1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

রাশিয়ার ‘সাম্রাজ্যবাদী' স্বপ্নের তুলোধুনা

৩০ মার্চ ২০২২

জার্মান চ্যান্সেলর শলৎসের মতে, ইউরোপের বর্তমান সীমানা নিয়ে প্রশ্ন তুললে যুদ্ধ অবশ্যম্ভাবী৷ তিনি পুটিনের ‘সাম্রাজ্যবাদী' স্বপ্নের কড়া সমালোচনা করে মুক্ত বিশ্বের ঐক্যে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন৷

https://p.dw.com/p/49Cvj
Bundestag Bundeskanzler Olaf Scholz
ছবি: Michael Kappeler/dpa/picture alliance

ইউক্রেনের উপর রাশিয়ার হামলাকে বিচ্ছিন্নভাবে দেখছেন না জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস৷ তার মতে, এর পেছনে মস্কোর এক ‘সাম্রাজ্যবাদী স্বপ্ন' কাজ করছে৷ যুদ্ধের মাধ্যমে জমি দখলের এমন প্রচেষ্টা অত্যন্ত স্পষ্ট৷ শলৎস বলেন, কোনোমতেই এমন আচরণ মেনে নেওয়া যায় না এবং সেটা করাও হবে না৷ জার্মানি তথা ন্যাটোকে প্রতিরক্ষা নিশ্চিত করতে সবকিছু করতে হবে৷ তাই জার্মান সেনাবাহিনীকে আরও শক্তিশালী করে তোলা হচ্ছে, বলেন জার্মান চ্যান্সেলর৷ উল্লেখ্য, জার্মান সংসদের প্রতিরক্ষা কমিটির সদস্যরা বর্তমানে ‘অ্যারো ৩' ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধ ব্যবস্থা সম্পর্কে নিজস্ব ধারণা পেতে ইসরায়েল সফর করছেন৷ দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধ করতে জার্মানি বর্তমান দুর্বলতা দূর করতে চাইছে৷

নর্থরাইন ভেস্টফেলিয়া রাজ্য সংসদে এক ভাষণে জার্মান চ্যান্সেলর চলমান সংকট সম্পর্কে বক্তব্য রাখেন৷ তার মতে, বর্তমান পরিস্থিতি অত্যন্ত গুরুতর এবং বিশাল মাত্রার হুমকি বয়ে আনছে৷ মুক্ত বিশ্ব ঐক্যবদ্ধভাবে রাশিয়ার উপর দ্রুত কার্যকর নিষেধাজ্ঞা চাপিয়ে সঠিক কাজ করেছে৷ শলৎস এ প্রসঙ্গে মনে করিয়ে দেন, যে এমনকি ইউক্রেনের রুশভাষী মানুষও রাশিয়ার আগ্রাসনের মোকাবিলা করছেন৷ তার মতে, ইউক্রেনের মানুষ যে নিজস্ব রাষ্ট্রে বাস করতে চান, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুটিন সেটা বুঝতে ভুল করেছেন৷ ফলে তাঁর সেনাবাহিনী প্রবল প্রতিরোধের মুখে পড়েছে৷

জার্মান চ্যান্সেলর বলেন, গত কয়েক দশকে নিরাপত্তার ক্ষেত্রে যে সাফল্য অর্জন করা গেছে, তার মধ্যে ইউরোপের দেশগুলির বর্তমান সীমানা সম্পর্কে গ্যারেন্টি অন্যতম৷ রাশিয়ার সঙ্গে যৌথ সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রেও সেই ঐক্য ও অখণ্ডতার উপর জোর দেওয়া হয়েছে৷ ঐতিহাসিক সীমানার দিকে হাত বাড়ালেই ইউরোপে যুদ্ধ অবশ্যম্ভাবী৷ পুটিনের এমন মনোভাবকে ভুল হিসেবে তুলে ধরেন শলৎস৷

মঙ্গলবারই টেলিফোনে বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে পশ্চিমা বিশ্বের নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করেন শলৎস৷ মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাক্রোঁ, ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন ও ইটালির প্রধানমন্ত্রী মারিও দ্রাগি নিষেধাজ্ঞার মাধ্যমে রাশিয়ার উপর চাপ চালু রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন৷ তারা আবার পুটিনের উদ্দেশ্যে অবিলম্বে অস্ত্রবিরতি এবং ইউক্রেন থেকে রুশ সেনা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন৷ আপাতত মারিউপোল শহর থেকে নিরীহ মানুষের উদ্ধারের জন্য ‘মানবিক করিডোর' গড়ে তোলার উপর জোর দিয়েছেন শীর্ষ নেতারা৷ সেইসঙ্গে ইউক্রেনের মানুষের জন্য ত্রাণসাহায্য পাঠানোর ব্যবস্থা করতে চান তারা৷

এসবি/কেএম (ডিপিএ, এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান