যেসব বিমান দুর্ঘটনায় যাত্রীরা সবাই বেঁচে ছিলেন
অধিকাংশ সময়ই বিমান দুর্ঘটনা কেড়ে নেয় প্রাণ৷ কদাচিৎ হলেও এমন কিছু বিমান দুর্ঘটনার ঘটনাও ঘটেছে যেখানে বেঁচে ছিলেন সবাই৷ ছবিঘরে থাকছে এমন কিছু বিমান দুর্ঘটনার চিত্র, যেখানে সব যাত্রীই পেয়েছেন সৌভাগ্যের ছোঁয়া৷
ডুরাংগো সৌভাগ্য
এরোমেক্সিকো ফ্লাইট ২৪১৩৷ উত্তর মেক্সিকোর ডুরাংগো শহর থেকে ১০১ জন যাত্রী নিয়ে মেক্সিকো সিটির উদ্দেশ্যে গত ৩১ জুলাই আকাশে উড়ে বিমানটি৷ উড্ডয়নের কিছু সময় পরেই বিমানটি বিধ্বস্ত হয়৷ সৌভাগ্যজনক যে এ ঘটনায় কোনো প্রাণহানি ঘটেনি, তবে ৮০ জনের মতো যাত্রী আহত হয়েছেন৷
হাডসন মিরাকল
এটি ১৫ জানুয়ারী ২০০৯ সালের ঘটনা৷ প্রায় ১৫০-এর অধিক যাত্রী নিয়ে নর্থ কেরলিনার উদ্দেশ্যে যাত্রা করে ইউএস এয়ারওয়েজ এর বিমানটি৷ যাত্রা পথে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দিলে, বিমান চালক ক্যাপ্টেন সুলি সুলেনবার্গার দেখালেন এক অপূর্ব দক্ষতা৷ কোনো বিমানবন্দরে নয়, তিনি বিমানটি অবতরণ করলেন নিউ ইয়র্ক শহরের হাডসন নদীর বরফ-শীতল পানিতে৷ বেঁচে যান যাত্রীরা৷
টরেন্টো মিরাকল
প্রায় ৩০০ জন যাত্রী নিয়ে এয়ার ফ্রান্স এয়ারবাস এ৩৪০ আগস্ট ২, ২০০৫ সালে টরেন্টোর পিয়ার্সন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরন করার সময় তীব্র ঝড়ের মুখে পড়ে বিধ্বস্ত হয়৷ভাগ্যক্রমে উদ্ধারকর্মীরা যাত্রীদের সকলকেই কোনো প্রাণহানির ঘটনা ছাড়া উদ্ধার করতে সক্ষম হয়৷ এ ঘটনায় ১২ জন যাত্রী আহত হয়৷
ডেনভারে শুভক্ষণ
কন্টিনেন্টাল এয়ারলাইনস এর বোয়িং ৭৩৭ বিমানটি ডিসেম্বর ২০, ২০০৮ তারিখে যুক্তরাষ্ট্রের ডেনভার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে যাত্রী সহ উড্ডয়নের প্রস্তুতি নিচ্ছিল৷ কিন্ত বিপরীত দিক থেকে আসা তীব্র বাতাসের বেগে বিমানটি রানওয়ে থেকে ছিটকে পড়ে বিমানটি৷ তবে যাত্রীদের সবাই নিরাপদে বেরিয়ে আসেন৷
প্রশান্ত মহাসাগরে জরুরি অবতরণ
১৯৫৬ সালের ঘটনা৷ বোয়িং ৩৭৭ স্ট্রাটক্রুইজার ২৪ জন যাত্রী ও সাতজন ক্রু’সহ হনলুলু থেকে সান ফ্রান্সিসকো যাওয়ার পথে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দিলে বৈমানিক বিমানটিকে প্রশান্ত মহাসাগরে জরুরি অবতরণ করেন৷ অবতরণটি যেমন ছিল সফল, আরোহীদের সবাইও ছিলেন নিরাপদ৷