1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

রাজ্য়পালের বিরুদ্ধে মামলায় সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ

১৯ জুলাই ২০২৪

সুপ্রিম কোর্টে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে মামলাটি উঠেছিল। রাজ্য়কে নোটিস দিয়েছে আদালত। কেন্দ্রকে যুক্ত করা হয়েছে।

https://p.dw.com/p/4iUxs
ভারতের সুপ্রিম কোর্ট
সুপ্রিম কোর্টে রাজ্য়পালের মামলাছবি: picture-alliance/AP Photo/A. Qadri

রাজভবনে রাজ্য়পাল এক নারী কর্মীর শ্লীলতাহানি করেছেন, এই অভিযোগে কলকাতা পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ওই নারী। সেই মামলা নিয়েই শুক্রবার গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট।

প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্রের বেঞ্চে মামলাটি ওঠে। তারা রাজ্য়কে নোটিস দিয়েছেন। কেন্দ্রকে মামলায় যুক্ত করেছেন এবং কেন্দ্রের অ্য়াটর্নি জেনারেলকে এই মামলায় সহযোগিতার নির্দেশ দিয়েছেন।

রাজ্য়কে নোটিস দেওয়ার অর্থ, রাজ্য়কে জানাতে হবে কেন এই মামলা গুরুত্বপূর্ণ। কী কারণে রাজ্য় এই মামলা এগতে চাইছে। কী কী তথ্য আছে রাজ্য়ের হাতে। এই সব কিছু আদালতকে জানাতে হবে। রাজ্য়পাল যেহেতু কেন্দ্রের মাধ্যমে নিযুক্ত হন, সে কারণে কেন্দ্রকে এই মামলায় যুক্ত করা হয়েছে। এবং অ্যাটর্নি জেনারেলকে গোটা মামলাটিতে সহযোগিতার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

রাজ্য়পাল একটি সাংবিধানিক পদ। সাংবিধানিকভাবেই এই পদের কিছু রক্ষাকবচ থাকে। যে কারণে, ওই নারী যখন কলকাতা পুলিশের কাছে অভিযোগ জানাতে গেছিলেন, পুলিশ খাতায় কলমে অভিযোগ দায়ের করতে পারেনি। তবে নিজেদের মতো করে কলকাতা পুলিশ একটি তদন্ত শুরু করেছিল। কলকাতা হাইকোর্ট সেই তদন্তে স্থগিতাদেশ জারি করে।

তারই ভিত্তিতে আবেদনকারী নারী সুপ্রিম কোর্টে একটি রিট পিটিশন করেন। সেখানে কয়েকটি বিষয়ের উল্লেখ করা হয়। এক, সংবিধানের ৩৬১ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী রাজ্য়পালকে যে রক্ষাকবচ দেওয়া হয়েছে, তা কতটা যুক্তিযুক্ত? দুই, কলকাতা পুলিশ যাতে রাজ্য়পালের বয়ান রেকর্ড করতে পারে। তিন, ওই নারীকে যেন সুরক্ষা দেওয়া হয় এবং চার, ওই নারীর পরিচয় গোপন থাকেনি। একারণে তাকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হোক। ওই নারীর আইনজীবী মূলত এই বিষয়গুলি নিয়েই এদিন আদালতে সওয়াল করেছেন। তারই ভিত্তিতে এই নির্দেশ দিয়েছে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ।

এসজি/জিএইচ (বার অ্যান্ড বেঞ্চ)