লক্ষ্মণের ৯৬ আর বোলারদের সাফল্যে আশাবাদী ভারত
২৯ ডিসেম্বর ২০১০হাতে রয়েছে ৭ উইকেট৷ ক্রিজে আছেন জ্যাক ক্যালিস ও এবি ডি ভিলিয়ার্স৷ আর ডারবানে প্রোটিয়াসদের সামনে বড় রানের চ্যালেঞ্জ দাঁড় করিয়ে সিরিজে সমতা ফেরার স্বপ্ন দেখিয়েছেন ভাঙ্গিপুরাপ্পু লক্ষ্মণ৷ মাত্র ৪ রানের জন্য সেঞ্চুরি বঞ্চিত৷ তবু ৯৬ রানের ইনিংস খেলে তৃতীয় দিনের নায়ক লক্ষ্মণই৷
টেস্টের শুরু থেকেই একের পর এক আউট হয়ে ফিরছিলেন ব্যাটসম্যানরা৷ দ্বিতীয় দিনে চা বিরতির আগেই পতন ঘটে ১৪ উইকেটের৷ চা বিরতির পর আউট হন আরও চার ব্যাটসম্যান৷ সব মিলিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা-ভারত দ্বিতীয় টেস্টে দ্বিতীয় দিনে উইকেট পড়ে ১৮টি৷ উইকেট পতনের সেই ধারায় তৃতীয় দিন অবশ্য কিছুটা ছেদ টেনেছেন লক্ষ্মণ৷
আগের দিনের ৪ উইকেটে ৯২ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিন শুরু করে ভারত৷ ভারতের দ্বিতীয় ইনিংসের একপ্রান্ত অটল দৃঢ়তায় আগলে রাখেন লক্ষ্মণ৷ আগের দিনের সংগ্রহের সাথে কোনো রান যোগ করতে পারেননি চিতেশ্বর পুজারা৷ এরপর অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি ও পরে জহির খানের সঙ্গে দু'টি জুটি গড়ে ভারতকে ৩০৩ রানের বড় লিড এনে দেন লক্ষ্মণ৷
জবাবে খেলতে নেমে দারুণ সূচনা করে স্বাগতিকরা৷ উদ্বোধনী জুটিতে ৬৩ রান তোলেন গ্রায়েম স্মিথ এবং অ্যালভিরো পিটারসেন৷ শ্রীশান্থর বলে উইকেট রক্ষক ধোনির হাতে ধরা পড়েন স্মিথ৷ তাঁর সংগ্রহ ৩৭ রান৷ এরপর ৮২ রনের মাথায় মাত্র চার বলেই ২ উইকেট হারিয়ে কোণঠাসা হয়ে পড়ে দক্ষিণ আফ্রিকা৷ ২৬ রান তুলে হরভজনের বলে পুজারার হাতে আউট হন পিটারসেন৷ এরপর ১৬ রানে শ্রীশান্থর বলে ধোনির হাতে ধরা খেয়ে মাঠ ছাড়েন আমলা৷ তবে দিনের খেলা শেষ হওয়ার আগে আর কোনো বিপদ ঘটতে দেননি ক্যালিস ও ভিলিয়ার্স৷
ভারতের পক্ষে ৩০ রানে ২ উইকেট নিয়েছেন শ্রীশান্থ৷ ২৯ রানে অপর উইকেটটি হরভজনের৷
প্রতিবেদন: হোসাইন আব্দুল হাই
সম্পাদনা: জাহিদুল হক