আরো শক্তিশালী করার জন্য সিদ্ধান্ত নিতে হবে। তুরস্ক যাতে ইউরোপীয় মূল্যবোধ ও স্বার্থ মেনে চলে তার ব্যবস্থা করতে হবে।

আবার তুরস্কের পর্লামেন্টে মাক্রোঁর বিবৃতির তীব্র নিন্দা করা হয়েছে। চারটি প্রধান রাজনৈতিক দল একযোগে জানিয়েছে, মাক্রোঁ মত প্রকাশের স্বাধীনতা নিয়ে যা বলেছেন, তাতে প্রবল বিরোধ দেখা দিতে পারে। তার প্রভাব সব ধর্মের লোকেদের উপরে পড়বে।

জিএইচ/এসজি(এপি, এএফপি, রয়টার্স, ডিপিএ)