1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

যুদ্ধ এড়াতে মস্কোয় আলোচনায় জার্মান চ্যান্সেলর

১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২

সোমবার ইউক্রেন সফরের পর মঙ্গলবার মস্কোয় রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুটিনের সঙ্গে আলোচনা করছেন জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস৷ ইউক্রেনের উপর রাশিয়ার সম্ভাব্য হামলা এড়ানোর উদ্যোগ নিচ্ছেন তিনি৷

https://p.dw.com/p/471Mn
ছবি: Mikhail Klimentyev/Sputnik/dpa/picture alliance

রাশিয়া চলতি সপ্তাহেই ইউক্রেনের উপর হামলা চালাতে পারে বলে সতর্ক করে দিয়েছে মার্কিন প্রশাসন৷ বুধবার ১৬ই ফেব্রুয়ারি নাকি সেই হামলা শুরু হতে পারে৷ ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি নিজে এমনটা মনে না করলেও সেই দিনটিকে জাতীয় ঐক্য দিবস হিসেবে পালন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন৷ তিনি বুধবার সারা দেশে জাতীয় পতাকা উত্তোলন এবং জনসাধারণের উদ্দেশ্যে সকাল দশটায় জাতীয় সংগীত গাওয়ার ডাক দিয়েছেন৷ গোটা বিশ্বের কাছে ইউক্রেনের ঐক্য তুলে ধরার আহ্বান জানিয়েছেন সে দেশের প্রেসিডেন্ট৷ অ্যামেরিকা যেভাবে রাশিয়ার হামলার আশঙ্কায় কূটনীতিকদের ইউক্রেনের পশ্চিমে পোল্যান্ড সীমান্তের কাছে পাঠিয়ে দিয়েছে, সে বিষয়েও বিরক্তি প্রকাশ করেন তিনি৷ তাঁর মতে, পশ্চিম ইউক্রেন বলে কিছু নেই, অঘটন ঘটলে গোটা দেশই সমানভাবে ঝুঁকির মুখে পড়বে৷

এমন অনিশ্চয়তা ও উত্তেজনার মাঝে সোমবার কিয়েভ সফর করলেন জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস৷ তিনি ইউক্রেনের প্রতি জার্মানির সংহতি ও সে দেশকে সহায়তার অঙ্গীকার করেছেন৷ সে দেশের ঐক্য ও অখণ্ডতা নিয়ে জার্মানি কোনো আপোশ মেনে নেবে না, বলেন শলৎস৷

মঙ্গলবার শলৎস মস্কোয় রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুটিনের সঙ্গে আলোচনায় বসছেন৷ কূটনৈতিক পথে বর্তমান উত্তেজনা প্রশমনের চেষ্টা চালাতে চান জার্মান চ্যান্সেলর৷ সোমবার রাশিয়াও সংলাপের উপর জোর দিয়েছে৷ ইউক্রেনের উপর হামলার প্রস্তুতির অভিযোগ বার বার খণ্ডন করে মস্কো যাবতীয় সামরিক তৎপরতাকে শুধু মহড়া হিসেবে তুলে ধরছে৷ শলৎস রাশিয়ার নিরাপত্তা সংক্রান্ত দুশ্চিন্তা নিয়ে খোলামেলা আলোচনার ইচ্ছা প্রকাশ করলেও ইউক্রেনের উপর হামলা চালালে মস্কোর বিরুদ্ধে জোরালো নিষেধাজ্ঞার হুমকিও দিচ্ছেন৷ ইউরোপে সবচেয়ে বড় বাণিজ্যিক সহযোগী হিসেবে জার্মানির হুমকি রাশিয়ার উপর বাড়তি চাপ সৃষ্টি করতে পারে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন৷ এমন নিষেধাজ্ঞা সত্যি কার্যকর হলে জার্মানি তথা ইউরোপেরও অর্থনৈতিক ক্ষতির আশঙ্কা থাকলেও পশ্চিমা বিশ্ব সেই ঝুঁকি নিতে প্রস্তুত৷ বিশেষ করে রাশিয়া থেকে প্রাকৃতিক গ্যাস সরবরাহ বন্ধ হলে ইউরোপে জ্বালানির মূল্য এক ধাক্কায় অনেকটা বেড়ে যাবে, এ বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই৷

শলৎসের পূর্বসূরী আঙ্গেলা ম্যার্কেলের সঙ্গে রুশ প্রেসিডেন্ট পুটিনের এক বিশেষ সম্পর্ক ছিল৷ দুজনেই একে অপরের মাতৃভাষায় কথা বলতে পারতেন৷ শলৎস এর আগে পুটিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেও চ্যান্সেলর হিসেবে এই প্রথম দুই নেতা মুখোমুখি হচ্ছেন৷ শলৎসের সামাজিক গণতন্ত্রী দল রাশিয়ার সঙ্গে সুসম্পর্কে বিশেষভাবে আগ্রহী হওয়ায় পুটিন তার প্রতি কিছুটা নরম মনোভাব দেখাতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে৷ শলৎস এখনো পর্যন্ত সরাসরি ‘নর্ড স্ট্রিম ২’ গ্যাস পাইপলাইনের উপর নিষেধাজ্ঞা চাপানোর বিষয়ে মন্তব্য না করায়ও রুশ প্রশাসন জার্মানির কূটনৈতিক উদ্যোগকে কিছুটা বাড়তি গুরুত্ব দিতে পারে৷

এসবি/কেএম (ডিপিএ, রয়টার্স)