1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
সমাজইউক্রেন

রাশিয়ার জেলে নিহত ইউক্রেনের যুদ্ধবন্দিরা

১ আগস্ট ২০২২

রাশিয়ার দাবি, তারা রেডক্রস এবং জাতিসংঘকে পরিদর্শনের জন্য ডেকেছে। যদিও রেডক্রসের দাবি, তাদের ওই এলাকায় ঢুকতে দেয়া হচ্ছে না।

https://p.dw.com/p/4EwP6
ইউক্রেন
ছবি: picture alliance/AP

পূর্ব ইউক্রেনে রাশিয়া আগেই দখল করেছিল ওলেনিভকা। ওলেনিভকা জেলে রাশিয়া ইউক্রেনের বহু যুদ্ধবন্দিকে আটকে রেখেছে বলে জানা গেছে। সেই জেলেই মিসাইল হামলা হয়। যার জেরে অন্তত ৫০ জন যুদ্ধবন্দির মৃত্যু হয়। আহত ৭৩ জন। রাশিয়ার মদতপুষ্ট দনেৎস্কের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনের দাবি ৫৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।

অভিযোগ, মিসাইল হামলার ফলেই ওই ঘটনা ঘটেছে। রাশিয়ার দাবি, ইউক্রেন মিসাইল হামলা চালিয়েছিল। অন্যদিকে ইউক্রেনের দাবি রাশিয়া গোলাবর্ষণ করেছে। রেডক্রস এবং জাতিসংঘকে হস্তক্ষেপের অনুরোধ জানিয়েছে ইউক্রেন।

শনিবার রাতে রাশিয়া জানিয়েছে, তারা চিঠি দিয়ে ওই এলাকা পরিদর্শনের জন্য রেডক্রস এবং জাতিসংঘকে ডেকেছে। কিন্তু রোববার রেডক্রস জানিয়েছে, তাদের ওই এলাকা পরিদর্শনের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে। রাশিয়ার দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রশাসনিক কর্তারা তাদের ঢুকতে দিচ্ছেন না।

রোববার ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি তার দৈনিক ভিডিওবার্তায় জানিয়েছেন, ওই ঘটনার জন্য রাশিয়া সম্পূর্ণভাবে দায়ী। ফের রাশিয়াকে সন্ত্রাসী রাষ্ট্র বলে অভিহিত করে জেলেনস্কি বলেছেন, ''রাশিয়া একের পর এক যুদ্ধাপরাধ ঘটিয়ে চলেছে।''

সমস্ত আক্রমণের প্রত্যুত্তর

রোববার জেলেনস্কি জানিয়েছেন, রাশিয়ার সমস্ত আক্রমণের প্রত্যুত্তর দেবে ইউক্রেন। দক্ষিণ ইউক্রেনের মাইকোলাইভ শহরেও বোমাবর্ষণ করেছে রাশিয়া। সেখানে এক শস্য ব্যবসায়ীর মৃত্যু হয়েছে। এরই জেরে জেলেনস্কি জানিয়েছেন, সমস্ত আক্রমণের যোগ্য জবাব দেওয়া হবে।

রাশিয়ার সেনা পূর্ব ইউক্রেন থেকে দক্ষিণ ইউক্রেনের দিকে এখন অগ্রসর হচ্ছে। তারা খেরসন অঞ্চল পুনর্দখলের চেষ্টা চালাচ্ছে। কিন্তু জেলেনস্কি জানিয়েছেন, রাশিয়া সফল হবে না। বস্তুত, গত সপ্তাহে যুক্তরাজ্যের গোয়েন্দারা একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছিলেন। সেখানে বলা হয়েছিল, রাশিয়া পূর্ব থেকে দক্ষিণ ইউক্রেনে সেনা সরাচ্ছে।

রাশিয়ার নৌসেনার জন্য হাইপারসনিক মিসাইল

আগামী মাসেই রাশিয়ার নৌসেনার হাতে হাইপারসনিক মিসাইল পৌঁছে যাবে বলে জানিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুটিন। রোববার রাশিয়ার নৌসেনার বার্ষিক অনুষ্ঠান ছিল। সেখানেই একথা জানিয়েছেন তিনি। এই মিসাইল শব্দের চেয়ে পাঁচগুণ দ্রুত গতিতে লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারে। ঘণ্টায় ছয় হাজার ২০০ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে। এই অস্ত্র হাতে এলেই অ্যাডমিরাল গরশকভ এই মিসাইল নিয়ে যুদ্ধক্ষেত্রে পৌঁছাবেন বলে এদিন ঘোষণা করেছেন পুটিন।

এসজি/জিএইচ (রয়টার্স, এপি, এএফপি)