রাজকীয় থাইল্যান্ড
থাইল্যান্ডে যাঁরা বেড়াতে যান, তাঁদের অবশ্যদ্রষ্টব্যের তালিকায় পড়ে ব্যাংককের কেন্দ্রস্থলে বিরাট জায়গা জুড়ে ছড়িয়ে থাকা প্রাসাদটি৷ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার স্থাপত্যরীতিরও এ এক চমৎকার নিদর্শন, যা সত্যিই প্রশংসা আর সমীহের দাবিদার৷
তাক লাগানো
প্রথম দেখাতেই তাক লাগিয়ে দেয় প্রাচীন সিয়াম, বর্তমান থাইল্যান্ডের রাজ পরিবারের এই প্রাসাদ, যা ১৯২৫ সাল পর্যন্ত বসবাসের জন্য ব্যবহৃত হয়েছে৷ অনবদ্য স্থাপত্যশৈলী এবং অসাধারণ কারুকাজমণ্ডিত এই প্রাসাদ এখন বিশেষ সরকারি অনুষ্ঠানের জন্য সংরক্ষিত৷
শৈল্পিক ঐশ্বর্য
ঐতিহ্যবাহী থাই শিল্পরীতির সুষমা এই প্রাসাদের সর্বত্র৷ দৃশ্যশোভন ইমারতের পাশাপাশি নজর কাড়ে আপাদমস্তক সেরামিকের কারুকাজ করা অতিকায় দ্বাররক্ষীমূর্তি, যা আধুনিক থাইল্যান্ডেরও অন্যতম প্রতীক৷
সেলফি মুহূর্ত
শুধু পর্যটকেরা নন, অনেক স্থানীয় মানুষও আসেন এই প্রাসাদ ঘুরে দেখতে৷ স্মৃতি হিসেবে নিয়ে যান সপরিবারে তোলা সেলফি ছবি৷ এই সেলফি তোলার অভ্যাস, বলা বাহুল্য ভিনদেশী পর্যটকদেরও৷
বিস্ময়ে বাকরুদ্ধ
বিশালাকার ইমারত, আর উচ্চতায় তাদের থেকেও বড় বৌদ্ধ স্তূপ৷ দর্শকরা অবাক বিস্ময়ে তাকিয়ে থাকেন সেই উচ্চতার দিকে, অপরূপ সৌন্দর্যে অভিভূত হন৷
রত্নখচিত অলঙ্করণ
রঙিন কাচ, বহুবর্ণের চিনেমাটির টুকরো দিয়ে কী চমৎকার অলঙ্করণ হতে পারে প্রাসাদের দেওয়াল এবং অন্যান্য অংশে, না দেখলে বিশ্বাস হওয়া কঠিন৷ একটু দূর থেকে এই অলঙ্করণ রত্নখচিত বলে ভুল হতে পারে, এমনই তার ঔজ্জ্বল্য৷
মূর্তির নকলে
প্রাসাদের অনেক অংশে, বিশেষত স্তূপের গায়ে দেখা যায় এরকম মূর্তি, যা আসলে ভারবহনকারী স্তম্ভ৷ দর্শনার্থীদের বিপুল উৎসাহ সেই সব মূর্তির ভঙ্গিমা নকল করে ছবি তুলতে৷
রামায়ণের ছবি
থাই সংস্কৃতির সঙ্গে খুব গভীরভাবে সংযুক্ত ভারতীয় হিন্দু পুরাণ৷ তারই প্রতিফলন প্রাসাদের অন্দরমহলে দেওয়ালচিত্রে থাই শৈলীতে আঁকা রামায়ণের ছবি৷
শ্রদ্ধা নিবেদন
বুদ্ধদেবের মন্দির আছে রাজপ্রসাদের মধ্যেই৷ সেখানে অন্তরের শ্রদ্ধা জানাবার সুযোগ পান দর্শনার্থীরা৷ সুগন্ধি ধূপ, দীপকাঠি এবং পদ্মফুল রাখা থাকে সেজন্য৷
প্রশাসনিক ভবন
মূল রাজপ্রাসাদ থেকে আলাদা, কিন্তু একই চত্বরে আছে ইওরোপীয় স্থাপত্যরীতির প্রশাসনিক ভবন, যা এখনও সামরিক দপ্তর হিসেবে সক্রিয়৷ এগুলি পর্যটকদের আওতার বাইরে৷
অক্ষত রাজকীয়তা
রাজশাসন সে অর্থে আর নেই থাইল্যান্ডে, কিন্তু রাজকীয়তা আর আভিজাত্য থেকে গেছে রাজপ্রাসাদের প্রতিটি কোণে৷ নিজেদের ঐতিহ্যের এতটুকু অযত্ন করেন না থাই নাগরিকরা৷