1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ফিরতে চান বালাক

১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১২

মঙ্গলবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগ’এর দ্বিতীয় পর্যায়ে পৌঁছানোর দৌড়ে বার্সেলোনার কাছে ৩-১ গোলে হেরে গেল বায়ার লেভারকুজেন৷ এদিকে দলে ফিরতে বদ্ধপরিকর মিশায়েল বালাক৷

https://p.dw.com/p/143bp
ছবি: dapd

মঙ্গলবারের ম্যাচের পর লেভারকুজেন'এর বাঙালি বংশোদ্ভূত কোচ রবিন দত্ত এমন পরাজয়ের কারণ বিশ্লেষণ করতে গিয়ে বলেন, ‘‘আমরা বড্ড ভয়ে ভয়ে ছিলাম৷'' তাঁর মতে, প্রথমার্ধে ডিফেন্স বেশ মজবুত থাকা সত্ত্বেও আক্রমণের যথেষ্ট সাহস পান নি বায়ার'এর খেলোয়াড়রা৷ তবে এটা শুধু স্ট্রাইকারদের দোষ নয়, পেছন থেকে তারা ঠিকমতো পাস পান নি৷ সবাই আসলে বার্সা'র মতো ক্লাবের সামনে বেশ মোহিত হয়ে পড়েছিল৷

তবে এফসি বার্সেলোনা সম্পর্কে এমন মনোভাবের কারণও যে রয়েছে, সেটাও স্বীকার করে নেন রবিন দত্ত৷ একেবারে প্রথম সারির এই ক্লাবের খেলার মান তর্ক-বিতর্কের উর্দ্ধে৷ তাদের ম্যাচের যে কোনো অংশ ভিডিও'তে দেখলে ফুটবল সম্পর্কে অনেক কিছু শেখা যায়, বলেন তিনি৷

Robin Dutt
লেভারকুজেন'এর বাঙালি বংশোদ্ভূত কোচ রবিন দত্তছবি: picture alliance/augenklick/firo Sportphoto

তবে প্রশংসা শুধু একতরফা ছিল না৷ বার্সেলোনা'র কোচ পেপ গুয়ার্দিওলা'ও জার্মান ফুটবলের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন৷ ফুটবলের উপর জার্মান দলগুলি যেভাবে নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখতে পারে এবং পাঁচ-দশ মিনিটের মধ্যেই দুই-তিনটি গোল করার ক্ষমতা রাখে, সেটা দেখে তিনি বেশ মুগ্ধ৷ তাদের এই লড়াকু মনোভাবের কারণেই মঙ্গলবারের ম্যাচে জয়ের স্বাদ আরও বেড়ে গেছে, বলেন গুয়ার্দিওলা৷

শুধু বার্সেলোনা'র কাছে হারের কারণে নয়, বায়ার লেভারকুজেন আবার সংবাদ শিরোনামে উঠে এসেছে ক্লাবের খেলোয়াড় মিশায়েল বালাক'এর মন্তব্যের কারণে৷ জার্মান জাতীয় দলের ক্যাপ্টেন হিসেবে বিদায়ের পর নিজের ক্লাবেও অস্তিত্বের লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন বালাক৷ মৌনব্রত ভেঙে বুধবার তিনি বলেছেন, যাবতীয় প্রতিকূলতা সত্ত্বেও তিনি খেলা চালিয়ে যেতে চান৷ উল্লেখ্য, লেভারকুজেন'এর কর্মকর্তা ভল্ফগাং হলৎসহয়জার সম্প্রতি বলেছেন, বালাক'কে দিয়ে ভালো খেলানোর উদ্যোগ ব্যর্থ হয়েছে৷ আপাতত চোট পাওয়ার কারণে মাঠের বাইরে রয়েছেন তিনি৷ চলতি মরসুমের শেষেই ক্লাবের সঙ্গে তাঁর চুক্তি শেষ হচ্ছে৷ সেই চুক্তি নবায়নের কোনো সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না৷ গত চারটি ম্যাচে মাঠের বাইরে বসে খেলা দেখতে হয়েছে বালাক'কে৷

প্রতিবেদন: সঞ্জীব বর্মন

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ