1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

রাশিয়ার বিরুদ্ধে পদক্ষেপের প্রশ্নে সংশয়

৭ মার্চ ২০২২

রাশিয়া থেকে জ্বালানি আমদানি বন্ধ ইউক্রেনের উপর ‘নো ফ্লাই জোন' কার্যকর করার মতো চরম পদক্ষেপ থেকে বিরত থাকছে পশ্চিমা জগত৷ জ্বালানির ক্ষেত্রে নির্ভরতা ও যুদ্ধ সীমিত রাখার বাধ্যবাধকতা কাজ করছে৷

https://p.dw.com/p/486j7
BG Demonstration gegen den Krieg in der Ukraine
ছবি: picture alliance / AA

ইউক্রেনের উপর রাশিয়ার হামলার মাত্রা আরও তীব্র হওয়া সত্ত্বেও মস্কোর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক পদক্ষেপের প্রশ্নে কিছু ক্ষেত্রে এখনো সীমা অতিক্রম করতে চাইছে না পশ্চিমা জগত৷ ইউক্রেনের প্রতি সংহতি, সামরিক সহায়তা ও ধারাবাহিক কূটনৈতিক উদ্যোগ চালু আছে৷ কিন্তু রাশিয়া থেকে পেট্রোলিয়াম ও গ্যাস আমদানি বন্ধ করা এবং ইউক্রেনের উপর ‘নো ফ্লাই জোন' ঘোষণা করার মতো দাবি মানতে নারাজ ইউরোপ ও অ্যামেরিকাসহ বৃহত্তর জোট৷ বিশেষ করে জার্মানির মতো দেশ রাশিয়া থেকে জ্বালানি আমদানির উপর অত্যন্ত নির্ভরশীল হওয়ায় সে ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি অত্যন্ত কঠিন হয়ে উঠছে৷

জার্মানির অর্থমন্ত্রী ক্রিস্টিয়ান লিন্ডনার এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনালেনা বেয়ারবক রাশিয়া থেকে জ্বালানি আমদানি বন্ধ করার দাবি সম্পর্কে সতর্ক করে দিয়েছেন৷ মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন ইউরোপের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনার কথা উল্লেখ করলেও বেয়ারবক এমন পদক্ষেপের কার্যকারিতা সম্পর্কে সংশয় প্রকাশ করেছেন৷ তার মতে, জার্মানির নিজস্ব স্বার্থে দীর্ঘমেয়াদি ভিত্তিতে এমন কড়া পদক্ষেপ কার্যকর করা সহজ হবে না৷ কারণ তিন সপ্তাহ ধরে রাশিয়া থেকে জ্বালানি আমদানি বন্ধ রাখার পর যদি দেখা যায়, যে জার্মানিতে বিদ্যুৎ উৎপাদন আর বড়জোর তিন দিন নিশ্চিত করা সম্ভব, তখন বাধ্য হয়ে আবার সেই নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে হবে, বলেন জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী৷ একইসঙ্গে বেয়ারবক বলেন, জার্মানি উচ্চ অর্থনৈতিক মূল্য চোকাতে প্রস্তুত৷ কিন্তু শেষ পর্যন্ত জার্মানি তথা ইউরোপে আলো নিভে গেলে ইউক্রেনে রুশ সাঁজোয়া গাড়ির গতি বন্ধ করা যাবে না৷ অর্থমন্ত্রী লিন্ডনারও এমন নিষেধাজ্ঞার ক্ষেত্রে জার্মানির ক্ষতির বিষয়টি উল্লেখ করেন৷ তিনি রাশিয়ার বিরুদ্ধে জি-সেভেন গোষ্ঠীর আগামী শাস্তিমূলক পদক্ষেপগুলি কার্যকর হবে বলে মনে করেন৷ উল্লেখ্য, পশ্চিমা জগত পুটিনের ঘনিষ্ঠ শিল্পপতিদের উপর আরও চাপ বাড়িয়ে চলেছে৷

এ দিকে রুশ বাহিনীকে প্রতিহত করতে ইউক্রেন সে দেশের উপর ‘নো ফ্লাই জোন' ঘোষণার জন্য বার বার ন্যাটোর কাছে অনুরোধ করলেও এখনো এমন চরম পদক্ষেপ নিতে চাইছে না পশ্চিমা সামরিক জোট৷ ন্যাটো মহাসচিব ইয়েন্স স্টলটেনবার্গ ও মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিংকেন ইউক্রেনের ভূখণ্ডের উপর ন্যাটোর বিমান অথবা সে দেশে ন্যাটো সেনা পাঠানোর বিরোধিতা করেছেন৷ সে ক্ষেত্রে যুদ্ধ ইউক্রেনের সীমানা পেরিয়ে আরও বড় আকার ধারণ করবে বলে স্টলটেনব্যার্গ আশঙ্কা করেন৷ তাঁর মতে, তখন আরও বড় ধ্বংসলীলা, ক্ষয়ক্ষতি ও মানবিক বিপর্যয় দেখা যাবে৷ রাশিয়ার বিমান ধ্বংস না করে ‘নো ফ্লাই জোন' কার্যকর করা সম্ভব নয় বলে স্টলটেনবার্গ মনে করিয়ে দেন৷ তবে পূর্ব ইউরোপে আরও তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে ন্যাটো৷ স্টলটেনবার্গ, ব্লিংকেনসহ একাধিক পশ্চিমা নেতা ইউক্রেনে রাশিয়ার লাগামহীন সামরিক অভিযানের তীব্র নিন্দা করেছেন৷ বিশেষ করে হাসপাতাল, স্কুল, আবাসনসহ নিরীহ মানুষের উপর মস্কো যেভাবে হামলা চালাচ্ছে, তা যুদ্ধকালীন আচরণবিধি লঙ্ঘন করছে বলে তাঁরা অভিযোগ করেছেন৷

এসবি/কেএম (ডিপিএ, এএফপি)