1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

লকডাউনেও দূষণ কমেনি!

২৪ নভেম্বর ২০২০

অনেকে আশা করেছিলেন যে লকডাউন পৃথিবীকে স্তব্ধ করলে তা দূষণ থেকে কিছুটা মুক্তি দেবে পরিবেশকে৷ কিন্তু বিজ্ঞানীরা বলছেন যে এমনটা হয়নি৷

https://p.dw.com/p/3lkTz
ছবি: picture-alliance/dpa/B. Roessler

২০১৯ সালে আবহাওয়ায় কার্বন ডাই অক্সাইডের মাত্রা নতুন মাত্রা ছোঁয়, যা ২০২০ সালেও অপরিবর্তিত থেকেছে৷ বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা বা ডাব্লিউএমও জানাচ্ছে যে করোনাকালীন লকডাউন এই বাড়তি দূষণকে কমাতে কোনো ভূমিকা রাখেনি৷

কয়লার মতো জীবাশ্ম জ্বালানি পোড়ানোর ফলে বাতাসে কার্বন ডাই অক্সাইড গত বছরে রেকর্ড মাত্রায় পৌঁছয়৷ বাতাসে প্রতি দশ লাখ ভাগের ৪১০ দশমিক পাঁচ শতাংশই কার্বন ডাই অক্সাইড, যা অন্যান্য বছরের তুলনায় এমনকি গত দশকের বার্ষিক বৃদ্ধির হারের তুলনায়ও বেশি৷ 

পরিবেশে  কার্বন ডাই অক্সাইডসহ অন্যান্য গ্রিনহাউস গ্যাসের বাড়ন্ত মাত্রার ফলে বাড়ছে পৃথিবীর তাপমাত্রা, গলছে বরফচূড়া৷ এর প্রভাবে বাংলাদেশের মতো বিভিন্ন সমুদ্রের তটবর্তী দেশের অনেকাংশ নিশ্চিহ্ন হবার ঝুঁকিতে৷

২০১৫ সাল থেকে ক্রমাগত এই কার্বন বৃদ্ধির হার চিন্তার কারণ হয়ে উঠছে বলে মনে করেন ডাব্লিউএমও সেক্রেটারি জেনারেল প্রফেসার পেটেরি টালাস৷ তিনি বলেন, ‘‘ইতিহাসে এমন বৃদ্ধির হার অভূতপূর্ব, যার কোনো নজির আমাদের কাছে নেই৷''

লকডাউনের প্রভাব নিমিত্তমাত্র

করোনার কারণে বিশ্বজুড়ে স্তব্ধ হয়ে পড়ে সব ধরনের যান চলাচল৷ বন্ধ হয়ে পড়ে বিমান চলাচলও৷ ডাব্লিউএমওর বার্ষিক বুলেটিনে প্রকাশিত তথ্য বলছে, অতিমারি নিয়ন্ত্রণে কড়াকড়ি বাড়ালে দৈনিক কার্বন নিঃসরণের হার আগের বছরের তুলনায় ১৭ শতাংশ কমে আসে৷ কিন্তু তাতে আত্মতুষ্টির কোনো জায়গা নেই, বলে জানাচ্ছে তারা৷ ডাব্লিউএমও বলছে, এই একই সময়ে বিভিন্ন ফ্যাক্টরি ও কারখানায় উৎপাদনের হারে কমলেও তার কোনো প্রভাব বিশ্বের সার্বিক গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণে পড়েনি৷

শিল্পক্ষেত্রে কম উৎপাদন হবার প্রভাব বার্ষিক কার্বন নিঃসরণকে ৪ দশমিক ২ শতাংশ থেকে সাড়ে সাত শতাংশ কমিয়ে আনবে বলে আশা করা হয়েছিল৷ কিন্তু ডাব্লিউএমও জানাচ্ছে, তা হলেও বাতাসে জমা কার্বনের বিপজ্জনক হারে কোনো পরিবর্তন আসবে না৷

যদিও ২০২০ সালের সম্পূর্ণ তথ্য-পরিসংখ্যান এখনও পাওয়া যায়নি, তবে টাসমানিয়া ও হাওয়াইতে অবস্থিত পরিবেশ পরীক্ষাগার থেকে প্রাপ্ত প্রাথমিক তথ্য জানাচ্ছে যে বাতাসে জমাটবাঁধা কার্বনের মাত্রায় কোনো পরিবর্তন এখনও নেই৷

এসএস/কেএম (রয়টার্স, এএফপি, ডিপিএ)