1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

র‍্যাব হেফাজতে নারীর মৃত্যু, অভিযোগ নির্যাতনের

২৭ মার্চ ২০২৩

নওগাঁয় র‍্যাব তুলে নিয়ে যাওয়ার পর ভূমি অফিস সহকারী সুলতানা জেসমিন মারা গেছেন; যাকে নির্যাতন করা হয়েছে বলে স্বজনদের অভিযোগ।

https://p.dw.com/p/4PHNA
লাশ হস্তান্তর করা হয় শনিবার বিকালেছবি: bdnews24.com/A. Al Momin

সুলতানা জেসমিন নওগাঁ সদর উপজেলার চণ্ডীপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিস সহকারী পদে কমর্রত ছিলেন।

বুধবার সকালে তাকে র‌্যাব তুলে নিয়ে যায় বলে জানিয়েছেন স্বজনরা। শুক্রবার সকালে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। র‌্যাবের  দাবি, সুলতানা জেসমিনের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ ছিল। সেই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে আটক করা হয়েছিল। সুলতানার মামা ও নওগাঁ পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর নাজমুল হক মন্টু বলেন, তার ভাগনি বুধবার সকালে অফিসের উদ্দেশে বাসা থেকে বের হন। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে নওযোয়ান মাঠের সামনে থেকে একটি সাদা মাইক্রোবাসে র‌্যাবের পোশাক পরা লোকজন তাকে তুলে নিয়ে যান। তাকে কোন ক্যাম্প নেওয়া হলো এ ব্যাপারে তারা বিভিন্ন জায়গায় খোঁজখবর নেন; কিন্তু সন্ধান পাইনি। দুপুর পৌনে ২টার পর তারা জানতে পারেন সুলতানা নওগাঁ সদর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

সেখানে তিনি র‌্যাবের লোকজনকে দেখতে পান এবং তার ভাগনি সুলতানা কথা বলতে পারছিলেন না বলে জানান নাজমুল। তিনি বলেন, এর কিছুক্ষণ পর সুলতানাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার সকাল ৯টার দিকে তিনি মারা যান।

শুক্রবার সকাল মৃত্যু হলেও তাদের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয় শনিবার বিকালে।   সুলতানার একমাত্র সন্তান চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করছেন।

পারিবারিকভাবে সিদ্ধান্ত নিয়ে এ ব্যাপারে পরবর্তী ব্যবস্থা নেবেন বলে জানান কাউন্সিলর নাজমুল।

সুলতানার ছেলে শাহেদ হোসেন সৈকত গণমাধ্যম কর্মীদের বলেন, "আমার মা ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছেন। র‌্যাবের হেফাজতে থাকা অবস্থায় তার ওপর নির্যাতন চালানো হয়েছে, যে কারণে তার মৃত্যু হয়েছে।”

র‌্যাব-৫ রাজশাহী এর কোম্পানি কমান্ডার মেজর নাজমুস সাকিব সাংবাদিকদের বলেন, সুলতানা জেসমিনের বিরুদ্ধে পাওয়া আর্থিক প্রতারণার একটি অভিযোগ রয়েছে। তার ব্যাংক হিসাবে অস্বাভাবিক টাকা লেনদেনের অভিযোগ ছিল।

তিনি বলেন, আটকের পরপরই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। র‌্যাবের ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, আটকের পর ওই নারীকে র‌্যাবের কোনো ক্যাম্পে নেওয়া হয়নি। আটকের পরপরই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। অসুস্থ হওয়ায় তাকে হাসপাতালে নেওয়ার পর থেকে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত পরিবারের লোকজন তার সঙ্গেই ছিল বলে দাবি করেন তিনি।

নির্যাতনের যে অভিযোগ করা হচ্ছে তা সঠিক নয় বলে দাবি এই র‌্যাব কর্মকর্তার।

নওগাঁ সদর জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক মৌমিতা জলিল বলেন, ওই নারীকে নওগাঁ হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে প্রাথমিকভাবে তার হৃদরোগে আক্রান্ত হবার লক্ষণ পাওয়া যায়। তখন উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে দ্রুত রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।

এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, "তার শরীরে আঘাতের কোনো চিহ্ন ছিল কিনা তা দেখা হয়নি।

এই মৃত্যুর বিষয়ে এখনো পর্যন্ত নওগাঁ সদর মডেল থানায় কোনো অভিযোগ করা হয়নি বলে জানান থানার এসআই এনাম।

এপিবি/কেএম (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)