1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
সমাজইউক্রেন

রাশিয়ার লক্ষ্য এখন পূর্ব ইউক্রেন

১ এপ্রিল ২০২২

রাজধানী কিয়েভ থেকে ক্রমশ কমছে রাশিয়ার সেনা। পূর্ব ইউক্রেন কি রাশিয়া দখল নিতে চায়?

https://p.dw.com/p/49JVN
ইউক্রেন
ছবি: Sergei Bobylev/TASS/picture alliance

ইউক্রেনের ডনবাস অঞ্চলে ক্রমশ শক্তি বাড়াচ্ছে রাশিয়ার সেনা। লড়াইও তীব্র হয়েছে। এই অঞ্চলেই তারা দুইটি জায়গাকে স্বাধীন বলে স্বীকৃতি দিয়েছিল লড়াই শুরুর ঠিক আগে। অ্যামেরিকার ধারণা, পূর্ব ইউক্রেনের এই লড়াই দীর্ঘস্থায়ী হবে।

গত মঙ্গলবার তুরস্কে ইউক্রেন এবং রাশিয়ার দ্বিপাক্ষিক বৈঠক শুরু হয়। সেখানে রাশিয়া জানায়, রাজধানী কিয়েভ-সহ একাধিক জায়গা থেকে রাশিয়া ক্রমশ সেনা সরিয়ে নেবে। বস্তুত, এই প্রতিশ্রুতির পর ধীরে হলেও রাশিয়ার সেনা পশ্চিম ইউক্রেন থেকে সরতে শুরু করেছে। যদিও পেন্টাগনের আশঙ্কা, এটা রাশিয়ার কৌশলও হতে পারে। এই পরিস্থিতিতে পূর্ব ইউক্রেনে নতুন করে সেনা বাড়াতে শুরু করেছে রাশিয়া।

ডনবাস রাজনীতি

পূর্ব ইউক্রেনের ডনবাস অঞ্চলটি কি রাশিয়া নিজেদের দখলে নিয়ে নিতে চাইছে? নতুন করে এই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। ২০১৪ সালে ক্রাইমিয়া দখলের সময় ডনবাস অঞ্চলেও রাশিয়ার সঙ্গে ইউক্রেনের তীব্র লড়াই হয়েছিল। বস্তুত, এই অঞ্চলে রাশিয়ার সমর্থনপুষ্ট বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সঙ্গে ইউক্রেনের সংঘাত চলছে অনেকদিন ধরেই। রাশিয়া ইউক্রেন আক্রমণের কিছুদিন আগে এই অঞ্চলে দোনেৎস্ক এবং লুহানস্ক নিজেদের স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে ঘোষণা করে। রাশিয়া তাদের সমর্থনও করে। ওই অঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীগুলির একাংশ রাশিয়ার সঙ্গে মিশেও যেতে চায়। অ্যামেরিকার গোয়েন্দাদের ধারণা, এবার ওই অঞ্চলগুলি রাশিয়া নিজেদের কব্জায় নিয়ে নিতে চাইছে।

পেন্টাগনের এক কর্মকর্তা এএফপি সংবাদসংস্থাকে জানিয়েছেন, রাশিয়া দ্রুত ওই অঞ্চল নিজেদের দখলে নেওয়ার জন্য প্রচুর সেনা পাঠানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে। কিন্তু ইউক্রেন সহজে নিজেদের জায়গা ছাড়বে না। ফলে খুব দ্রুত এই লড়াইয়ের মীমাংসা হবে না। যুদ্ধ দীর্ঘস্থানীয় হবে।

জেলেনস্কির বক্তব্য

দৈনিক ভিডিও বার্তায় জেলেনস্কি জানিয়েছেন, জাতীয় নিরাপত্তা বাহিনীর দুই উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাকে গুলি করে মারার নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি। কারণ, দেশরক্ষার শপথ নিয়ে তারা দেশের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করছিল। রাশিয়ার কাছে খবর পৌঁছে দিচ্ছিল। জেলেনস্কির কথায়, ''ওই দুই ব্যক্তির বিচার করার সময় আমার হাতে ছিল না। বিশ্বাসঘাতকের যা শাস্তি হওয়া উচিত, তারা তা-ই পেয়েছে।''

জেলেনস্কি জানিয়েছেন, দেশের দক্ষিণ এবং পূর্ব দিকের অবস্থা ভয়াবহ। নতুন করে লড়াইয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছে ওই অঞ্চলের সেনা। মারিউপলও ঘিরে রেখেছে রাশিয়ার সেনা। ডনবাস অঞ্চলের অবস্থাও একইরকম। কিন্তু ইউক্রেন লড়াই চালিয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন তিনি। তবে ইউক্রেনের প্রতিনিধিরা রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনা জারি রাখার প্রক্রিয়া চালিয়ে যাচ্ছে। তারা জানিয়েছে, ইউক্রেনের নিরপেক্ষ অবস্থান নিতে অসুবিধা নেই। সেই অবস্থান থেকেই তারা পরবর্তী আলোচনা শুরু করতে চায়।

এসজি/জিএইচ (রয়টার্স, এপি, এএফপি, বিবিসি)