রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় ভিটামিন সি
রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা ঠিক থাকলে বিভিন্ন রোগ ও সংক্রমণ থেকে বাঁচা যায়৷ ভিটামিন সি শরীরের এই ক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করে৷
যেসব খাবারে পাওয়া যায়
বিভিন্ন ফল ও সবজিতে ভিটামিন সি পাওয়া যায়৷ যেমন ফলের মধ্য়ে আছে কিউই, লেবু, কমলা, পেঁপে, পেয়ারা, আঙুর, জাম্বুরা, আমলকী, আমড়া, স্ট্রবেরি৷ আর সবজির মধ্যে ব্রাসেলস স্প্রাউট, ব্রকোলি, মরিচ এসব৷ তবে মনে রাখতে হবে ভিটামিন সি তাপ-সংবেদনশীল৷ তাই রান্নার সময় একটু সতর্ক থাকতে হবে৷
উপকারিতা
শরীরের রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করে ভিটামিন সি৷ সাধারণ সর্দি-কাশিতেও এটি অনেক উপকারী৷ এছাড়া ত্বক, দাঁত ও চুল ভালো রাখতে সহায়তা করে ভিটামিন সি৷
অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট
ডায়াবেটিস, হৃদরোগ, টিউমার, ক্যানসারসহ নানান কঠিন অসুখের জন্য দায়ী ফ্রি-র্যাডিক্য়াল, যা ফরমালিন ও কীটনাশকযুক্ত খাবার খাওয়ার কারণে আমাদের শরীরে প্রতিনিয়ত তৈরি হচ্ছে৷ এছাড়া দূষিত পরিবেশে বসবাস, অনেক বেশি ফাস্টফুড খাওয়া, মাত্রাতিরিক্ত ওষুধ সেবন ইত্যাদি কারণেও শরীরে ফ্রি-র্যাডিক্য়াল তৈরি হয়৷ ভিটামিন সি-র মতো অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এসব ফ্রি-র্যাডিক্য়ালের ক্ষতিকর প্রভাব প্রশমিত করতে পারে৷
কোলাজেন তৈরি
আমাদের শরীরের মাংসপেশী, হাড়, রক্তনালী, পরিপাকতন্ত্র ও ত্বকে কোলাজেন প্রোটিন রয়েছে৷ এটি কোষের স্বাস্থ্য ও স্থিতিস্থাপকতা ঠিক রাখে৷ বয়স হলে কোলাজেনের পরিমাণ কমতে থাকে৷ তাই তখন ত্বক ঝুলে যেতে শুরু করে৷ ভিটামিন সি এই কোলাজেন তৈরিতে ভূমিকা রাখে৷
লড়াই
সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়তে শরীরে ভিটামিন সি দরকার৷ কারণ শরীরের কোনো অংশে সংক্রমণ দেখা দিলে সেখানে রোগ-প্রতিরোধী কোষ পাঠাতে সহায়তা করে ভিটামিন সি৷
স্কার্ভি থেকে মুক্তি
ভিটামিন সি-এর অভাবে স্কার্ভি রোগ হতে পারে৷ সম্ভাব্য প্রাণঘাতী এই রোগের লক্ষণগুলো হচ্ছে ক্ষত তাড়াতাড়ি না শুকানো, চুল ও দাঁত পড়া, কালশিটে দাগ পড়া ও জয়েন্টে ব্যাথা৷ স্কার্ভি থেকে বাঁচতে প্রতিদিন ১০ মিলিগ্রাম সমপরিমাণ ভিটামিন সি খাওয়া যথেষ্ট৷
প্রতিদিন কতটুকু খাওয়া উচিত?
জার্মানির পরামর্শক সংস্থার হিসেবে একজন পুরুষের দৈনিক ১১০ মিলিগ্রাম ও একজন নারীর ৯৫ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি খাওয়া উচিত৷ তবে যুক্তরাষ্ট্রের অরেগন স্টেট ইউনিভার্সিটির গবেষকরা একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষকে প্রতিদিন ৪০০ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি খাওয়ার পরামর্শ দেন৷