শরণার্থীদের পাশে জার্মানির প্রখ্যাত তারকারা
শরণার্থীর যাতে কষ্ট না হয় সেদিকে জার্মান সরকার যতটা সম্ভব লক্ষ্য রাখছে৷ সংগীত ও অভিনয় জগতের তারকাও নানাভাবে সাহায্য-সহযোগিতা করছেন মূলত মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকা থেকে আসা শরণার্থীদের৷
‘শরণার্থী, স্বাগতম’
অনেক জার্মান তারকাই শরণার্থীদের সহায়তার জন্য নানা ধরণের উদ্যোগ নিচ্ছেন৷ ইলেক্ট্রো হিপহপ ব্যান্ড ‘ডাইশকিন্ড’ গত মার্চ মাসে এক অনুষ্ঠানে ‘স্বাগতম, শরণার্থী’ লেখা কাপড় বিক্রি শুরু করেছিল৷ সে উদ্যোগের পরিসর আরো বেড়েছে৷ এখন অনলাইনে অর্ডার দিয়েও কেনা যায় ওই ধরনের কাপড়৷ কাপড় বিক্রির টাকাটা শরণার্থীদের কল্যাণ সংগঠন ‘প্রো আস্যুল’-কে দিয়ে দেয় ডাইশকিন্ড৷
গানই হাতিয়ার
এক সংগীত শিক্ষক সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে বর্ণবাদের বিরুদ্ধে প্রচারণা চালাচ্ছেন৷ নিজের কার্যক্রমটির নাম দিয়েছেন, ‘আকৎসিওন আর্শলখ’ বা ‘ইনিশিয়েটিভ অ্যাসহোল’৷ গান শুনিয়েই উপার্জন করা হয় সেখানে৷ উপার্জনের টাকা ‘প্রো আস্যুল’-কেই দেয় তারা৷
এসো বন্ধু
জার্মান রকস্টার উডো লিন্ডেনব্যার্গ ২০০ জন শরণার্থীদের জন্য একটা অনুষ্ঠান করছেন৷ ব্রেমেনে হবে অনুষ্ঠানটি৷ সে অনুষ্ঠানে শরণার্থীদের নিয়ে লেখা একটি গানও গাইবেন৷ শরণার্থীদের উদ্দেশ্যে গানটিতে বলা হয়েছে, ‘‘এসো আমরা বন্ধু হয়ে যাই৷ তোমরা আমাদের বাড়িতে এসেছো৷ কেউ বের করে দেবে না তোমাদের৷’’
শরণার্থীদের জন্য ফাউন্ডেশন
অভিনেতা এবং পরিচালক টিল শোয়াইগার শরণার্থীদের জন্য নিজের নামে একটি ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করেছেন৷ অনেক বড় বড় ব্যক্তিত্ব ফাউন্ডেশনে যোগ দিয়েছে শোয়াইগারের আহ্বানে৷ জার্মান ফুটবল দলের কোচ ল্যোভ, ব়্যাপার টোমাস ডি এবং অভিনেতা ইয়ান ইয়োসেফ লিফার্স-এর মতো সুপরিচিত তারকারাও আছেন সেই তালিকায়৷ টিল শোয়াইগার ফাউন্ডেশন তাদের বিভিন্ন কার্যক্রম থেকে যে আয় হয় তা একটি শরণার্থী আশ্রয় কেন্দ্রের পেছনে ব্যয় করে৷
বাদ্যযন্ত্র দিয়ে সহায়তা
গীতিকার হাইৎস রুডল্ফ কুনসে নিয়েছেন অভিনব এক উদ্যোগ৷ শরণার্থীদের বাদ্যযন্ত্র দেবেন তিনি৷ তাঁর মতে, শরণার্থীদের শুধু খাবার আর কাপড় দিলেই হবে না, তাদের বিনোদনও দরকার৷ আর বিনোদনের সুযোগ করে দেয়ার জন্যই শরণার্থীদের জন্য বাদ্যযন্ত্র সংগ্রহে নেমেছেন তিনি৷
অভিবাসন একটি অধিকার
জার্মানির সংগীত ভুবনের ২৪ জন তারকা ‘কাইন বক আউফ নাৎসিস’ নামের একটি সংগঠন গড়ে নব্য নাৎসিদের বিরুদ্ধে প্রচারণা শুরু করেছেন৷ সেখানে অভিবাসন প্রত্যাশীদের বিরুদ্ধে সক্রিয় নব্য নাৎসিদের কঠোর সমালোচনা করছেন তাঁরা৷ ‘কাইন বক আউফ নাৎসিস’ মনে করে, ‘‘অভিবাসনের অধিকার আলোচনা সাপেক্ষ কোনো বিষয় নয়, এটি মানবাধিকার৷’’