1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
রাজনীতিরাশিয়া

রাশিয়ায় রাষ্ট্রদ্রোহিতার দায়ে মার্কিন-রুশ নাগরিকের কারাদণ্ড

১৬ আগস্ট ২০২৪

রাশিয়া ও অ্যামেরিকার দ্বৈত নাগরিক সেনিয়া কারেলিনাকে রাষ্ট্রদ্রোহিতার দায়ে ১২ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে রাশিয়ার এক আদালত৷

https://p.dw.com/p/4jXvx
রাশিয়ান-অ্যামেরিকান নাগরিক সেনিয়া কারেলিনা
যেদিন রাশিয়া ইউক্রেনে হামলা চালায়, সেদিন ইউক্রেনের সহায়তায় কাজ করে এমন একটি সংস্থাকে অর্থ প্রদান করার অভিযোগ উঠেছে কারেলিনার বিরুদ্ধেছবি: AP Photo/picture alliance

ইউক্রেনকে সমর্থন করা একটি দাতব্য সংস্থাকে অর্থসহায়তার দায়ে তাকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়৷  

তার আগে একই আদালতে ওয়াল স্ট্রিটের সাংবাদিক ইভান গেরশকোভিচের মামলার শুনানি হয়েছিল৷ পরে অবশ্য পশ্চিমা দেশগুলোর  সাথে হওয়া রাশিয়ার বন্দি বিনিময় চুক্তির আওতায় মুক্তি পান গেরশকোভিচ৷

আদালত জানায়, তদন্তে প্রতীয়মান হযেছে যে, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২ সালে, যেদিন রাশিয়া ইউক্রেনে হামলা চালিয়েছিল, সেদিন কারেলিনা ইউক্রেনের সহায়তায় কাজ করে এমন একটি সংস্থাকে অর্থ প্রদান করে৷

রাজোম নামে নিউইয়র্কভিত্তিক বেসরকারি সংস্থাটি ইউক্রেনের শিশু এবং প্রবীণদের মানবিক সহায়তা প্রদান করে থাকে৷

আদালত জানায়, ওই সংস্থাটিকে সেদিন কারেলিনা ৫১ দশমিক ৮০ ডলার সহায়তা প্রদান করে৷

কারেলিনার ছেলেবন্ধু ক্রিস্টফার ফান হিরডেন জানান, এই রায়ে তিনি অসন্তুষ্ট৷ তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টকে কারেলিনাকে ‘ভুলভাবে আটকে রাখা হয়েছে' এমন ঘোষণা দেওয়ার আহ্বান জানান৷

‘‘৫১ ডলার সহায়তা করার জন্য তাকে ১২ বছরের জেল দেওয়া হয়েছে৷ একজন অ্যামেরিকান হিসেবে অ্যামেরিকার মাটিতে বসেই তিনি এটি করেছিলেন,'' বলেন তিনি৷

এদিকে হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা দপ্তরের মুখপাত্র জন কিরবি এই রায় ‘নিষ্ঠুর' বলে মন্তব্য করেন৷ তিনি জানান, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তার মুক্তির জন্য কাজ করে যাবে৷ একই সাথে কারেলিনা যেন আইনি পরামর্শের সুযোগ পান তার জন্যও কাজ করবে৷

আগের বন্দি বিনিময় চুক্তির আওতায় বিনিময় হওয়াদের তালিকায় ছিলেন না কারেলিনা৷ তিনি কেন সেই তালিকায় ছিলেন না সে বিষয়ে বিস্তারিত জানা যায়নি৷

কারেলিনার আইনজীবী মিখাইল মুশাইলোভ জানান, পরের ধাপে হওয়া বিনিময়ের সময়ে কারেলিনাকে যুক্ত করার জন্য তিনি কাজ করে যাবেন৷

রাশিয়ায় জন্ম নেওয়া কারোলিনা ২০১২ সালে শিক্ষার উদ্দেশ্যে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান৷ ২০২১ সালে তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব গ্রহণ করেন৷

চলতি বছরের শুরুতে পরিবারের সাথে সাক্ষাৎ করতে রাশিয়ায় যান তিনি৷ সেসময় বিমানবন্দরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় এবং তার মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়৷ সেখান থেকে কর্তৃপক্ষ জানতে পারে, কারেলিনা ওই দাতব্য সংস্থায় অর্থ সহায়তা করেছেন৷

যুক্তরাষ্ট্রে ফেরত যাওয়ার একদিন আগে রাহাজানির দায়ে তাকে ১৫ দিনের কারাদণ্ড দেয় আদালত৷ এরপর জেল থেকে মুক্তির ঠিক আগে তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগ আনে রাশিয়া৷

আরআর/এসিবি (রয়টার্স)