রাজীব সিং কি এরপর পদে থাকতে পারবেন?
২২ জুন ২০২৩বারবার রাজভবনে ডাকলেও যাননি। হাইকোর্ট তাকে প্রচণ্ড তিরস্কার করেছে। একবার নয় একাধিকবার। এরপর রাজ্যপাল আনন্দ বোস রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিংয়ের জয়েনিং রিপোর্ট সই না করে পাঠিয়ে দিয়েছেন। তারপরই প্রশ্ন ওঠে, এবার কি অত্যন্ত বিতর্কিত এই রাজ্য নির্বাচন কমিশনারকে ইস্তফা দিতে হবে?
বৃহস্পতিবার সকালে রাজ্য নির্বাচন দপ্তরে ঢোকার সময় তাকে প্রশ্ন করা হয়, আপনি কি পদত্যাগ করছেন? রাজ্য নির্বাচন কমিশনারের জবাব, ''সেরকম কোনো তথ্য তো পাইনি।''
বুধবারই কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি শিবজ্ঞানম রাজ্য নির্বাচন কমিশনারকে বলেছিলেন, যদি তিনি কেন্দ্রীয় বাহিনী সংক্রান্ত নির্দেশ না মানতে পারেন, তাহলে রাজ্যপালের কাছে গিয়ে ইস্তফা দিন। রাজ্যপাল আরেকজন কমিশনার নিয়োগ করবেন। এরপর রাজ্যপালের সিদ্ধান্তে জল্পনা বাড়ে। তবে বৃহস্পতিবার রাজীব সিংয়ের কথা শুনে মনে হয়েছে, তার পদত্যাগ দেয়ার কোনও ইচ্ছা বা সম্ভাবনা নেই।
শুক্রবারও আবার হাইকোর্টে ভর্ৎসনার মুখে পড়েছেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার। বিচারপতি অমৃতা সিনহা প্রশ্ন করেছেন, '''নির্বাচন কমিশনার এখনো আছেন? কমিশনে পঞ্চায়েত ভোটের নামে কী হচ্ছে জানি না। নির্বাচন প্রক্রিয়া কি এখনও চলছে?'''
কলকাতা হাইকোর্ট সব জেলায় পর্যাপ্ত কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করার নির্দেশ দিয়েছে। এর আগে রাজীব সিং প্রতি জেলায় এক কোম্পানি করে কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়োছিলেন। তা নিয়ে ক্ষোভপ্রকাশ করেছে হাইকোর্ট। এরপরই রাজ্যপালের সই না করে জয়েনিং রিপোর্ট পাঠিয়ে দেয়ার পর প্রশ্ন ওঠে, তাহলে কি রাজীব সিং-কে এবার পদত্যাগ করতে হবে?
সাবেক নির্বাচন কমিশনারের প্রতিক্রিয়া
সাবেক রাজ্য নির্বাচনী কমিনার মীরা পাণ্ডে এবিপি আনন্দকে বলেছেন, চাইলেই নিরপেক্ষ থাকা যায়। রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে হাইকোর্ট যেভাবে ভর্ৎসনা করছে তা একেবারেই কাম্য নয়। এটা দুর্ভাগ্যজনক।
রাজ্যপাল রাজীব সিংয়ের জয়েনিং রিপোর্ট সই না করে ফিরিয়ে দেয়ায় অনিশ্চয়তা দেখা দিতে পারে বলে মীরা মনে করছেন।
হাইকোর্টে কমিশন
বিচারপতি অমৃতা সিনহা নথিবিকৃতির একটি মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। সেই নির্দেশের বিরুদ্ধে রাজ্য সরকার বৃহত্তর বেঞ্চে আবেদন জানিয়েছে। নির্বাচন কমিশনও একই আবেদন জানিয়েছে। শুক্রবার সেই মামলার শুনানি হবে।
হাইকোর্টে এই মামলা করেছিলেন উলুবেড়িয়া দুই নম্বর ব্লকের কাশ্মীরা বিবি এবং ওমজা বিবি। তাদের আবেদনে বলা হয়েছিল, বিডিও নথিবিকৃতি করায়, তাদের নাম বাদ পড়েছে।
জিএইচ/এসজি (পিটিআই, টিভি৯, আনন্দবাজার)