1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

যুক্তরাজ্য়ে গুজব ঘিরে মসজিদের সামনে সংঘর্ষ

৩১ জুলাই ২০২৪

যুক্তরাজ্য়ের সাউথপোর্টে ছুরির আঘাতে তিনজনের মৃত্য়ুর পর সেখানে সংঘর্ষ শুরু হয়। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে।

https://p.dw.com/p/4ivvS
যুক্তরাজ্য়ে হাঙ্গামা
পুলিশের সঙ্গে অতি দক্ষিণপন্থিদের সংঘর্ষছবি: Pat Hurst/PA Wire/dpa/picture alliance

গত রোববার যুক্তরাজ্য়ের উত্তরে সাউথপোর্টে একটি নাচের ক্লাসে ছুরি নিয়ে ঢুকে পড়েছিল এক বালক। তার আক্রমণে ঘটনাস্থলেই দুই শিশুর মৃত্য়ু হয়। পরে আরো এক শিশু হাসপাতালে মারা যায়। এখনো আটটি শিশু হাসপাতালে মৃত্য়ুর সঙ্গে লড়াই করছে। আহত হয়েছেন দুই নারীও।

আক্রমণকারী নাবালককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। কিন্তু এরপরেই মঙ্গলবার সেখানে সহিংসতার ঘটনা শুরু হয়। স্থানীয় মসজিদের সামনে একটি অতি দক্ষিণপন্থি গ্রুপের মানুষ জড়ো হতে শুরু করে। সমাজমাধ্য়মে নানা ধরনের গুজবের পরিপ্রেক্ষিতেই তারা সেখানে জড়ো হয় বলে পুলিশের অভিযোগ।পুলিশ জানিয়েছে, সমাজ মাধ্য়মে গুজব রটে আটক ১৭ বছরের ওই নাবালক একজন শরণার্থী। নৌকো করে কিছুদিন আগেই সে যুক্তরাজ্য়ে এসে পৌঁছেছে। ওই বালকের নামও ছড়িয়ে পড়ে ইন্টারনেটে।

মসজিদ ঘিরে রেখেছিল পুলিশ। সেখানে পুলিশের সঙ্গে অতি দক্ষিণপন্থি গ্রুপের সদস্য়দের সংঘর্ষ হয়। পুলিশের গাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয়া হয়। পুলিশকে লক্ষ্য় করে বোতল এবং পাথর ছোঁড়া হয়। পুলিশও পাল্টা আক্রমণ করে। ঘটনায় অন্তত ২২ জন পুলিশকর্মী আহত হয়েছেন।

বিকেলে পুলিশ জানিয়েছে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে। যুক্তরাজ্য়ের স্বরাষ্ট্রসচিব সংবাদমাধ্য়মকে জানিয়েছেন, পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে। সাউথপোর্টের অধিকাংশ মানুষ এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত নন। তারা ঘটনাস্থলে শোকজ্ঞাপন করেছেন। মৃত শিশুদের পরিবারের পাশে গিয়ে দাঁড়িয়েছেন তারা। সমাজমাধ্য়মে গুজব ছড়ানোর পর একদল সংঘর্ষের বাতাবরণ তৈরি করে।

বস্তুত, যুক্তরাজ্য়ের প্রধানমন্ত্রীও ঘটনাস্থলে গিয়ে শোকজ্ঞাপন করেছেন। সে সময় ভিড়ের মধ্য় থেকে কেউ কেউ বলে ওঠেন, ''আর কত মৃত্য়ু দেখতে হবে, প্রধানমন্ত্রী।'' ওই ঘটনার পর দ্রুত প্রধানমন্ত্রীকে ঘটনাস্থল থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়।

এসজি/জিএইচ (রয়টার্স, এপি, এএফপি)