1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

রপ্তানি, প্রবাসী আয় কমেছে, রিজার্ভ নিয়ে ভাবনা

DW Bengali Mohammad Zahidul Haque
জাহিদুল হক
৩ অক্টোবর ২০২২

বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের উৎস মূলত তিনটি৷ রপ্তানি খাত, প্রবাসী আয় এবং বৈদেশিক ঋণ, বিনিয়োগ ও অনুদান৷ এর মধ্যে সেপ্টেম্বর মাসে দুটি উৎস থেকে আয় কমেছে৷

https://p.dw.com/p/4HgXE
Handelsmesse in Bangladesch
প্রতীকী ফাইল ফটোছবি: Mortuza Rashed/DW

রোববার বাংলাদেশ ব্যাংক জানায় সেপ্টেম্বরে ১৫৩ কোটি ডলার রেমিট্যান্স এসেছে, যা গত সাত মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন৷ এর আগে গত ফেব্রুয়ারিতে ১৪৯ কোটি ডলার পাঠিয়েছিলেন বিদেশিরা৷

একই দিন রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো জানিয়েছে সেপ্টেম্বরে ৩৯১ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছে, যা গত বছরের সেপ্টেম্বরের চেয়ে ছয় দশমিক ২৫ শতাংশ কম৷ তবে আশার কথা হচ্ছে, টানা ১৩ মাস বাড়তি ধারায় থাকার পর রপ্তানি আয় কমল৷

এই দুই উৎস থেকে আয় কম হওয়ায় বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ গত ২৯ সেপ্টেম্বর ৩৬.৪৫ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়ায়৷ গতবছর রিজার্ভ সর্বোচ্চ ৪৮ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছিল৷

কেন কম?

প্রবাসী আয় কমার একটি কারণ হতে পারে দেশে কার্ব মার্কেট বা খোলা বাজারে ডলার বেচে পাওয়া টাকা আর ব্যাংকিং চ্যানেলে পাঠানো টাকার পরিমাণের মধ্যে বিস্তর ফারাক থাকা৷ আগস্ট-সেপ্টেম্বর মাসে এই পরিস্থিতি দেখা গিয়েছিল৷ বিদেশ থেকে কারও মাধ্যমে দেশে ডলার পাঠিয়ে খোলা বাজারে বিক্রি করলে অনেক বেশি টাকা পাওয়া যাচ্ছিল৷

DW Bengali Mohammad Zahidul Haque
জাহিদুল হক, ডয়চে ভেলেছবি: DW/Matthias Müller

এছাড়া বিশ্বব্যাপী মূল্যস্ফীতি বেড়ে যাওয়ায় প্রবাসীদের জীবনযাপনের ব্যয় বেড়েছে৷ সে কারণে হয়ত তারা বেশি টাকা পাঠাতে পারেননি৷

আর রপ্তানি আয় কমার কারণ তৈরি পোশাকের বিক্রি কমে যাওয়া৷ বিজিএমইএর সভাপতি ফারুক হাসান প্রথম আলোকে বলেছেন, তিন মাস ধরে পোশাকের নতুন ক্রয়াদেশ আসার গতি কম৷ কয়েকটি বড় ক্রেতাপ্রতিষ্ঠান বেশ কিছু ক্রয়াদেশ স্থগিত করেছে৷ এর পেছনেও মূল্যস্ফীতির ভূমিকা থাকতে পারে৷ বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের বড় বাজার ইউরোপ ও অ্যামেরিকায় মূল্যস্ফীতির কারণে ক্রেতারা পোশাক কম কিনছেন৷

রিজার্ভ নিয়ে চিন্তা

বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের তিন উৎসের দুটি থেকে আয় কম হওয়া অবশ্যই উদ্বেগের৷ কারণ এর সঙ্গে রিজার্ভের বিষয়টি জড়িত৷ রিজার্ভের এখন যে পরিমাণ, তা নিয়ে উদ্বিগ্ন না হলেও এটি যেন আর না কমে সেদিকে নজর রাখতে হবে৷ তবে এক্ষেত্রে বিদেশি ঋণ পরিশোধের বিষয়টি সমস্যা তৈরি করতে পারে৷ কারণ ভবিষ্যতে বছর বছর ঋণ পরিশোধের পরিমাণ বাড়বে৷ রাশিয়ার কাছ থেকে ঋণ নিয়ে রূপপুরে যে বিদ্যুৎকেন্দ্র তৈরি হচ্ছে সেটি ২০২৬ সাল থেকে পরিশোধ শুরু করতে হবে৷

এছাড়া চীনের কাছ থেকে ঋণ নিয়ে চট্টগ্রামে কর্ণফুলী নদীর তলদেশে যে সড়ক টানেল নির্মিত হচ্ছে সেই ঋণ পরিশোধ শুরু হবে এই অর্থবছর থেকেই৷